বিশ্বসাহিত্যের অনেক বইই মুগ্ধ হয়ে এক বসায় পড়েছি। জন স্টেইনবেক এর ‘অফ মাইস এন্ড মেন’ এর মতো ছোট পরিসরের হোক বা আলবেয়ার কাম্যু‘র ‘দি প্লেগ’ এর মতো বড় পরিসরের হোক- শেষ না করে উঠা যায়নি। এ টেল অব টু সিটিস, আংকেল টমস কেবিন, এ প্যাসেস টু ইন্ডিয়া, মাদার, এর মতো অনেক বই এক বসাতেই বা একাধারেই পড়তে হয়েছে। বাংলা সাহিত্যের বৃহৎ বই বিমল মিত্রে ‘সাহেব বিবি গোলাম’ সকাল ৯টায় পড়তে বসে রাত দুটোয় শেষ করেছিলাম বলেই মনে পড়ে। শরৎচন্দ্রের ‘দত্তা’ এতোটাই ভাল লেগেছিল যে ওটাকে ধর্মগ্রন্থের মতো বারবার পড়েছি- হয়তো ত্রিশ বার। সম্প্রতি একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের অপেক্ষায় থাকতে হয়। ছোট লাইব্রেরিটিতে দেখি সবই পড়া বই। আবারো পড়ার জন্য বেছে নিলাম সেই ‘দত্তা’কেই। একটি আকাক্সক্ষা প্রকাশ করেছিলাম- শেষ না করা পর্যন্ত যেন প্রধান শিক্ষক না আসেন। বইটি আবারো পড়ে শেষ করার পরেই প্রধান শিক্ষক এলেন। এইসব অসংখ্য বইয়ের ভীরে দুটি বই পড়ে বিমোহিত ও বিস্মিত হয়েছিলাম অনেক বেশি। একটি আলবেয়ার কাম্যু‘র দি আউটসাইডার এবং অন্যটি উইলবার স্মিথ এর ‘রিভার গড’। কাকতালীয় দু‘জন উপন্যাসিকেরই জন্ম আফ্রিকায়। স্মিথ দক্ষিণ এবং কাম্যু উত্তর আফ্রিকার মানুষ।
আলবেয়ার কাম্যু জন্মেছিলেন ১৯১৩ সালে আলজেরিয়ায়। আলজিয়ার্স ফুটবল দলের গোলরক্ষকও ছিলেন। এরপরে ফ্রান্সের প্যারিসে এসে বেছেনেন সাংবাদিকতা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানী ফ্রান্স দখল করলে যোগ দিয়েছিলেন প্রতিরোধ যুদ্ধে। যুদ্ধের পরে বের হয় তার সারাজাগানো উপন্যাস ‘দি আউটসাইডার’। বইটি লেখা হয়ছিল ফরাসিতে। এর পটভূমি আলজেরিয়া। আউটসাইডার হল এক আলজিরীয় যুবক, নাম- মারসো। এই যুবকটিকে ৬ দশকেও আগে নির্মাণ করা হলেও বর্তমানে আরো বেশি প্রাসঙ্গিক। সে আবেগহীন। তার আবেগহীনতার চূড়ান্ত দেখা যায় তার মায়ের মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর। বৃদ্ধ-নিবাসে তার মায়ের আকস্মিক মৃত্যু সংবাদও তার মধ্যে কোন প্রতিক্রিয়া তৈরি করেনি। তাকে যেতে হয় অথবা সে যায়। নিরাসক্ত বা আবেগহীই থাকে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করে তার ফিরে আসা পর্যন্ত। মায়ের কফিনের পাশে বসে সে ধরিয়ে ফেলতে পারে সিগারেট। সে চূড়ান্তভাবেই নিরাসক্ত এবং প্রতিক্রিয়াহীন। এইযে অস্বাভাবিকতা কিন্তু একজন আউটসাইডারের জন্য প্রকৃত অর্থেই যতার্থ বলেই মনে হবে, উপন্যাসটি পড়ার সময়।
