একটা লোক যতোই মুক্তিযুদ্ধের ঠিকাদারী করুক না কেন, সে যখন উগ্র মুসলিমের দলবল সঙ্গে নিয়ে আরেকজন বাংলাদেশীকে জেলে ঢোকানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়, ব্লগার হয়ে ব্লগারের জীবন ধ্বংসে নেমে পড়ে, চুরাশি জনের লিস্টি বানিয়ে তাদের জীবন বিপন্ন করা শুরু করে...
তখন আমার তো মনে হয়, তার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলার নৈতিক অবস্থান থেকে সে পতিত হয়।
অমি পিয়াল চটি পিয়ালে পরিনত হয়েছে, বুঝলাম, সে কুত্তার পালের সর্দার হয়েছে, যারা অনলাইনে এবং অফলাইনে নারীদের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে, মুক্ত-মনাদের টার্গেট করে গালি গালাজ করছে,...
এবং বর্তমানে আমরা যতটুকু শুনেছি... আসিফ মহিউদ্দীনের জেল গমন, তার উপর বারংবার আক্রমন পুরোটাই হয়তো জামাতী কু-কর্ম নয়। এতে আ্মলীগের উগ্র মুসলিম বাহিনীও জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়ে যায়।
আজকে আসিফ মুক্তি পেয়েছে। আমি অন্য সকলের মতোই উল্লাসিত। আসিফের 'আমি আমি আমি' এবং 'হনুত্ব' নিয়ে আমার যতোই বিরক্তি থাকুক না কেন, একজন ব্লগার হিসেবে আরেকজন ব্লগার জেলে ঢুকে বসে থাকুক, একটা কখনোই মেনে নিতে পারবো না।
সবচেয়ে বড়ো কথা, কথা বলার এবং মত প্রকাশ করাকে 'অপরাধ' হিসেবে গন্য করবার নয়া সউদি আক্রমন, এবং আওয়ামী লীগের হাতে বাংলাদেশে তার সফল টেস্টকরন নিয়ে আমি এবং সম্ভবতঃ সকল মুক্তমনা এবং প্রগতিশীল বিরক্ত, শংকিত এবং ক্ষুব্ধ।
চটি পিয়াল এবং তার গু-মুখো গ্যাঁং বাংলাদেশে অনলাইনে যে 'ত্রাস' সৃষ্টি করতে চেয়েছে তা ইসলামের হুমকি এবং গলা-কাটা সন্ত্রাসেরই আরেকটি রূপ।
একদিকে মুক্তিযুদ্ধের বুলি আওড়ানো, অন্যদিকে জয় বাংলা চিৎকার দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতি বাক-স্বাধীনতাকে হামলা করার কপটতা, ভন্ডামি এবং সউদি সন্ত্রাসবাদ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আদতে জামাত এবং বিনপিকে শক্তি যোগানোর অপকর্মের জন্য চটি পিয়াল এবং তার গু-মুখো কিবোর্ড সন্ত্রাসীদের ঘৃনা এবং একঘরে করে ফেলা উচিত।
এদের কু-কর্মে যে বিশ্রী উদাহরন সৃষ্টি করেছে, তার শোধন দরকার।
চিন্তা ও কণ্ঠ হৌক মুক্ত। নয়তো বাংলাদেশ আর পাকিস্তানে তফাৎ কোথায়?