প্রবাসে বাংলাদেশের রক্তের উত্তরাধিকারী গুণীগন -পর্ব - ১৬১ হতে ১৬৫।
১৬১/ নাসার বর্ষসেরা গবেষক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মাহমুদা সুলতানা
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত গবেষক মাহমুদা সুলতানকে বর্ষসেরা উদ্ভাবক ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (নাসা)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি সুলতানার ন্যানো ম্যাটেরিয়াল নিয়ে গবেষণা ও মহাকাশে ক্ষুদ্র ও যুগান্তকারী ডিটেক্টর ও ডিভাইস তৈরির পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্য ২০১৭ সালে তাকে ‘আইআরএডি ইনোভেটর অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করা হয়।যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডে অবস্থিত নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের ইন্টারনাল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবনের জন্য প্রতিবছর এই পুরস্কার দিয়ে থাকে।
নাসার সাময়িকী Cutting Edge এর লেটেস্ট ইস্যুর প্রচ্ছদ প্রতিবেদনই করা হয়েছে মাহমুদাকে নিয়ে। তিন পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে শুধু তাকে নিয়ে নাসার বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের মুগ্ধতার বন্যা।
যেমন নাসা গডার্ডের চিফ টেকনলজিস্ট বললেন, এত অল্প সময়ে এত বেশি দক্ষতা সে দেখিয়েছে গবেষণা আর আবিষ্কারে, আমি শুধু কল্পনাই করতে পারি ভবিষ্যতে কি করবে। আমরা ভাগ্যবান যে সে আমাদের সাথে কাজ করতে এসেছিলো।কর্মকর্তা পিটার হিউজেস আরো বলেন, এ বছর মাহমুদা সুলতানার মতো মেধাবীকে ‘ইনভেন্টর অব দ্য ইয়ার’-এ মনোনীত করতে পেরে আমরা গর্বিত। মাহমুদা নাসার যে কয়েকটি কাজে অংশ নিয়েছেন, তার সবকটিতেই অসাধারণ সৃজনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। আমরা আশা করছি, চমৎকার নৈপুণ্যের কারণে শিগগিরই মাহমুদা নাসার একজন ন্যানো-টেকনোলজি বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠবেন।
তার সহকর্মী, নাসার আরেক টেকনোলজিস্ট তাকে নিয়ে বলে, “মাহমুদার মধ্যে আমি একজন প্রফেশনাল তরুণীকে দেখি যে নাসাতে অনেকদুর যাবে।
চিফ টেকনলজিস্ট টেড সোয়ানসনও মনে করেন, একজন সফল আবিষ্কারক হবার সব গুণ আছে তার মধ্যে।
পুরস্কারের ঘোষণায় মাহমুদা সম্পর্কে বলা হয়, Mahmooda has distinguished herself as a tenacious, creative thinker, impressing virtually everyone with her technical acumen and drive” মূলত মহাকাশে সহজে ব্যবহার করা যাবে এমন ছোট ও যুগান্তকারী প্রযুক্তির যন্ত্র আবিষ্কারের জন্যই এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
২০১০ সালে MITথেকে কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি নেবার আগেই এক জব ফেয়ারে তিনি নাসার গডার্ড ডিটেক্টর সিস্টেম ব্রাঞ্চে জবের অফার পান। এর আগেই তিনি ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট করেছিলেন, ততদিনে কাজ শুরু করেছিলেন বিখ্যাত বেল ল্যাবরটরিতে রিসার্চ একাউন্টেন্ট হিসেবে।
মাহমুদা সুলতানা কিশোর বয়সে পরিবারের সাথে আমেরিকা যান। তার বড় চাচাও নাসার এমস রিসার্চ সেন্টারে ফিজিসিস্ট হিসেবে কাজ করেন। তাই ছোট বেলা থেকেই নাসার বিভিন্ন গবেষণা, অর্জন নিয়ে তার পড়াশুনা সম বয়সীযে কারো থেকে অনেক বেশী ছিলো, নাসাতে কাজ করার যে স্বপ্ন তিনি দেশে বসে দেখতে শুরু করেছিলেন, ২০১০ সালে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