মারসো‘রসনিতান্তই ছোট একটি চাকুরি, একাকী আনন্দহীন জীবন। আর সপ্তাহান্তে গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে সময় কাটানো। এভাবেই চলছিল। একই রকম জীবন। সপ্তাহান্তে অস্থায়ী গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে সমুদ্র সৈকতে গিয়ে ঘটনাচক্রে খুন করে ফেলে। প্রথম পর্বের সমাপ্তি এখানেই। কিন্তু বইটির মূল আকর্ষণ মারসো‘র গ্রেফতার হওয়ার পর। নিঃসঙ্গ প্রকোষ্ঠকেই মনে হয় তার যথার্থ জায়গা। বিচারক, উকিলের সাথে একজন আউটসাইডারের আচরণকে পারফেক্টই বলতে হবে। ছোট্ট সেল তার জন্য খুবই উপযোগী হয়ে উঠে। ফাঁসির আগে পাদরী এসে যখন বলে, ‘তার উপর অপরাধের যে বোঝা চেপে আছে যা থেকে অবশ্যই আমাকে মুক্তি পেতে হবে। তাঁর মতে মানুষের বিচার মূল্যহীন; শুধু ঈশ্বরের বিচারে যায় আসে’। মারসো বলে, ‘পূর্বোক্তটি আমায় অবিযুক্ত করেছে’। পাদরী বলে, ‘কিন্তু তা তাকে পাপ থেকে মুক্তি দেয়নি’। মারসো বলে, ‘পাপ সম্পর্কে আমি সচেতন নই; যা জানি তা হল ফৌজদারি অপরাধের জন্যে আমি অভিযুক্ত। এবং আমি সেই অপরাধের দাম দিচ্ছি এবং কারও অধিকার নেই আমার থেকে এর চেয়ে বেশিকিছু আশা করা’। একজন আউট-সাইডার মারসো পৃথিবীর মানুষের কাছে অর্থহীন, অনুপযোগী। কিন্তু কাম্যু সৃষ্টি হিসাবে অনন্য এবং অমর। এরকম একটি জটিল চরিত্র নিখুঁতভাবে সৃষ্টি করা শুধু কাম্যুর পক্ষেই সম্ভব ছিল।
উইলবার স্মিথ এর ‘রিভার গড’ উপন্যাসের কয়েক পাতা পড়ার পড়েই মনে হলো অসাধারণ বই। এটা পড়ে শেষ করতেই হবে। কর্মব্যস্থ থাকায় একটানা পড়া সম্ভব নয়। ভাবলাম ৭দিন লাগবে ৪১৫পাতার বইটি পড়ে শেষ করতে। মনে হলো এই ৭টি দিন বেঁচে থাকা প্রয়োজন। তাই আয়ু কামনা করলাম ৭দিনের। এর আগে মারা গেলে একটি বিরাট অতৃপ্তি নিয়ে মারা যাবো। বেঁচে থেকে নিজেকে ভাগ্যবানই মনে করছি।
রিভার গড এর লেখক উইলবার স্মিথ আফ্রিকান। জন্ম ১৯৩৩ সালে জাম্বিয়ায়। অবশ্য জাম্বিয়ার তখনকার নাম ছিল রোডেশিয়া। জীবনের সবটুকু সময় কাটিয়েছেন আফ্রিকায়। আফ্রিকার প্রতি তাঁর অনুরাগ গভীর। লেখাপড়া করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। প্রথম বই ‘হোয়েন দ্য লায়ন ঢিডস’ বিশ্বব্যাপী আলোচিত হয়। শুরুতেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। তিনি আফ্রিকার সৌন্দর্যতা, বন্যতা, হিং¯্রতা, নিষ্ঠুরতা, রাজনীতি এবং ভালবাসা ফুটিয়ে তুলেন তাঁর উপন্যাসের বিশাল ক্যানভাসে। বই লিখেছেন ত্রিশটির বেশি। সবগুলোই বেস্টসেলার। আফ্রিকার বন্যপ্রাণী এবং প্রকৃতি বিষয়ে তাঁর রয়েছে অগাধ জ্ঞান। তাঁর সাফারীর বর্ণনা মনোমুগ্ধকর। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনের টেবল মাউন্টেন-এ বসাবাস করেন।
উপন্যাসটির ৪১৩ পৃষ্ঠা পড়ে শেষ করে মুগ্ধ হয়ে দেখবেন আরেক বিস্ময়। এর পরের দুই পাতা লেখকের বক্তব্য-
‘১৯৮৮ সালের ৫ জানুয়ারি, মিশরীয় প্রতœতত্ত্ব বিভাগের ডুরেইদ-ইবনে-আল সিমা, নীলনদের পশ্চিশ তীরে ভ্যালি অব নোবলস এ একটি প্রাচীন সমাধি খুঁড়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। সমাধির যে গলিপথ মূল সমাধি প্রকোষ্ঠে চলে গিয়েছিল, তার দেয়াল এবং ছাদের অপূব চিত্রকর্ম দেখে ড. ডুরেইদ-এর তাক লেগে গিয়েছিলো। চিরজীবন ভাস্কর্য এবং দেয়ালচিত্র নিয়ে কাজ করেও এতো অসাধারণ এবং নিখুঁত শিল্পকর্মের দেখা পাননি তিনি এর আগে।
