প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই সাইফ ১০১ ব্লগার ভাই কে উনার ব্লগের আর্টিকেল এর জন্য।
সুচী প্রত্র:
১। ফরেক্স কি জানতে পাবেন?
২। কিভাবে অ্যাকউন্ট খুলতে হয়?
৩। কিভাবে ট্রেডিং শুরু করতে হয়?
৪। আরো বিস্তারিত জানার জন্য স্কাইপি সার্পোট.
=======================================
ক্ষুদ্র ব্যবসা স্থাপন হতে পারে অনেকেরই ভাগ্য পরিবর্তনের চাবি। এক এক জনের কাছে এক এক রকমের ব্যবসার আইডিয়া থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আমিও এই পোষ্টে আমার ভবিষ্যৎ ব্যবসা পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনাদের কোনো উপদেশ থাকলে শেয়ার করবেন।
পণ্য : নেই। একটু অবাক হলেন? হবারই কথা। পণ্য ছাড়া কোনো ব্যবসা করার প্রশ্নই আসেনা। এই পণ্যের ব্যাপারে নীচে আলোচনা করা আছে।
আমার ব্যবসার প্রথম যেই পদক্ষেপ আমি নিচ্ছি তা হলো "ব্যবসা পরিকল্পনা"। সফল ব্যবসায়ী হওয়ার প্রথম শর্ত হচ্ছে এটি।আমার প্রাথমিক বাজেটও বেশ কম সে কারণে কয়েকজন উদ্যক্তার সাথে এক সাথে কাজ করার কথা ভাবছি।
কি কি আছে সেখানে :
১। পূর্ণ ১২ মাসের বাজেট।
২। ব্যবসার সময়সূচী (নির্দিষ্ট সময়ে করতে হবে)
যেহেতু আমার ব্যবসা অত্যন্তই ক্ষুদ্র তাই আপাতত ছোটো আকারেই প্ল্যান করা হয়েছে।
এখন আসি আমার পণ্যের ব্যাপারে। আমি আসলে অনলাইন ব্যবসা করার প্ল্যান করছি; এতে আমার পড়াশোনা এবং সামাজিক জীবন দুটোতেই ব্যালান্স থাকে।
এটা হচ্ছে "অনলাইন কারেন্সি ট্রেডিং।" অনেকেরই হয়তো এ ব্যাপারে ধারণা নেই। ব্যাখা করছি।
FOREX = Foreign Currency Exchange. পৃথীবির প্রায় সবগুলো উল্লেখযোগ্য কারেন্সির exchange ই FOREX.
অনেকটা শেয়ার মার্কেট থেকে শেয়ার কেনার মতই আপনি যে কোনো কারেন্সি জোড়া থেকে একটি কারেন্সি কিনতে পারবেন। উদাহরণ দিলে পরিস্কারভাবে বলা যাবে ,
ধরুন একটি কারেন্সি জোড়া EUR/USD = 1.3233/1.3231
আপনি যদি ইউরো কেনেন তাহলে যদি USD এর দাম কমে অর্থাৎ ইউরোর দাম বাড়বে। সেক্ষেত্রে আপনি লাভবান হবেন। আবার USD শক্তিশালি হলে আপনার লস।
শেয়ার মার্কেট থেকে এর সুবিধা অনেক বেশি আবার ঝুকিও সমপরিমাণ।
তবে কেবলমাত্র উচ্চগতির ইন্টারনেট স্পিড থাকলে এবং ঝুকি ও প্রাথমিক লস সামলানোর সাহস ও সামর্থ থাকলেই এটি একটি ভালো বিনিয়াগের জায়গা হতে পারে।
অনেকেই হয়তো মাঝে মাঝে ফরেক্স এর নাম শুনে থাকবেন। এর মানে হলো Foreign Currency Exchange. খুব সহজ একটি ব্যাপার। এক দেশের কারেন্সির সাথে অন্য দেশের কারেন্সির ট্রেডিংকেই ফরেক্স বলা হয়। প্রতিদিন প্রায় চার ট্রিলিয়ন ডলারের লেনদেন হয় এই মার্কেটে। এবং শুধু মাত্র অনলাইন এ থেকেই আপনিও এ মার্কেটে ট্রেডিং করতে পারেন।
=========================================
বাংলাদেশে এটা এখনও জনপ্রিয় হয়নি কারণ পুরো ব্যপারটাই যেহেতু অনলাইনে সেহেতু দেশের মানুষ এখনও এর উপর যথেষ্ট বিশ্বাস পায়নি। কিন্তু ভারত এবং শ্রীলন্কার অনেক বিনিয়োগকারিই এখন ট্রেডিং করছে এখানে। আমি ব্যক্তিগত ভাবেও এখানে টাকা বিনিয়োগ করেছি কয়েকবার। লাভ-লস দুটো্ই সমান সমান প্রায়।
==========================================
ফরেক্স কি?
