ব্যাংকক শহরে বেশ কয়েকটি ব্রীজ আছে। তার একটা দেখতে গেলাম। ব্রীজটা দেখে খুব ভাল লাগল। শহরের মাঝে নদী, তার উপর ব্রীজ। উপর দিয়ে বাস, কার ইত্যাদি যাতায়াত করছে আর নীচে দিয়ে লঞ্চ, ষ্টীমার যাচ্ছে। ব্রীজ দিয়ে নীচে নেমে যাওয়ার রাস্তা আছে এবং নীচে খুব সুন্দর পার্ক তৈরী করা হয়েছে। অপূর্ব লাগছিল দেখতে। সময়ের অভাবে আমরা পার্কে ঢুকতে না পারলেও উপর থেকেই অনেক ছবি তুলেছি। পার্কের পাশে খোলা জায়গায় দেখলাম অনেকে ব্যায়াম করছে, ছোট ছেলে-মেয়েরা বিভিন্ন রকম খেলাধুলা করছে। অনেকে সাইকেল চালাচ্ছে, কেউবা স্কেটিং করছে, মোটকথা যার যা খুশি সে তাই করছে।
সেখান থেকে আমরা ফিরে আসার সময় পড়ি আরেক বিপদে। ট্যাক্সি ড্রাইভার তো ইংরেজি জানে না, আমরাও বাসষ্টান্ডে যাওয়ার রাস্তা ঠিকমত বুঝাতে পাছি না। শেষ পর্যস্ত এক থাই ড্রাইভারকে কি জানি বলল, ড্রাইভারও বলল হ্যা বুঝেছি। তো সে আমাদের নিয়ে রওনা দিল। একে তো প্রচুর জ্যাম তারওপর ড্রাইভার আমাদের শহরের অন্যদিকে নিয়ে গেল। আমরা গেলাম ক্ষেপে, যা-তা বলা আরম্ভ করলাম। কারণ আর মাত্র আধা ঘন্টা আছে বাস ছাড়ার আর টিকিট রয়েছে আমাদের কাছে। সেও বুঝাতে লাগল, এর মধ্যেই সে পৌছে দেবে। যদিও কেউ কারো কথা বুঝতে পারছিলাম না।
শেষ পর্যন্ত সেই ট্যাক্সি ছেড়ে দিয়ে আমরা অন্য ট্যাক্সি নিলাম এক থাইয়ের সাহায্যে। সে ড্রাইভারকে বুঝায়ে দিল। ড্রাইভার কি বুঝল কে জানে। কিছুদূর যেয়ে পথ ভুল করায় আমরা কিছু বলতেই বলে সে যাবে না। গাড়ী মিস করার চিন্তায় মেজাজটা তখন সপ্তমে। কিছুক্ষণ গালাগালি দিয়ে অনেক কষ্ট করে অন্য একটা ট্যাক্সি নিয়ে বাস ছাড়ার ঠিক ১ মিনিট আগে এসে পৌছুলাম। বাস ছেড়ে দিলে আমরা ছবি দেখতে দেখতে আর ঘুমাতে ঘুমাতে সকালে হারজাই এসে পৌছায়।
হারজাই থেকে আমাদের বাস ছাড়লো ১০.৩০ টায় এবং আমরা কুয়ালালামপুর এসে পৌছি রাত ৭.০০ টায়। অবশেষে দীর্ঘ, ক্লান্তিকর ও আনন্দময় ভ্রমণ শেষে আমরা ৮.০০ টায় বাসায় এসে পৌছায়। যদিও অধিকাংশ সময় বাসের ভিতরে কেটেছে, তারপরও থাইল্যান্ড সফরটা আমরা খুব এনজয় করেছি।