আজ আমি একটি কবিতা লিখব,
কবিতার মত কবিতা হবে সেটি।
কিন্তু, আমি তো কবিতা লিখতে পারি না!
কি লিখব? কি লিখা হয় কবিতায়??
আমি জানি না। তবে আজ জানব।
হুম। রবীন্দ্রনাথের মত হাজার সৃষ্টির অনন্য মহিমার মত করে আজ কবিতা লিখব।
বিদ্রোহীদের কথা লিখি? নজরুল যেমন বলেছিলেন তার বলিষ্ঠ লেখনীতে।
নাহ। আমি আমার মত করে কবিতা লিখব।
কিন্তু আমি যে পারি না কবিতা লিখতে।
আচ্ছা, আমার সুখগুলো কবিতায় লিখি?
সুখ! তা তো কখনো পাইনি।
নাকি পেয়েছিলাম? কালের স্রোতে তা হারিয়ে গেছে?
হবে হয়ত। সময়- সে তো সর্বভুক।
তবে কি দুঃখের কথা লিখব?
যা আজও পাচ্ছি। দুঃখ আমার চির সাথী।
আমার অস্তিত্বের আরেক নাম দুঃখ।
কষ্টের কথা লিখলে কেমন হয়?
হাজার রঙের কষ্ট। আমি তো কষ্টের ফেরিওয়ালা।
রঙিন কষ্টের ক্রেতা আমি।
কষ্ট নেবার মত তো কেউ নেই!
হা-হা-হা! তুমি হাসছ?
তবে কি আমি হাসির ছন্দ কবিতায় তুলব!
তাই বেশ, তাই বেশ। হাসির ক্ষমতা তো অসামান্য।
আচ্ছা এটা কি কবিতা হচ্ছে?
কবিতা যেন ডাস্টবিনের পচা-গলা খাবার।
শকুন ঠুকরে ঠুকরে খাচ্ছে।
না-না। এমন কবিতা আমি লিখব না।
লিখব না।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২৫