আগের দিন শুনেছিলাম কাছেই একটা ঝর্ণা আছে। হেঁটে গেলে ৩-৪ ঘন্টা লাগতে পারে। তাই খুব ভোর বেলাতেই উঠলাম শেষদিন। আজ আমরা ফিরে যাবো, তাই ফিরে যাবার তাড়াটাও ছিলো।
এক.
দুই.
তিন.
চার.
পাঁচ.
ছয়.
সকালে চা খেয়েই রওনা দিয়ে দিলাম ঝর্নার পথে, কখনো পাহাড়, কখনো ঝিরি পথ ধরে। যেতে যেতে ছবি তোলা চলছিলো বরাবরের মতই।
খানিটা গিয়ে প্রথমে একটা ঝর্ণা পেলাম, যেটা পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসছে। ঝর্নাটা সুন্দর, কিন্তু ওটাতে আরাম করে ভেজার মত ছিলো না, তাই আরও সামনে এগুলাম। কিন্তু সামনে গিয়েও যেটা পেলাম সে ঝর্ণার পানি পাহারের গা বেয়ে নেমে আসেনি, কিন্তু তাতে পানি খুবই কম। আমাদের গাইড জানালো আরও কয়েক ঘন্টার পথ পাড়ি দিলে আমরা বড় একটা ঝর্ণার কাছে যেতে পারবো। কিন্তু আমাদের ফেরার তাড়া থাকায় আর এগোনোর পরিকল্পনা বাদ দিলাম। ওখানের ঝিরিতেই নেমে গেলাম। ঝিরির জলে গা ডুবিয়ে স্রোত টান অনুভব করতে করতে গোসলটা সেরে নিলাম ওখানে।
সাত.
আট.
নয়.
দশ.
এগারো.
বারো.
তেরো.
ফিরে এসে আমাদের তাড়াহুড়া বেড়ে গেল অনেক। নিজেরাই নুডুলস রান্না করে খেয়েই রওনা দিয়ে দিলাম। এরমধ্যে আবার আকাশ কালো করে এলো বৃষ্টি, কেউ কেউ আরেক দফায় ভিজে নিলো বৃষ্টিতে।
চৌদ্দ.
পনেরো.
ষোল.
সতেরো.
আঠারো.
উনিশ.
অবশেষে বিদায় নিয়ে ফারুয়ার দিকে রওনা হলাম আমরা।
ফারুয়াতে আমাদের বড় নৌকাটা আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলো। আমরা ফারুয়া বাজারে উঠে খেয়ে নিলাম, কিছু খাবার কিনেও নিলাম। তারপর আবার রওনা কাপ্তাইয়ের পথে। গানের দল বিকেলের আলোতে আবার গান শুরু করে দিলো, গানের সাথে সাথে সন্ধ্যা মিলিয়ে আসছে আর আমরা বকের ডানায় ভর করে বিদায় জানালাম পাহাড়গুলোকে।
বিশ.
একুশ.
বাইশ.
তেইশ.
চব্বিশ.
পঁচিশ.
ছাব্বিশ.
সাতাশ.
আঠাশ.
উনত্রিশ.
ত্রিশ.
_____________________________________________
ছবিব্লগ: রাইখ্যং-এর উজান বেয়ে পানছড়ি: পর্ব ১ (কাপ্তাই থেকে ফারুয়া): Click This Link
ছবিব্লগ: রাইখ্যং-এর উজান বেয়ে পানছড়ি: পর্ব ২ (ফারুয়া থেকে পানছড়ি): Click This Link