
শাওনের কান্নাকে তো আমার মায়াকান্না মনে হচ্ছে!! আপনাদের কি মনে হয়???
এটিএন নিউজের এক্সক্লুসিভ ক্লিপটা কেউ দেখেছেন? কেউ দাফনের প্রসঙ্গও তুলল না, কিন্তু তার চিৎকার-চেঁচামেচি দেখে মনে হচ্ছে অন্য কোনখানে দাফন করে ফেলেছে। কেমন যেন অভিনয় অভিনয় ভাব চলে এসেছে। সিনেমাটিক ডায়লগও মারলো। এতো আর্তনাদ করলো, কিন্তু চোখ থেকে পানি বের হয়েছে বলে মনে হয়নি। পাশ থেকে আরেক মহিলা আবার চিৎকার করছিলো, 'তুমি যা বলছো তাই হবে!'
হুমায়ূন আহমেদ মারা গিয়েছেন, এখন স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের সবার সিদ্ধান্তে তার দাফন হবে। শাওন মনে হচ্ছে আগেই মিডিয়াকে জানিয়ে রাখছে নুহাশ পল্লীর কথা, নাহলে যেন অন্যরা কেড়ে নিয়ে যাবে!! জাফর ইকবাল, আহসান হাবীব তো বললেনই তার সাথে আলোচনা করেই সব ঠিক করা হবে, তাহলে এমন সাধ করে যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব করার মানে কি!!
হুমায়ূন যে শেষদিকের অনেক লেখায় বলতেন, তার কন্যারা তার কাছ থেকে দূরে সরে থাকছে, আমার মনে হচ্ছে তার একটা বড় কারণ শাওন। কেমন যেন মেকি মেকি ভাব আছে তার প্রত্যেকটা আচরণেই। এটাও বলল... 'মানুষটা কষ্টে মরে যাচ্ছে আর তার মেয়েরা কেউ আসেনাই... আমি জানতাম মরার পরে আসবে... ' যেন ইচ্ছা করে আবার দূরত্ব তৈরি করে দিচ্ছে মেয়েদের সাথে। তার কিসের এতো ভয় কে জানে!!
যাই হোক... খারাপ লাগছে প্রিয়তম এই লেখকের দাফন নিয়ে এই অবস্থায়। শাওনেরও নাটক কম করা উচিত। হুমায়ূন তার একার সম্পত্তি না। আর হুমায়ূন নাকি তার বেশিরভাগ সম্পত্তিই শাওনকে দিয়ে গেছেন, কিন্তু শাওনের অনেক অনুরোধ সত্ত্বেও নুহাশ পল্লী দিতে রাজি হননি। বলেছিলেন, এটা শুধু তাঁর প্রথম পক্ষের পুত্রকন্যা আর গুলতেকিনের জন্যে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতিঘর হিসেবে পুরো নুহাশ পল্লীকে গড়ে তোলা যেতে পারে। সেখানে হুমায়ূন জাদুঘর হবে, হুমায়ূন মেলা হবে, হুমায়ূনের সমাধিসৌধ থাকবে।
আর... আমার এ আন্দাজ অবশ্যই সম্পূর্ণ ভুল হতে পারে... সেক্ষেত্রে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি শুধুমাত্র হুমায়ূনের একনিষ্ঠ ভক্ত হিসেবে আমার মতামতটা জানালাম।
হুমায়ূন আহমেদ কে নিয়ে আগের লেখা- হুমায়ূন আহমেদের শ্রেষ্ঠ উৎসর্গ পত্র সমগ্র...... কিছু ছবি এবং পরিশেষে একটি প্রস্তাব
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৯