এক
এইতো সেদিনি বিয়ে করলেন ও পাড়ার বড় ভাইয়াটা । মাঝে মাঝেই উনার ঘরে যেতাম । প্রায়ই দেখতাম উদাস হয়ে জানালার দিকে তাকিয়ে আছেন । মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি । গল্প করার সময় ইয়া বড় খাটের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলতেন। প্রায় সময় বলেই ফেলতেন - "ধূর, একা আর ভালো লাগেনা ।" তা সেই দীর্ঘশ্বাস আমারো ছিলো বৈকি । আমারো যে সেই পুরনো আমলের সেগুন কাঠের কাজ করা মস্ত বড় পালংক । আমিও সেই খাটের দিকে তাকিয়ে মাঝে মাঝে সেই বড় ভাইয়াটার মতো আফসুস করি ।

এখন নিশ্চয় সেই বড় ভাইয়াটার আফসোস আর নেই । নিশ্চয় আগের মতো বিছানার এপাশ ওপাশ নড়াচড়া করে ঘুমোতে হচ্ছেনা । বউকে জড়িয়ে ধরে সারারাত ভালোই ঘুমাচ্ছেন !


এইতো চলে যাচ্ছে । নতুন সংসারের কি অবস্থা ?
-আর বলোনা । তোমার ভাবি আমাকে ছাড়া থাকতেই চাইনা । রাতে ঠিকমতো ঘুমোতেও দেয় না ।

আমি চুপ করে থাকি । একটু হেসে চাপা একটা নিশ্বাস ফেলে চলে আসি ।
দুই
আমার বন্ধুটা চাকরি পেয়েছে বেশী দিন হয়নি । খুব ভালো বেতনের চাকরি । সাথে কোম্পানির নানা রকম সুবিধা । চায়ের দোকানে সেদিন সন্ধ্যাবেলায় আড্ডা দিতে দিতে হঠাৎ সে বলল - চল অটবিতে , একটা খাট কিনে নিয়ে আসি ।
- হঠাৎ খাট কেন ? তোর তো একটা আছেই ।

আরে, যেটা আছে সেটাতো সিংগেল । এখন বড়সড় একটা খাট লাগবে ।
-বড়সড় খাট দিয়ে কি করবি ?
আরে বোকা, বড় খাটে খেলতে সুবিধা ।

-কি খেলবি ?

নাহ , তুই আসলেই সেই আগের মতই হাবা রয়ে গেলি । বিয়ে করবো বুঝলি , বিয়ে ।

শুকনো গলায় বললাম - ও ।

এরপর বন্ধুটি নিজে থেকেই ইনিয়ে বিনিয়ে বলা শুরু করল বাসর রাতে সে কি করবে, কিভাবে বউয়ের ঘোমটা সরাবে , খাটে কিভাবে খেলবে


পরিশিষ্ঠ :
সেদিনি বন্ধুকে খাট কিনে দিয়ে মন খারাপ করে বাসায় ফিরলাম । নিজের রুমে এসে খাটের দিকে চোখ পড়তেই বুকটা ছ্যাৎ করে উঠল । শূণ্য বিছানা । কোথাও কেউ নেই । মনটা হাহাকার করে উঠল


*এই পোষ্ট ভালো লাগলে নিচের পোষ্টও ভালো লাগবে আশা করি-
চুমো দিতে গিয়ে----


