সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি আমাকে এই বিষয়ে লেখার তৌফিক দান করেছেন।
প্রথমেই চলুন দেখে নেই শহীদ কাকে বলে?
=> শহীদ হলো সেই ব্যক্তি যে নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে শাহাদা দিয়েছে, স্বাক্ষী দিয়েছে, ঘোষনা দিয়েছে যে আল্লাহ এক। তার কোন শরীক নাই।
=> শহীদ হলো সেই ব্যক্তি যে নিজের বুককে ঝাজড়া করে দিয়েছে কাফিরের গুলিকে বুকে নিয়ে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য।
=> শহীদ হলো সেই ব্যক্তি যার জীবন শুধুমাত্র এক আল্লাহর জন্য।
=> শহীদ হলো সেই ব্যক্তি যার জীবনের প্রতিটি মূহূর্তকে সে উৎসর্গ করেছে মহান আল্লাহর জন্য।
=> শহীদ হলো সেই ব্যক্তি যার যাবতীয় ইবাদাত শুধুমাত্র এক আল্লাহর জন্য।
=> শহীদ হলো সেই ব্যক্তি যে নিজের ফোমের বিছানা ছেড়ে চলে গেছে জিহাদের ময়দানে।
=> শহীদ হলো সেই ব্যক্তি যে সুখের জীবন ছেড়ে বেঁছে নিয়েছে কষ্টের জীবন শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য।
=> শহীদ হলো সেই ব্যক্তি যে আল্লাহর বিধানকে দুনিয়ার জমিনে প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছে নির্ভীক সৈনিকের মতো।
=> শহীদ হলো সেই ব্যক্তি যে আল্লাহর রাস্তায় কষ্টের জন্য দুনিয়াতে কোন প্রতিদান চায় না। তার সকল প্রতিদান ওই মহান সত্তা আল্লাহসুবহানাহু তায়ালার নিকট।
=> শহীদ হলো সেই ব্যক্তি যার সালাত, কোরবানী, জীবন, মরণ এক আল্লাহর জন্য।
=> শহীদ হলো সেই ব্যক্তি যে নিজের তরতাজা জীবন বিসর্জন দিয়েছে আল্লাহর জন্য।
=> শহীদ হলো সেই ব্যক্তি যে পৃথিবীর যেকোন কিছু থেকে ভালবাসে সেই সত্ত্বাকে যাকে কখনো দেখে নাই।
আমার খুবই কষ্ট লাগে যখন দেখি কোন নাস্তিক মারা গেলে তার নামের আগে পবিত্র শহীদ শব্দটা লাগানো হয়। যে লোকটা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর বিরুদ্ধাচারণ করল, যেই লোকটা আল্লাহকে গালি দিত, যেই লোকটা আল্লাহর সর্বশেষ ও চূড়ান্ত নবী মোহাম্মাদ সাঃ কে ”মোহাম্মাক” বলে বিদ্রুপ করল। সেই সমস্ত লোকের নামের সামনে আজ পবিত্র শহীদ শব্দটি লাগানো হয়। এমন জঘন্য মানুষদের নামের সামনে যদি শহীদ শব্দটা লাগানো যৌক্তিক হয়, তবে আমি বলব প্রতিটি কুকুরের নামের আগেও শহীদ শব্দটি লাগানো হোক। কারণ একজন নাস্তিক থেকে একজন কুকুর অনেক ভাল। কারণ কুকুর তার মনিবের সাথে বেঈমানী করে না, কিন্তু একজন নাস্তিক করে।
আরোও আশ্চর্য্য হই যখন দেখি তাদেরই আরো কতক নাস্তিকগুলো তাদের একজন যখন মারা যায় তখন তার নামের আগে ”শহীদ” শব্দটি লাগানো মেনে নেয়।
আমি এই সমস্ত নাস্তিকদের বলতে চাই যারা তাদের একজন মারা গেলে তার নামের আগে শহীদ শব্দটি লাগায়,
=> তোমাদের কি নুন্যতম লজ্জা নাই।
=> যেই ধর্মের বিরোধীতায় তোমরা পঞ্চমুখ।
=> যেই ধর্মের নবীর নামে তোমরা দিনরাত কুৎসা রটায়।
=> যেই ধর্ম তোমাদের নিকট দুনিয়ার নিকৃষ্ট ধর্ম।
=> সেই ধর্মের শহীদ শব্দটি নিজেদের গায়ে জড়াতে কি তোমাদের একটুও লজ্জা হয় না?
