আজ আমার ছুটির দিন, সপ্তাহ ভরে ঢাকা যাব, দিল্লী যাব,কেউবা কাইরো এই কথা গুলো শুনেতে শুনতে যেন বোর হয়ে যাই, শুক্র বার এলেই যেন হাফ ছেড়ে বাঁচি তাও অনেক কাজ, খানা পাকানো, কাপড় পরিস্কার করা আবার তা আইরোন করা তা না হলে সপ্তাহ ভর চলবে কি করে ।
তারপর মায়ের সাথে প্রাণ ভরে কথা বলে মনটাকে অনেক হালকা করে নেই, একজন মাত্র আপন জন তিনিই সব সময় জানতে চায় বাবা খানা খেয়েছ ? তোমার শরীরের প্রতি যত্ন নিও,প্রবাসে অসুখ হলে তোমার দেখার কেউ নেই,বেশী রাত জেগে থাক না, কারো সঙ্গে ঝগড়া করনা আরও অনেক কথা, মায়ের কথা গুলো শুনতে থাকি আর চোখের জল ফেলি কিন্তু তাকে বুঝতে দেইনা যে আমার চোখের জল ঝরছে ।তারপর ঘনিষ্ট আত্নীয় স্বজনদের সঙ্গে ফোন করে জেনে নেই তারা সবাই কেমন আছে ।একটি মাত্র দিন তার উপর এত ঝামেলা শুক্র বারের উপর অনেক জুলুম হয়েছে বলেই মনে হয় ।
ঘটনা,
আজ বাড়িতে ফোন করেই আম্মুকে পেলাম না তাই ছোট ভাইয়ের কাছেই তার অবস্হা জেনে নিলাম, এমন সময় নো নাম্বারে একটি ফোন এল, অনেক আগে থেকেই নো নাম্বারে ফোন এলে তা উঠাতাম না, আজ জানিনা কেমন যেন ইয়েছ বটনে আঙ্গুল চলে গেছে,
আমি বললামঃ হেলো কে বলছেন ?
হঠাত বন্ধুঃ আমি অ, আপনি তাহেরকে চিনেন ?
আমি বললামঃ হাঁ
হঠাৎ ব্ন্ধুঃ তার কাছে আপনার নাম্বার নিয়েছি, আপনার অনেক প্রসংশা শুনে নিজেকে চুপ রাখতে পারলাম না,তাই ফোন করতে মনটা যেন ছটফট করছিল।
আমিঃ ঠিক আছে, আপনার নাম্বার দিন আমি ফোন করছি ।
হঠাৎ বন্ধুঃ ঠিক আছে এই নিন, ক ছ ঙ ঘ ছ ঙ গ জ চ চ ক
আমিঃ ফোন দিলাম, একটি রিং হল ওপাশ থেকে আওয়াজ এল কেমন আছেন ?
আমি বললাম ভাল, আপনি কেমন আছেন ?
হঠাৎ বন্ধুঃ ভাল, সেখান থেকে শুরূ হল অনেক কথা, কি করছি, কবে দেশে আসবো, দেশে কে কে আছে ???, আপনার অবসর সময় কখন ? ইত্যাদি ইত্যাদি
আমিঃ শুধু তার প্রশ্নের জবাব দিয়েই চলেছি, কথার ফাঁকে ফাঁকে সে যখন হাসতো আমি শুধু আড়ি পেতে শুনতাম, অনেক মিষ্টি তাহার হাঁসি । তবে সে কথা বলতে পারে অনেক সাজিয়ে গুছিয়ে ।
তাকে বললাম আপনার কি ভাল লাগে ?
হঠাৎ বন্ধুঃ ভ্রমন করতে, তবে যদি কোন বন্ধু পাই ।
আমি বললামঃ আপনাকে আগ্রার তাজমহল দেখাবো রাজি থাকলে ।
হঠাৎ বন্ধুঃ সবার ভাগ্যে তাজমহল দেখার সুযোগ হয়না, যদি আপনি সঙ্গী হন তবে আমি অবশ্যই যেতে আগ্রহী ।
এমনি ভাবে, এক দুই করে ঘন্টা পেরিয়ে গেছে, তাকে বললাম আজকের মত রাখি,আবার কবে কথা হবে ?
হঠাৎ বন্ধুঃ আপনি যখন চাইবেন,
আমি বললামঃ তবে আপনাকে আমি কি বলে জানবো ?
তার জবাব এল **হঠাৎ বন্ধু**