মূলত ন্যানো টেকনোলজি, 3D প্রিন্টিং, ডিটেক্টর ডেভেলপমেন্ট এসব নিয়েই মাহমুদার গবেষণা। MIT-এর সাথে মিলে কোয়ান্টাম ডট প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন আলো তরঙ্গ ডিটেক্টর নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি। থ্রিডি প্রিন্টার আরো সহজ করার জন্যও তার আবিষ্কার ‘গ্রাউন্ড ব্রেকিং’ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
পুরস্কার পাওয়ার পর মাহমুদা বলেন, যখন আমি প্রথম নাসা গডার্ডে আসি তখন গ্রাফিন নিয়ে গবেষণা প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল। আমরা প্রতিদিনই গ্রাফিনের ব্যবহার করে থাকি। তবে মহাকাশেও কীভাবে গ্রাফিনের ব্যবহার করা যায়, আমি সেটাই চেষ্টা করেছি।
তার গবেষণার পরিধি আরো বাড়াতে চান বলেও জানিয়েছেন মাহমুদা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশি তরুণী মাহমুদা সুলতানা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উচ্চতর শিক্ষা নেন। এরপর তিনি ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
মাহমুদা।
মাহমুদার গ্রামের বাড়ি ঈশ্বরদী জেলার সলিমপুর ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে।
Click This Link target='_blank' >সুত্র- এখানে
১৬২/ আমেরিকায় ৭০০০ একর জমির মালিক বাংলাদেশি ডাঃ কালী প্রদীপ চৌধুরী।
কালীপ্রদীপ চৌধুরী। বাংলাদেশের সিলেটের সন্তান। সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার দত্তরাইলে জন্ম তাঁর।জমিদার কালীপদ দত্ত চৌধুরী সন্তান কালী প্রদীপের ছেলেবেলা কেটেছে এখানেই। পড়ালেখা করেছেন সিলেটের এমসি কলেজে। তারপর কলকাতা থেকে এমবিবিএস পাস করে মালোয়েশিয়া, ইংল্যান্ড, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক ডিগ্রি অর্জন করে তিনি একজন বিশ্ব বরেন্য অর্থপেডিক চিকিৎসক।
ডাক্তার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও কালী প্রদীপ এখন আমেরিকার বরেণ্য ব্যবসায়ী। তার কেপিসি গ্র“প আমেরিকায় ৭ হাজার একর জমির মালিক। আছে ৩০ লাখ বর্গফুটের বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ।
তার মালিকানায় আছে ২৬টি বিশ্বমানের মেডিকেল কলেজ। তার গড়া হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে কাজ করেন ৫ হাজার ডাক্তার, ১৩ হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী। বিশ্বের ৮টি দেশে আছে তার কেপিসি গ্র“পের ব্যবসা। ভারতে আছে ১৬টি চা বাগান। যার একটি ৫০ হাজার একর আয়তনের।ইউক্রেনে আছে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে আছে ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট ২৬টি বিশ্বমানের মেডিকেল কলেজ।ক্যালিফর্নিয়ায় কালী প্রদীপ চৌধুরী যে বাড়িতে থাকেন তার আয়তন সাড়ে তিন বর্গ কিলোমিটার।
এর বাইরে আছে বিশ্বের মোড়লদের সাথে সখ্যতা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, রিগ্যান, জর্জ বুশ, সিনিয়র বুশ, হিলারি ক্লিনটন এরা তার নিয়মিত ডিনার সঙ্গী। তাঁর সম্মানে যুক্তরাষ্ট্রে ৫৫কি.মি দীর্ঘ সড়কের নামকরণ করা হয়েছে।
