আমাদের জ্বালানী ক্ষেত্রগুলি বিদেশী কোম্পানীগুলির কাছে ইজারা দেবার পর নিরাপত্তাহীনতায় ভূগতে হয় । এই ইজারা দান চুক্তির মধ্যে অনেক দেশের স্বার্থ-বিরোধী ধারা থাকে যেগুলিকে টেবিলের নীচের আদান প্রদান (কমিশন) এর মাধ্যমে বিদেশী কোম্পানীগুলি তাদের স্বার্থের অনুকুলে নিয়ে আসে । এর বিপরীতে দেশীয় তত্বাবধানে পরিচালিত জ্বালানী ক্ষেত্রগুলি অদক্ষতা, দূর্নীতি আর সঠিক পরিকল্পনার অভাবে বড় অংকের লোকসান গোনে । দুই ক্ষেত্রেই ক্ষতিগ্রস্থ পক্ষ একই - বাংলাদেশ আর বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ ।
এটি বলছি কারণ এর মধ্যেই বিদেশী কোম্পানীগুলির কাছে বরাদ্দ দেওয়া গ্যাস ক্ষেত্রগুলি নিয়ে অসহায় অবস্থার কথা আগের বেশ কয়েকটি পোষ্টে জানিয়েছি । প্রাথমিক অনুসন্ধানে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় বলে চিন্হিত গ্যাস ক্ষেত্র থেকে একের পর এক গ্যাস না পাবার কথা আসছে । আর আজ পড়লাম দেশীয় কোম্পানী পেট্রোবাংলার অধিভূক্ত বড় পুকুরিয়া কোল মাইন কোম্পানী লিমিটেড এর বড় পুকুরিয়া প্রজেক্ট থেকে এক বছরে ১২৪ কোটি টাকা লোকসান দেবার কথা ।
এই লোকসানের একটি বড় কারণ প্রকল্পের দূর্বল পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন, উচ্চ সুদে সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিটে ঋণ, অদক্ষতা, প্রয়োজনীয় পরিমাণে কয়লা উত্তোলনে ব্যর্থতা, অত্যাধিক পরিচলন ব্যায় ইত্যাদি । ধারণা করা যায় এইসব ব্যায়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ দূর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে ।
এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় কি? দেশীয় কোম্পানীর কাছে জ্বালানী ক্ষেত্র হস্তান্ত সবসময় আদর্শ সমাধান নয় । বড় আজব এক শাখের কড়াতের কবলে বাংলাদেশ । হতাশ লাগে আবার ক্ষুদ্ধও হই । কবে আমরা নিজেদের পায়ে কুড়াল মারা ছাড়াও দেশের কথা ও দেশের জনগণের কথা ভাবতে শিখবো? সেই দিন কি আদৌ আসবে? বড় বেশী দেরী না হয়ে যায়!!