=> সেই ধর্মের অনুসরণে কাফনের কাপড় পড়াতে কি লজ্জা হয় না।
=> সেই ধর্মের অনুসরণে জানাজা পড়তে কি লজ্জা হয় না?
=> সেই ধর্মের অনুসরণে মৃত্যুর পর সেই ধর্মের অনুসরণে লাশ কবরে রাখতে কি লজ্জা করে না?
=> সেই ধর্মের অনুসরণে সাধারণ মানুষের নিকট তার আত্মার শান্তির জন্য দু’আ চাইতে কি লজ্জা লাগে না?
=> তোমাদের কি লজ্জা লাগে না ”শহীদ রাজীব” ব্যানার নিয়ে রাস্তার মোড়ে মোড়ে দাঁড়াতে?
সাধারণ মানুষ না হয় জানে না শহীদ শব্দের অর্থ। কিন্তু তোমরা তো জান। তোমরা তো জান শহীদ কাকে বলে? তারপরেও শহীদ শহীদ বলে নিজেদের নির্লজ্জতা মুসলিমদের সামনে তুলে ধরতে কি লজ্জা লাগে না।
মহান আল্লাহ বলেছেন,
তারা (কাফিররা) তোমাকে (মোহাম্মদ সা তেমন ভাবে চিনে যেমনভাবে চিনে তারা তাদের সন্তানদের। (সূরা আল আনআম-৬/২০)
তোমরা ভাল মতোই চিন মোহাম্মদ সাঃকে, ভালো মতোই জান শহীদ কি, কাকে বলে, কত প্রকার? তারপরেও তোমরা মুখ বুঝে নিজেদের এক নাস্তিক ভাইকে শহীদ শহীদ বলে লাফালাফি করতেছ।
এমনটি করার কারণ হলো যে যখন কোন মুরগীর ডিম পাড়া শেষ হয়ে যায় তখন তাকে জবাই করে তার মাংশটাও খাওয়ার মাধ্যমে শেষ ফায়দাটুকু তুলে নেওয়া হয়। এই নাস্তিকরাও দেখছে যে তাদের এক ভাই মারা গেছে। এখন নাস্তিকের মাংশ ও আর খাওয়া যায় না। তাই যতটুক ফায়দা এর লাশের মাধ্যমে তুলা যায় ততটুকই তারা তুলে নিয়েছে।
এই নাস্তিকের ইসলাম বিদ্বেসী। এই নাস্তিকদের ভিতরে বাহিরে পুরোটাই একটা পচা ডিমের মতো।
এদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেছেন,
সূরা আল ইমরান-১১৮> শত্রুতাপ্রসুত বিদ্বেষ তাদের মুখেই ফুটে বেরোয়। আর যা কিছু তাদের (কাফিরদের) মনে লুকিয়ে রয়েছে, তা আরো অনেকগুণ বেশী জঘন্য।
আর পারলে এখন আমাকেও জামাত শিবির, হিজবুত বলে ট্যাগ লাগাও। এটাই হলো তোমাদের একটি ঢাল যা তোমরা সাধারণ মানুষদের ধোকা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করো।
লক্ষ কর, এই দুনিয়ায় তোমাদের শুরু আল্লাহর জীবন দেওয়ার মাধ্যমে। মাঝখানে কয়েকদিন তোমরা সেই আল্লাহরই বিরোধীতা করলা। শেষমেষ ওই আল্লাহরও বিধান অনুযায়ী তোমাদের কবরে রেখে আসা হয়। মূলত তোমাদের সেই আল্লাহর নিকটই ফিরে যেতে হবে এবং আমাদেরকেও। সুতরাং তওবা কর।
আল্লাহ তোমাদের হেদায়েত দান করুন এই দু’আ করি। আল্লাহ তোমাদের সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন।