লিখেছেনঃ মজিদ বিশ্বাস (তারিখঃ মঙ্গলবার, ০৬/০৩/২০১২ - ২০:৪০)
সৌদিকূটনীতিক হত্যা; মধ্যপ্রাচ্যের ভারত নিয়ন্ত্রীত মিডিয়াগুলোতে দেখেছি কোন খারাপ ঘটনা ঘটলে তদন্তের আগেই পাকিস্তান আর বাংলাদেশী নাগরিকদের নিয়ে সন্দেহমূলক সংবাদ পরিবেশন করা হয়। আর যদি নিশ্চত ভারতের কোন নাগরিক( বাস্তবে তারাই বেশি অপরাধী,মদ্যপান অন্যতম কারণ) কোন অঘটন ঘটায় তবে সেটা কদাচিৎ সংবাদ পত্রে উল্লেখ করে,আর করলেও বলে এশিয়ান নাগরিক এই ঘটনায় জড়িত।
বর্তমানে ওমানে প্রচুর বাংলাদেশি কর্মীসহ ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার যাচ্ছে।এর আগে এখানে প্রথম শ্রেণীর চাকুরীগুলোতে ছিলো ভারতীয়দের আধিপত্য।এতে ভারতীয় লবী আতংকিত হয়ে পড়েছে।
সৌদিতেও বহুবছর বাঙগালী কর্মী নেওয়া বন্ধ থাকেলও গত কয়েকমাস আগে সীমিত আকারে ড্রাইভার,নার্স নেওয়ার কথা জানায় সৌদি সরকার। গত কয়েকদিন আগে সৌদিঘুরে আসে মন্ত্রীসহ উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল।সৌদি সরকার প্রতিনিধি দলকে জানায় বাঙগালিরা অপরাধপ্রবণ।তাই তারা অপরাগ।তখন দেশীয় প্রতিনিধিরা তাদের এইবলে আশ্বস্ত করে যে যারা এখন থেকে আসবে তাদেরকে ভাল ভাবে পরীক্ষা করে পাঠান হবে, কোন মামলা থাকলে তাদেরকে পাঠান হবে না। এসবের প্রক্ষিতে ভারতীয় লবী আরো ভীত হয়ে পরে।
এই মুহুর্তে যদি কোন বাঙগালি কর্তৃক সৌদি নাগরিক নিহত হয় তবে মধ্যপ্রাচ্য এর ব্যপক প্রভাব পরবে। ভারতী লবী এখন ভালভাবে বোঝাতে পারবে বাঙগালিরা অপরাধপ্রবন,তাই তাদের মধ্যপ্রচ্যে না ঢুকতে দেওয়াই উত্তম।.....যা আছে তাদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে।
তাই সৌদি সহ মধ্যপ্রাচ্যের লাখ লাখ বাঙগালিদের বাঁচাতে সরকারের এখনই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।সাগর-রুনি টাইপ তদন্ত করলে সরকারকে চরম মূল্য দিতে হতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৯:২৩