এই কাঠগোলাপ ফুলের সুবাস যেমন একটা নির্দিস্ট সময় পর্যন্ত থাকে এবং ফুলগুলোও সতেজ থাকে তখন চাইলেই এটা দিয়ে মালা বানানো যায়, দুল বানানো যায় কিংবা মাথায় হেয়ার ব্যান হিসেবে পড়া যায় আবার খোপায় গুজে দেয়া যায়।
আমাদের অন্তর্বর্তী সরকারও ঠিক তেমনই - যারা ক্ষণিক সময়ে জোছনা দেখিয়ে, ক্ষণিক ফুলের সৌরভ ছড়িয়ে বিদায় নিবে। আমরা সেই জোছনায় ভিজতে পারবনা বেশিক্ষণ, আমরা সেই সৌরভও ধরে রাখতে পারবনা বেশিক্ষণ।
চাইলেই সম্ভব নয়। কারণ আমাদের জনগন সেই পুরোনো রীতি ফিরে যাবে, তারা নির্বাজন চায়, অন্য কাউকে ক্ষমতায় দেখতে চায় আর এতে নিজেদের রক্ত বিসর্জন দেওয়া ও লাশ হয়ে বাড়ি ফিরতেও আপত্তি নেই।
অনেক নতুন কিছু উপহার পাবার স্বপ্নে বিভোর ছিল জাতী, সংস্কার করে দেশকে এগিয়ে নিতে দেখতে আগ্রহী ছিলাম আমরা, তরুণ দলের নেতৃত্ব দেখার সাধ ছিল কিন্তু সবই বিপর্যয়ে পর্যবেশিত হবে পুরোনো সিস্টেমে ফিরে গিয়ে।
এক নোবেল জয়ীর পক্ষে একা একটি জাতিকে খাদের কিনাড়া থেকে টেনে উপড়ে তোলা অসম্ভ আর যদি হয় সে জাতী স্বার্থপর, আত্ম প্রবঞ্চক, বিপদগামী, হিংষুটে তবে তো কথাই নেই।
আসলে নিজ জয়েজ ও স্বার্থের বাহিরে গিয়ে মহৎ হতে পারা আমাদের কত জনের সাধ্য আছে ? তাইতো এ সরকার জোছনা দেখাতে পারবে, আমরা সেই জোছনায় ভিজে সুন্দর কিছু বির্নিমান করতে পারবনা।
এই দুঃখ, আফসোস থেকে যাবে আমাদের আমরণ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