পরে তিনি আমাকে জানিয়েছেন, তৎক্ষণাৎ তাঁর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আবিস্কারের বোধ জেগেছিলো। দেয়ালে আঁকা হায়ারোগ্লিফিকস- এর মধ্যে রাজকীয় বর্ণমালায় উল্লেখ ছিলো তখনো পর্যন্ত অনাবিষ্কৃত এক মিশরীয় রাণীর কথা।
ড. সিমা সাফল্যের সাথে সেই সমাধির নির্মাণ-তারিখ উদ্ধার কতে সক্ষম হয়েছিলেন। খ্রিস্টপূর্ব ১৭৮০। সমাধি আবিস্কারের এক বছর পরে দেয়ালের হায়ারোগ্লিফিকস-এর ছবি তোলার সময় দেয়ালের এক অংশের প্লাস্টার ধ্বসে পড়ে। লুকানো ছোট্ট একটা প্রকোষ্ঠের দ্বার উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। সেই প্রকোষ্ঠের ভেতরে দশটি অ্যালাবাস্টারের ভাস খুঁজে পান।
তার ভেতরে সংরক্ষিত স্ক্রোলগুলো অনুবাদের সময় ড. সিমা আমার সাহায্য কামনা করেন। কায়রো জাদুঘর এবং বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক ঈজিপ্টলজিস্টদের সহায়তায় পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিলো মূল স্ক্রোলগুলোর।
বর্তমান সময়ের উপযোগী করে সেই স্ক্রোলগুলোর কাহিনী নতুন করে বলার জন্যে আমাকে অনুরোধ করেছিলেন ড. সিমা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কাব্যিক স্বাধীনতা নিয়েছি আমি, উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, দূরত্ব এবং ওজনের হিসেব উল্লেখের সময় বর্তমানে প্রচলিত মাপ ব্যবহার করেছি বিভিন্ন স্থানে। টাইটা‘র ব্যবহার না করা কিছু শব্দও ব্যবহার করা হয়েছে, যেমন- বর্বর, পতিতা, যৌতুক। তবে আমার ধারণা টাইটা‘র শব্দভা-ার বড় হলে সে নিজেও এই শব্দগুলো ব্যবহার করতো।
অবাক লাগে ভাবলে, মানুষের আবেগ এবং অনুপ্রেরণার উৎস এতো হাজার বছরেও একটুও পরিবর্তন হয়নি। হয়তো আজকের দিন পর্যন্তও আবিসিনিয়া‘র পর্বতে, নীলনদের উৎসমুখের সন্নিকটে কোনো স্থানে, ফারাও মামোসের অলঙ্ঘিত সমাধিতে শায়িত আছে ট্যানাসের মমিকৃত দেহ।’
এখন কি মনে হবে? এতক্ষণ ৪ হাজার বছর আগের যে মনোমুগ্ধকর গল্পের বর্ণনা পড়লেন তা গল্প নয় ইতিহাস। লেখকের বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করিনি। এটি গল্প না ইতিহাস এই বিতর্কের চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এটি একটি অনন্য উপন্যাস। পুরো উপন্যাসটি টাইটা নামের এক ক্রিতদাসের মুখে বয়ান করা হয়েছে। টাইটা একাধারে দার্শনিক, কবি, চিকিৎসক, চিত্রশিল্পী, লেখক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী এবং আরো বহুকিছু। এইসব গুণই তাকে বাঁচিয়ে রেখেছিল, বিভিন্ন প্রতিকূলতায়। তার প্রেমিকাকে হত্যা করা হয়েছিল এবং প্রেমিক টাইটাকে করা হয়েছিল খোজা। টাইটা অপুরুষ হলেও নারী দেহ আস্বাদনের পরেই খোজা করা ছুটি চালানো হয়েছিল তার উপর। তার প্রথম মালিক- ইনটেফ এর নির্দেশেই হয়েছিল। ইনটেফ একাধারে গে, দস্যু, লোভী, ষড়যন্ত্রী এবং পুরো কাহিনীর নায়িকা লসট্রিস এর পিতা। লসট্রিস সৌন্দর্যতায় তুলনাহীন, সাহসী এবং গুণী। লসট্রিসকে