Click This Link
প্রথম আলোর এই সংবাদটি পড়ে পুরানো দিনের কথা মনে পড়ে গেল। আমি তখন সবে বুয়েটে ভর্তি হয়েছি। ক্লাস শুরু হতে অনেক দিন বাকী। অথচ ঢাকায় থাকতে চাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বড় ভাই বললেন , কোন চিন্তা নেই, তোমাকে ঢাবি এর শহিদুল্লাহ হলে থাকার ব্যবস্থা করে দেব। উনি ব্যবস্থা করেও ছিলেন। কিন্তু বিপত্তি বাধলো প্রথম রাতেই। হল রেইড বলে একটা ব্যাপার ছিল তা সেদিনই প্রথম টের পেলাম। দুই ছাত্র গ্রুপের সংঘর্ষের পর শুরু হল পুলিশি তল্লাশী। আমি ও আরো কয়েকজন পালিয়ে মসজিদে লাইট নিভিয়ে বসে রইলাম । বলা বাহুল্য আমরা ছিলাম বহিরাগত। হলের ফ্লোরে, বারান্দায় ঘুমানোর দৃশ্য আমিও নিজ চোখে দেখেছি। শুধু অছাত্র কিন্তু বড় নেতারা বিছানায় ঘুমাতে পারতেন(কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া) ।
পরদিনই অবশ্য হল ছেড়েছিলাম।
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের আবাসন-সংকট প্রকট। এটি অস্বীকার করার উপায় নেই। শিক্ষার্থীদের বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তারা প্রত্যাশিত সুযোগ সুবিধা পায় না। আমরা সবই বুঝি, জানি। কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও কর্তৃপক্ষ অনেক কিছু করতে পারছে না।’
উপাচার্য মশাই যা বলেননি তা হল অছাত্রদের হলে থাকার অধিকার নেই । অনেক পরে তুলনা করতে পেরেছিলাম, শিক্ষাজীবন শেষে যখন বুয়েটের হল ছাড়ার সময় এল তখন আমার সাথে সাথে আমার রুমমেট হলের ভি.পি.ও এক দিনের নোটিসে হল ছাড়তে বাধ্য হলেন। আমার মনে হয় ঢাবি তেও এটা সম্ভব।কিন্তু অজানা কোন কারনে করেননা । পুরো আবাসন সম্ভব না হলেও অছাত্র বহিরাগত বাদ দিলে অনেকটাই সমস্যার সমাধান হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০১০ বিকাল ৩:৪৪