হরতাল নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অনেক কথা হচ্ছে।
মানুষের অধিকার আদায়ের নামে বাংলাদেশের মতো একটি গরীব দেশে কথায় কথায় হরতাল করা কতটুকু যৌক্তিক সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
প্রশ্ন উঠেছে, হরতাল করার পেছনে মানুষের অধিকার আদায়ের বিষয়টি থাকে নাকি সেটা গৌন একটি বিষয়।
আসল বিষয় কি তাহলে রাজনৈতিক ফালদা হাসিল?
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি গত দুবছর তেমন একটা আন্দোলন করেনি। অথবা আন্দোলনের কোন ইস্যু তারা পায়নি অথবা পেয়েও তারা সেই ইস্যুতে আন্দোলন করেনি। সরকারের অনেক অসঙ্গতিকে তারা তেমন একটা আমলে নেয়নি।
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, সন্ত্রাস, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে করা মামলা রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার এসব জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে তাদের আন্দোলন করতে আমরা দেখি না।
কিন্তু খালেদা জিয়া বাড়ি হারানোর পর থেকে বিএনপি রাজপথে আন্দোলন শুরু করে। রাজপথ উত্তপ্ত করে তুলে। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে দেওয়া হয় দু/দুটি হরতাল।
কেন এই হরতাল?
জনগণের স্বার্থে?
আমরা তো তা দেখি না। আমরা দেখি বাড়ি রক্ষায় হরতাল।
সন্ত্রাসীদের পুলিশ অথবা মামলা থেকে বাঁচাতে হরতাল অথবা আন্দোলন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও এরকম হরতাল করেছে বিরোধী দলে থাকা অবস্থায়। তারাও বলেছে জনগণের অধিকার আদায়ের কথা।
আমার একটি বিষয় এখনও বুঝে আসেনি, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো আর কতদিন সাধারণ জনগণের সাথে এরকম তামাশা করবে? সাধারণ জনগণের অধিকারের কথা বলে জনগণের উপর চাপিয়ে দেবে হরতাল। মানুষের অধিকার নিয়ে খেলবে ছিনিমিনি খেলা।
আর কতদিন সাধারণ জনগণও মুখবোজে এইসব অনাচার মেনে নেবে তা আল্লাহ মালুম।