বিশ্বসেরা ধনীব্যক্তিদের একজন তিনি। কিন্তু ভুলেননি স্বদেশকে। সুযোগ পেলেই চলে আসেন বাংলাদেশে। তার নিজ গ্রামেই প্রতিষ্ঠা করেছেন ৩টি কলেজ, এর মধ্যে একটিতে আছে ৫টি বিষয়ে অনার্স কোর্স। কিন্তু কালী প্রদীপ অন্যভাবে স্বপ্ন দেখছেন। সারাদেশে আছে একটিমাত্র মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। সিদ্ধান্ত নিলেন নিজ গ্রামে পৈতৃক সম্পত্তির ৩৫ একর জায়গা জুড়ে নির্মাণ করবেন বিশ্বমানের একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নির্দেশে অর্থমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর সহোদর সাবেক রাষ্ট্রদূত একেএম আব্দুল মোমেন দায়িত্ব নিয়েছেন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়টি তৈরীর। যেকোন মূল্যে জমিদার বাড়ির সম্পত্তির উপরই নির্মাণ হবে বিশ্বমানের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। দেশ-বিদেশ থেকে রোগীরা চিকিৎসার জন্য ছুটে আসবেন এখানে। প্রপিতামহ কালিকাপ্রসন্ন দত্ত চৌধুরীর স্বপ্ন বড় পরিসরে বাস্তবায়িত হবে এই স্বপ্ন দেখেন ডা. কালী প্রদীপ দত্ত ও সহোদরা তৃঞ্চা দত্ত। এদিকে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম টাওয়ার নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন ড. কালী প্রদীপ চৌধুরী।
রাজধানী ঢাকার পূর্বাচল এলাকায় ১৪২ তলা বিল্ডিং নির্মাণ করছেন ড. কালী প্রদীপ চৌধুরী। ড. কালী প্রদীপ দত্ত চৌধুরী টাওয়ার (কেপিসি টাওয়ার) নামের এই আইকন টাওয়ারটি শ্রীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করার কথা।যা হবে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম উচু ভবন।এর প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৩২ হাজার কোটি টাকা।
এর পরই শুরু হবে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ। মেডিকেল বাস্তবায়ন সহ অন্যান্য কাজে এলাকার সকলের সহযোগিতা চান সিলেটের এককালের দাপটে জমিদার পরিবারের সন্তান ড. কালী প্রদীপ চৌধুরী ।
বাংলাদেশের নাগরিক ডা. কালী প্রদীপ চৌধুরীর সাফল্যে বাংলাদেশ আজ গর্বিত।
সুত্র- এক
সুত্র- দুই
সুত্র- তিন
বিজ্ঞাপন বিরতি-
* প্রবাসে বাংলাদেশের রক্তের উত্তরাধিকারী গুণীগন - পর্ব ১ হইতে ১৬৫ একসাথে পেতে----
* এই পোস্টের গুণীজনদের নিয়ে দুটি গ্রন্থ প্রবাসে বাংলাদেশী গুণীজন ও
ক্ষুদে জিনিয়াসদের কথা এখানে।
১৬৩/ অ্যালার্জির কারণ উদঘাটন করলেন বাংলাদেশি গবেষক ড. হায়দার আলী
অ্যালার্জি হওয়ার কারণ উদঘাটন করেছেন বাংলাদেশি গবেষক ড. হায়দার আলী। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত গবেষণা প্রবন্ধ ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভেনিয়ার (ইউপেন) এক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে আগামী ২৫-২৭ মে অনুষ্ঠিতব্য ‘ইউরোপিয়ান মাস্ট সেল অ্যান্ড বাসফিল রিসার্চ নেটওয়ার্ক ইন্টারন্যাশনাল মিটিং’-এ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ড. হায়দার আলী।
ইমিউন সিস্টেমের একটি ক্ষুদ্রাংশ ‘মাস্ট সেল’ আবিস্কার করে গবেষণা জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন ড. হায়দার আলী। কারণ, এই সেল হচ্ছে অ্যালার্জি ও অ্যাজমার কারণ। ড. হায়দার আলীর গবেষণায় উদঘাটিত হয়েছে যে, ইমিউন সিস্টেমের একটি অংশ হলো মাস্ট সেল, যা রক্তে থাকে না, এটি থাকে টিস্যুতে।
সিলেটে জন্ম নেওয়া হায়দার আলী শৈশবেই যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং সেখানেই লেখাপড়া করেন। তিনি পিএইচডি থিসিস এবং পোস্ট ডক্টরাল থিসিস করেন লন্ডনে। ১৯৯৮ সাল থেকেই তিনি মাস্ট সেল নিয়ে গবেষণা করছিলেন।
তিনি ইউপেনের প্যাথলজির অধ্যাপক এবং ইউপেন স্কুল অব ডেন্টাল মেডিসিনের ফ্যাকাল্টি এডভান্সমেন্ট ও ডাইভার্সিটির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