ফরেক্স হলো ফরেন এক্সচেঞ্জ। এটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ মার্কেট। এখানে প্রতিদিন ৪ ট্রিলিয়ন (১০০০ বিলিয়ন এ ১ ট্রিলিয়ন) ডলারের অধিক লেনদেন হয়। পৃথিবীর সবগুলি শেয়ার মার্কেট মিলেও প্রতিদিন এত লেনদেন হয়না। নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের একদিনের গড় লেনদেন ৩০ বিলিয়ন ডলার। যেহেতু মার্কেটটি এত বড়, কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এমনকি রাষ্ট্রও এককভাবে সহজে একে নিয়ন্ত্রিত করতে পারেনা।
ফরেক্স ট্রেড করতে কি কি দরকার?
(দ্রুত) ইন্টারনেট কানেকশন সহ একটি কম্পিউটার ও প্রাথমিক পর্যায়ে 10 ডলারের মত পুঁজি।
১০ ডলার দিয়ে শুরু করলেও লেভারেজের কারণে কেনাবেচা করা যাবে অনেক বেশী পরিমাণের। বেশীরভাগ ব্রকারই ১:২০০ লেভারেজ দেয় অর্থাৎ ১০ ডলার বিনিয়োগ করে ২,০০০ () ডলার পর্যন্ত কেনাবেচা করা যাবে। মনেরাখা দরকার, লেভারেজ আপনার পক্ষে কাজ করতে পারে আবার বিপক্ষেও কাজ করতে পারে। উদাহরণঃ মনে করুণ আপনি ২ লাখ EUR/USD কিনলেন। এখন এই ট্রেড যদি পক্ষে যায়, অর্থাৎ ইউরোর দাম যদি ডলারের সাপেক্ষে বাড়তে থাকে তাহলে প্রতি পিপে আপনি ২০ ডলার করে লাভ করছেন এবং ৫০ পিপ বাড়লে আপনার ১০০০ ডলার লাভ হবে। তেমনি ৫০ পিপ যদি ইউরোর দাম কমে অর্থাৎ ট্রেড যদি আপনার বিপক্ষে যায় তাহলে একাউন্ট শূণ্য হয়ে যাবে।
এখানে আমরা তিনটি নতুন শব্দের সাথে পরিচিত হয়েছি, ব্রকার, লেভারেজ ও পিপ। এগুলি আসলে কি?
ব্রকারঃ
যে কোম্পানির সাথে আপনি একাউণ্ট খুলবেন অর্থাৎ যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আপনি কারেন্সি মার্কেটে লেনদেন করবেন তাকে ব্রকার বলে। অনেক ব্রকার আছে যার মধ্যে থেকে আপনাকে একটিকে বেছে নিতে হবে। তবে ভাল ব্রকার বাছাই করা সহজ নয়। এ ব্যাপারে পরে ব্রকার সম্পর্কে যখন আলোচনা করবো তখন দেখবো কিভাবে ও কোন কোন বিষয় বিবেচনা করে ভাল ব্রকার বাছাই করা যায়।
লেভারেজঃ
যে পরিমাণ ডলার আছে তার চেয়ে বেশী পরিমাণের কেনা বেচার সুযোগকে লেভারেজ বলে। উদাঃ ১০০০ ডলার বিনিয়োগ করে যদি ২০০০ ডলারের ট্রেড করতে দেয় তাহলে লেভারেজ ১:২, যদি ১ লাখের ট্রেড করার সুযোগ পাওয়া যায় তাহলে লেভারেজ ১:১০০ (পড়ুন ১ এর জন্য ১০০)।
পিপঃ
কারেন্সিতে সবচেয়ে ছোট পরিবর্তনের ইউনিটের নাম পিপ। ১০০ সেন্ট (পয়সা) এ যেরকম ১ ডলার (টাকা) হয় সেরকম ১০০ পিপে ১ সেন্ট (পয়সা) হয়। এটি ক্ষুদ্র ইউনিট কিন্তু যখন কেনা বেচার পরিমাণ অনেক হয় তখন এই সামান্য পরিবর্তন ডলারের হিসেবে অনেক হয়। উদাঃ টাকায় ১ পিপ বৃদ্ধি পেলে ১ টাকায় লাভ হয় ১ পয়সার ১০০ ভাগের এক ভাগ কিন্তু ১ লটে (১ লাখ টাকায়) লাভ হয় ১০ টাকা। মনে করুণ EUR/USD 1.3050 থেকে বৃদ্ধি পেয়ে 1.3051 হল, তাহলে EUR/USD এর দাম ১ পিপ বৃদ্ধি পেল।
ফরেক্স প্রকৃত বিষয়টি অনেক ব্যপকভাবে বিস্তৃত। তাই একটি পোষ্টে আমি অনেক তথ্য দিয়ে বিষয়টিকে আরও জটিল করতে চাইনা। পোষ্টটা অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে, তাই এখানে আর কোন কিছুই লিখলাম না। স্টেপ বাই স্টেপ স্কীন সর্ট এর মাধ্যমে
কিভাবে ফরেক্স একাউন্ট খোলা যায় এবং কিভাবে ট্রেডিং করবেন জানতে হলে (ফরেক্স ট্রেডিং খোলা)
আমার প্রথম এক সপ্তাহের ট্রেডিং স্টেটমেন্ট.....

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৩৯