ভালবাসে দুই জন। টাইটার ভালবাসা অন্যরকম। টাইটা খোজা। তার ভালবাসা শরীর কেন্দ্রীক হওয়ার উপায় নেই। লসট্রিসের শৈশব থেকেই টাইটা তাকে শিখিয়েছেন, পড়িয়েছেন এবং ভালবেসেছেন। লসট্রিসকে উন্মাদের মতো ভালবাসতো যুদ্ধা ট্যানাস। ইনটেফ ট্যানাসের পিতাকেও হত্যা করেছিল। কিন্তু অভিনয় করেছিল বন্ধুর মতো। টাইটা ওদের ভালবাসার পথ সবসময় সুগম করেছে। ফারাও এর কোন সন্তান ছিল না। টাইটা ফারাওকে পুত্র জন্মদানের উপযোগী যে নারীর বর্ণনা দিয়েছির। ঘটনাক্রমে ফারাও-এর চোখে সেই নারী হিসাবে ধরা পরে লসট্রিস। টাইটা অনেক কৌশল করেও লসট্রিসকে রানী হওয়া রোধ করতে পারেনি। কিন্তু লসট্রিস এবং ট্যানাসের মধ্যে ভালবাসা এবং শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করিয়েছেন নিপুণ দক্ষতায়। ফলে ট্যানাস এর ঔরসজাত সন্তান মেমনন এর পিতা হন ফারাও। হিকসস বাহিনীর হাতে মিশরের ফারাও পরাজিত এবং নিহত হয়। মিশর ছেড়ে ট্যানাস-লসট্রিস-টাইটাদের পালিয়ে যেতে হয় দক্ষিণে নীলনদের উৎস অভিমুখে জলপ্রপাত পেরিয়ে। ট্যানাস-লসট্রিসের মিলনে আরো দুটি কন্যার জন্ম হলেও রানীকে কৌশলে রক্ষা করে টাইটা। এক যুদ্ধে ট্যানাস মারা গেলে টাইটা কৌশল করে ফারাও লাশের বদলে শবাধারে রেখে দেয় ট্যানাসের লাশ। এভাবেই ফারাও মামোসের অলঙ্ঘিত সমাধিতে শায়িত থাকে ট্যানাসেস মমিকৃত দেহ। মেমনন টাইটাদের রণকৌশলে মিশর থেকে পালাতে বাধ্য হয় হিকসস বাহিনী। পুরো কাহিনী জুড়েই রয়েছে টাইটার বুদ্ধিমত্তার স্ফূরণ, ট্যানাসের তরবারীর ঝলকানী এবং লসট্রিসের সৌন্দর্যতা। আর ফারাও-র আমলের মিশরকে জীবন্ত করেছেন লেখক। চার হাজার বছরের আগের মিশরীয় সভ্যতা, সেই সময়ের মানুষের জীবন, বোধ, দুবৃত্তের বিরুদ্ধে লড়াই, যুদ্ধকৌশল কিংবা লোভ, ষড়যন্ত্র এবং প্রেমের টানটান বর্ণনা ভেসে থাকবে চোখের সামনে। আপনার চোখের সামনে দিয়েই এগিয়ে যাবে প্রাচীন মিশরের এই ভালবাসা আর যুদ্ধের উপাখ্যান। একপাতা পড়লেই এই উপন্যাস ছেড়ে উঠা সম্ভব নয়। উপন্যাস শেষ করলেও কখনোই আপনার মস্তিষ্ক থেকে হারিয়ে যাবে না টাইটা-লসট্রিস- ট্যানাস-মেমনন। আর শেষ হবে না মুগ্ধতা, কি করে লেখা যায় ‘রিভার গড’। এতো বই পড়া না, যেন ফারাও-র সা¤্রাজে ঘুরে বেড়ানো। একি সত্যি! একি ইতিহাস! নাকি কিংবদন্তি, নাকি সব কিছু মিলেমিশে একাকার অনন্য-অসাধারণ এবং এক নিখুঁত বর্ণনাশৈলীর উপন্যাস।
মারসো এবং টাইটা দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন সময়ের এবং সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের চরিত্র। মারসো প্রতিভাহীন নিষ্পৃহ সুপুরুষ এবং টাইটা অসামান্য প্রতিভাধর অপরুষ। উত্তর ও দক্ষিণ আফ্রিকার দুই শক্তিমান লেখকের দুই শ্রেষ্ঠ উপন্যাসের দুইটি চরিত্র‘র একটিই মিল; তাহল এর নির্মাণশৈলীর শ্রেষ্ঠত্বে। মারসো ও টাইটা সাহিত্যে অমর হয়েই থাকবে।
মুজিব রহমান: সভাপতি, বিক্রমপুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