মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় বালিয়াটি জমিদার বাড়িটি প্রায় ৫.৮৮ একর জমির উপর অবিস্থত। এখানে রয়েছে সাতটি দক্ষিণমুখী দালানের সমাবেশ যা ধারন করে আছে ২০০টি কক্ষ। এই দালানগুলো মধ্য ঊনবিংশ শতক থেকে বিংশ শতকের প্রথমভাগের বিভিন্ন সময়ে একটি স্থানীয় ধনী পরিবারের কয়েকজন সদস্যের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল বলে জানা যায়। এই পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন গোবিন্দ রাম সাহা। তিনি মূলত আঠারো শতকের শেষ দিকে একজন বর্ধিষ্ণু লবন ব্যবসায়ী ছিলেন। গোবিন্দ রাম সাহার পরিবারের জমিদারীর স্থায়ীত্বকাল ১৭৯৩-১৯৪৮ সাল পর্যন্ত।
এ জমিদার বাড়ির সামনের চারটি প্রাসাদ ব্যবহৃত হত ব্যবসায়িক কাজে। আর পেছনের দিকের প্রাসাদগুলোকে বলা হয় অন্দর মহল । বাড়ির লোকজন এখানে বসবাস করতেন। বর্তমানে যে প্রাসাদটি "বালিয়াটি প্রাসাদ" নামে খ্যাত সেটাকে বলা হতো পূর্ব বাড়ী।
১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর অধিগ্রহন করেন এবং বর্তমানে এর সংস্কার কাজ চলছে। এ পরিবারের বংশধর বাবু কিশোরী লাল রায় ঢাকার জগন্নাথ কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন।
(নেট ঘেটে পাওয়া তথ্য অনুসারে। বালিয়াটি জমিদারবাড়ি নিয়ে ব্লগে দারুন দারুন সব পোস্ট রয়েছে)
১. প্রবেশদ্বার
২.
৩.
৪. ছবিতে সামনের চারটি প্রাসাদের মাঝে তিনটিকে দেখা যাচ্ছে
৫. আরেকটি প্রাসাদ
৬.
৭. অন্দরমহল
৮. অন্দরমহলের ধ্বংসাবশেষ
৯.
১০.
১১. শান বাঁধানো ঘাট
১২. মূল প্রাসাদের দ্বিতীয় তলায় জমিদার বাড়ির আসবাবপত্র আর ব্যবহাদি জিনিসপত্র নিয়ে ছোট্ট একটা জাদুঘর আছে
**ঢাকার গাবতলী থেকে মানিকগঞ্জ বা সরাসরি সাটুরিয়া যাওয়ার বাস পাওয়া যাবে। জনট্প্রতি ভাড়া পড়বে ৬০-৭০ টাকা। সাটুরিয়া পৌঁছে সেখান থেকে রিকশা বা লোকাল সিএনজিতে করে জমিদার বাড়ি যাওয়া যাবে। জনপ্রতি ভাড়া ১০টাকা।
**বালিয়াটি জমিদার বাড়ি রোববার পূর্ণদিবস আর সোমবার অর্ধদিবস বন্ধ থাকে। অন্যান্য সরকারি ছুটির দিনগুলোতেও বন্ধ থাকে।
** জমিদার বাড়িতে প্রবেশের জন্য টিকেটের মূল্য জনপ্রতি ১০টাকা।
_____________________________________________
***আমার যত ভ্রমণ ও ছবিব্লগ***