ড. হেইস বাইজম্যান !!
ইহুদি এই বিজ্ঞানী লোকটি যদি বৃটেনের কাছে স্বজাতির জন্য ফিলিস্তিন নামক এক টুকরো ভূমি না চাইতেন তাহলে আজ ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের এভাবে কুকুরের মত মারতে পারতোনা। যারা সত্যি ইতিহাস জানেননা তাদেরকে বলে দেই (তথ্যসুত্র উইকিপিডিয়া) :
ভূমধ্যসাগরের পূর্বে ১০,৪২৯ বর্গমাইলব্যাপী ফিলিস্তিন দেশটি ছিল অটোমান খেলাফতের অধীন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যারা ছিল বৃটেন বিরোধী জোটে। তখন যুদ্ধ জয়ে ফিলিস্তিনদের সহযোগিতা পাওয়ার আশায় ১৯১৭ সালে বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড বেলফোর যুদ্ধে জয়ী হলে এই ভূমিতে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হবে বলে আশ্বাস দেন। যা ইতিহাসে বেলফোর ঘোষণা হিসেবে পরিচিত৷ যেহেতু আরবরা ছিল ইহুদিদের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি, সেহেতু ঘোষণাটি তাদের অনুকূল বলেই তারা ধরে নেয়৷ কিন্তু এর মাঝে যে মহা ধোকাটি লুকিয়ে ছিল তা তারা বুঝতে পারেনি। বৃটিশ শাসনের শুরু থেকে৷ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বৃটেনের প্রয়োজনে দুর্লভ বোমা তৈরির উপকরণ কৃত্রিম ফসফরাস তৈরি করতে সক্ষম হন ইহুদি বিজ্ঞানী ড. হেইস বাইজম্যান৷ ফলে আনন্দিত বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী জানতে চাইলেন কি ধরনের পুরস্কার তিনি চান। উত্তর ছিল অর্থ নয় আমার স্বজাতির জন্য এক টুকরো ভূমি আর তা হবে ফিলিস্তিন৷ ফলে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডটি ইহুদিদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেয় বৃটেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ জয়ের পর বৃটেন স্বাধীনতা দেয়ার অঙ্গীকারে ১৯১৮ সাল থেকে ৩০ বছর দেশটিকে নিজেদের অধীন রাখে৷ মূলত এই সময়টিই ফিলিস্তিনকে আরব শূন্য করার জন্য ভালোভাবে কাজে লাগায় ইহুদি বলয় দ্বারা প্রভাবিত ইঙ্গ-মার্কিন শক্তি।
এর পরের ইতিহাস আমাদের প্রায় সবারই জানা। ফিলিস্তিনি মানুষের জীবন ইসরায়েলীদের কাছে যেন খেলনার বস্তু হয়ে দাড়িয়েছে।
এবার বলুন, ইতিহাসটা জেনে ইহুদী এই লোকটার উপর কি পরিমান রাগ জন্মাচ্ছে আপনার !!!
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২৪