somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শাড়ি, শাঁখা, সিঁদুর, ব্লাউজ পরিহিত ঢাকার এক হিন্দু ভন্ড গুরুজির কাহিনী শুনুন।

০১ লা আগস্ট, ২০১২ ভোর ৫:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



হিন্দুধর্মে তো আর গুরুজির অভাব নাই, এবার এক নতুন গুরুজির আবির্ভাব হল, যার নাম “শ্রীমৎ আচার্য বিবেকানন্দ গোস্বামী এম.এ ট্রিপল (সপ্ততীর্থ)” । পরনে তার শাড়ি, শাঁখা, সিঁদুর, ব্লাউজ। তাকে মেয়ে ভাব্লে ভুল করে বসবেন। তার দৃষ্টি দেখে, এসব বেশ পোশাকের কারণ কী, তা যে যার মতো অনুমান করে নিন। তবে আমার ধারণা, এর কারণ - আমাদের মা-বোনের উপর এসব গুরুজির লোলুপ যৌনদৃষ্টি ছিল। কত মা-বোন যে এদের শিকার হয়েছে, তার সংখ্যা হয়তো নির্ণয় করা কঠিন। মা-বোনেরা হয়ত লজ্জায় কিছু বলেন নি।

একটা কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম। কেন সেই আশ্রমে গিয়েছিলাম। আসলে গিয়েছিলাম দুটো কারণে।

১. ঐ অনির্দিষ্ট লিঙ্গের গুরুজিকে দেখতে।
২. তার অনুষ্ঠানসূচী দেখে:

৩.০১ মিনিট:পরমাধ্য গুরুজির শ্রী বিগ্রহ স্থাপন। (ভগবানের বিগ্রহের দেখা নাই)

৩.১৫ মিনিট:গীতা পাঠ

৩.৩১ মিনিট:অতিথি বরণ

৩.৪৫ মিনিট: গুরুদেবের গুণকীর্তন (গুরুর কীর্তন!!!! আগে তো জানতাম রামের কীর্তন হত। আর কারো না।)

৫.০১ মিনিট: সঙ্গীতানুষ্ঠান (বেতার ও টিভি শিল্পীবৃন্দ) (সঙ্গীতানুষ্ঠান)

৬.০১ মিনিট: সন্ধ্যার আরতি

৬.১৫ মিনিট:গায়িত্রি জপ ও গুরুবন্দনা

৬.৪৫ মিনিট: শ্রীগুরু পূজা

৭.৩০ মিনিট: পরমারাধ্য গুরুদেবের জীবনী আলোচনা (গুরুদেবের জীবনী!!! ধর্ম কই?)

৮.০০ মিনিট: রাস আরতি কীর্তন

৯.০১ মিনিট: প্রসাদ বিতরণ

আচ্ছা উপরের আলোচনা থেকে বলুন তো, ভগবান কে? তিনি? আর কত তাঁর বন্দনা করা হবে? মানুষরূপী দেবতা।

এই সমস্ত অনুষ্ঠানের খরচ কত হবে বলতে পারবেন? আবার দেখলাম সঙ্গীতানুষ্ঠানের জন্য টিভি বেতারের শিল্পী নিয়ে আসা হয়েছিল। এ যেন কনসার্টধর্মী বিনোদন। সামান্য এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য এতো খরচ! টাকাগুলো আসে তো বলদ ভক্তদের পকেট থেকেই।

আবার তার স্লোগান:

সাধন ভজন করে অচল
বিগ্রহ সচল করা যায়,
ফটো দিয়ে কথা বলান যায়
তা না পারলে পূজার
সার্থকতা কোথায়?

মাঝে একটা লাইন দেখুন। ফটো দিয়ে নাকি কথা বলা যায়। আহা! কি হাস্যকর!

“ কৃষ্ণস্তু ভগবান স্বয়ম”।

এ কথা লেখার সার্থকতা বুঝতাম, যদি তার অনুষ্ঠানসূচীতে নিজের গুণকীর্তন না করে কৃষ্ণের গুণকীর্তন করতেন।

শুনেছি, জগন্নাথ হলে বাংলাদেশ সেবাশ্রমের কমিটি করার প্রয়াস চলছে। বোকা হিন্দু! ওদের বোঝালেই হয়, এ দেশ তোমার না, তোমার ধর্ম বাঁচাতে এগিয়ে এসো এই আশ্রমে ইত্যাদি ইত্যাদি। ধর্মরক্ষামূলক কথা আর এই কথা শুনে মুসলিম ছাগুদের মত হিন্দু পাঁঠারা এগিয়ে আসে আর ফাঁদে পা দেয় ঐ সব ভণ্ড ধর্মগুরুর। ফলে যা হওয়ার তা-ই হয়। লাভ হয় সব ধর্মগুরুর। ধর্মব্যবসা সেরা ব্যবসা প্রমাণিত হয়।


..................................................................................................
বিঃদ্রঃ লেখাটি একজন হিন্দু-লেখকের থেকে সংকলিত।
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শুভ নববর্ষ। শুভ কামনা সব সময়।

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৬:৫০

শহুরে মঙ্গলের বলি, পল্লির হালখাতা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৭:৫১





ছবি টি সফিকুল আলম কিরন ভাইয়ের তোলা।

আজ পহেলা বৈশাখ মানেই শহরের রাস্তায় মুখোশ, কাগজের ঘোড়া, আর লাল-সাদা শাড়ির বাহার। তার নাম—মঙ্গল শোভাযাত্রা। জাতিসংঘ স্বীকৃত, উৎসবমুখর, মিডিয়ায় আলোচিত। কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামী শরীয়া মোতাবেক সংক্ষেপে তালাক দেওয়ার সঠিক পদ্ধতি

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:২০

ইসলামী শরীয়া মোতাবেক সংক্ষেপে তালাক দেওয়ার সঠিক পদ্ধতি

ছবি: অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।

তালাক হচ্ছে সবচেয়ে ঘৃণিত হালাল কাজগুলোর একটি। পারিবারিক জীবনে বিশেষ অবস্থায় কখনও কখনও তালাকের প্রয়োজনীয়তা এড়ানো যায় না বিধায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৪৩২ বয়স!

লিখেছেন রাজীব নুর, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৩৪



বাংলা নববর্ষ নিয়ে অতি উচ্ছ্বাস -
উন্মাদনা বিশেষত যারা একদিনের জন্য নিখাঁদ বাঙালি হয়ে 'মাথায় মাল' তুলে রীতিমতো উত্তেজনায় তড়পাতে থাকেন তাকে খাস বাংলায় বলে ভণ্ডামি!

বাংলা বর্ষপঞ্জিকা আমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারত-বাংলাদেশে আলাদা দিনে বাংলা নববর্ষ কেন?

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৪ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৪

ভারত-বাংলাদেশে আলাদা দিনে বাংলা নববর্ষ কেন?


বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ আসে ইংরেজি মাসের ১৪ এপ্রিল। অন্যদিকে পশ্চিম বাংলায় ১৫ এপ্রিল উদযাপন করা হয় উৎসবটি। যদিও ১৯৫২ সন পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষ এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×