১৬৪/ ইউরোপিয়ান তরুণ গবেষক সম্মাননা পেলেন বাংলাদেশি মুকিত
পারকিনসন রোগের গবেষণায় অবদানের জন্য ইউরোপিয়ান ইনভেস্টিগেটর সম্মাননা পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ তরুণ গবেষক ড. মিরাতুল মুকিত। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ডান্ডিতে গবেষক হিসেবে কর্মরত মুকিত ।
প্রতিবছর ইউরোপিয়ান মলিকিউলার বায়োলজি অরগানাইজেশন ইয়ং ইনভেস্টিগেটর প্রোগ্রাম (ইএমবিও ওয়াইআইপি) শীর্ষক এ সম্মাননায় ইউরোপ, ইসরাইল, তুরস্ক সিঙ্গাপুরের গবেষকদের মধ্যে সবচেয়ে মেধাবী জনকে ভূষিত করা হয়। সম্মাননার পাশাপাশি ভবিষ্যতে আরো ভালো গবেষক হয়ে ওঠার জন্য একাডেমিক, ব্যবহারিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়।
এমআরসি প্রোটিন ফসফরাইলেশন অ্যান্ড ইউবিকিটিলেশন ইউনিট প্রকল্পের ওয়েলকাম ট্রাস্ট ক্লিনিক্যাল গবেষক ছিলেন মুকিত। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব লাইফ সায়েন্সের একটি অংশ। তার গবেষণা পারকিসন্স রোগের কারণ আরো ভালোভাবে বুঝতে সহায়তা করবে। নাইনওয়েলস হসপিটালের স্নায়ুবিদ পরামর্শক মুকিত। তিনি সেখানে মূলত অঙ্গ অকেজো হয়ে যাওয়া রোগীদের চিকিৎসা করেন।
সম্মাননার বিষয়ে মুকিত বলেন, আমি ইএমবিএ ওয়াইআইপি প্রোগ্রামে সংযুক্ত হতে পেরে খুশি। এখানে ইউরোপের সেরা গবেষকদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার সুযোগ মিলবে যা আমাদের গবেষণার প্রচেষ্টাকে ধারালো করে তুলবে। মুকিত আগেও ইউরোপিয় গবেষক দলের সঙ্গে কাজ করেছেন। ২০০৪ সালে পারকিনসন্স রোগের জন্য যে পিংকওয়ান জিনের মিউটেশন (পরিব্যক্তি) দায়ী তা আবিষ্কারকারী টিমের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।
মুকিত ইউনিভার্সিটি অব ডান্ডিতে ২০০৮ সাল থেকে এই জিনের ওপর গবেষণা করছেন। তিনি দেখিয়েছেন, পিংকওয়ান জিনটির বিচ্যুতি কীভাবে পারকিনসন্স রোগ সৃষ্টি করে। তার এই কাজ পারকিনসন্সের বিষয়ে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দিয়েছে।
তথ্য সূত্র: রাইজিং বি ডি ও ইত্তেফাক
১৬৫/ স্মার্ট চশমা আবিষ্কার করলো বাংলাদেশি গবেষক নাজমুল হাসান
বাঁয়ে নাজমুল হাসান, ডানে কার্লোস মাসট্রেঙ্গেলো
যুক্তরাষ্ট্রের `ইউনিভার্সিটি অব উথা` বাংলাদেশি ডক্টরাল শিক্ষার্থী নাজমুল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে স্মার্ট চশমা তৈরি করেছে। এই গবেষণা কার্যক্রমের প্রধান হিসেবে রয়েছেন কার্লোস মাসট্রেঙ্গেলো। তাদের সফল গবেষণার কারণে সবচাইতে বেশি উপকার পাবেন, যারা রিডিং গ্লাস ব্যবহার করেন। কেননা দূরের কিছু দেখার জন্য তাদের চশমা খুলতে হত আবার কাছের কিছু পড়ার জন্য চশমা চোখে দিতে হত। কিন্তু এখন থেকে তার আর প্রয়োজন হবে না।
প্রধান গবেষক কার্লোস মাসট্রেঙ্গেলো বলেন, এখানে খুব সাধারণ কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। একটি ব্যাটারি, ক্ষুদ্র মটর এবং কিছু সার্কিটের সহায়তায় এই চশমাটি তৈরি করা হচ্ছে যা আপনার দৃষ্টির সঙ্গে ফোকাস করতে সময় নেবে মাত্র ১৪ মিলি সেকেন্ড।
চশমাটির প্রোটো টাইপ পরীক্ষা করে ফলাফল নিশ্চিত হওয়া গেছে। কিন্তু এটা কিছুটা ভারি। বর্তমানে এই চশমাকে সাধারণ চশমার মত কিভাবে হালকা করা যায় তা নিয়ে কাজ করছে এই গবেষণা দল।
উল্লেখ্য, নাজমুল হাসান বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির সাবেক শিক্ষার্থী।
সুত্র - এখানে
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