গত জোট সরকারের আমলে সিলেটের শহরের রাস্তাঘাট বলুন আর বিলাসবহুল আলোকউজ্জ্বল পানির ফোয়ারাই বলুন, সর্বক্ষেত্রে উন্নতির একটা জোয়ার যেন বয়ে গিয়েছিল।
ভালো লাগছিল, এসব দেখে।
যে কারোরই চোখে পড়বে এই উন্নয়নের চিত্র।
কিন্তু একটি বিষয় সে সময় আমি ভেবে পেতাম না। আর সেটি হলো, সিলেট শহরের যেসব রাস্তা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যেতো সেসব রাস্তা দুই থেকে তিন ফুট উঁচু করার নীতি।
কর্তৃপক্ষ বলুন আর সরকার বাহাদুরের লোকজনই বলুন, তাদের তো একটা চিন্তা ছিলো রাস্তাকে বৃষ্টির পানি থেকে বাঁচানো। আর সেই বুদ্ধিজীবীদের সুবাদে আশেপাশের বাড়িঘর, দোকানপাট চলে গেছে রাস্তা থেকে অনেক নিচে। এখন বৃষ্টি হলেই ভেবে দেখুন তো সেইসব বাড়িঘর আর দোকানপাটের কি অবস্থা।
ওইসব মোটা মাথার লোকজন ড্রেনের কাজ না করে, করেছেন রাস্তা উঁচু আর তার কুফল ভোগ করছেন শহরবাসী। এখন বাড়িঘর, দোকানপাট তো তলিয়ে যায়ই সাথে সাথে রাস্তাঘাটও ডোবে জনগণের দুর্ভোগ চরমে উঠে।
কথাটি একারণেই বলেছিল, বাংলাদেশে যে সরকারই ক্ষমতায় যায় তাদের সাথে একদল চিন্তাবিদ, মোটামাথার বুদ্ধিজীবী কাজ করেন। তারা মাথা ব্যথার জন্য সরকারকে পরামর্শ দেন মাথা কেটে ফেলার। আর এর দায়ভার কেবলই বইতে হয় সাধারণ জনগণকে।
বাংলাদেশ সরকার ভিন্ন মতের টিভি চ্যানেল বন্ধ করলো, পত্রিকা বন্ধ করলো, ফেইসবুক বন্ধ করলো। তারপর...
আশঙ্কা জাগে মনে, বাংলাদেশ সরকারকে যারা পরামর্শ দেন, তারা শেষ পর্যন্ত ঢাকার বিদ্যুতিক দুর্ঘটনার জন্য সরকারকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ধ্বংসের পরামর্শ দিয়ে বসেন কি-না, তা আল্লাহ মালুম?