পর্ব ২
রিতা ভিলার পাশে যে খালি জায়গা, পেছনে জঙ্গলঘেরা অর্ধ সমাপ্ত একটা ঘর যেটাতে ভুত আছে বলেই জানতো ছোটরা। ঐ দিকে তাকালে কেমন যেন শিউরে উঠে। বর্ষাকালে পানি জমে যেতো কোথা থেকে মাছ ও চলে আসতো। সৌখিন মাছ শিকারীদের ছিপে দু একটা টাকি মাছ ও উঠতো।
রিতা ভিলার ভেতরের দিকের ইউনিট যেখানে ইঞ্জিনিয়ার সাহেব থাকতেন, তাঁর ছেলেদের কখনও দেখা যেতো ছাদে কখনও বা বাড়ি ওয়ালার ছেলে নিপু ভাই, পবন ভাই এর ঘরে কখনো বা সামনে ইউনিটের নানা ভাইয়ের সাথে। এছাড়া পাঁচিল টপকে কখনও দারোগার বাড়ি, বাকিটা সময় স্কুলে। এভাবেই কেটে যাচ্ছিল ওদের সময়।
নানাভাই ছাত্র পড়াতেন আর বাকিটা সময় সামনে একটা ফুলের বাগান মতো করেছেন ওখানেই সময় দেন। বাসায় নানি, লিপি খালাম্মা, মামারা, সাইবির মা আর মাঝে মাঝে আসতো দিপ্তি (লিপি খালাম্মার বড় বোনের মেয়ে)।
নিপু ভাই মিশুক মানুষ উনিই দেখা শোনা করতেন। পবন ভাই চাকরি করেন তাই সময় কম। কথা কমই বলেন, সুন্দর করে হাসেন।
চলবে ------।