(ডায়েরির পাতা থেকে)
..........
কাল মেসেজ দিলে "কেমন আছিস?"
সেই কুশলের উত্তর এটি।
ঢং করে "ভালো আছি" লিখার মত
শক্তি হারিয়ে ফেলেছি।
আমি কিভাবে ভালো থাকি তার একটু
যদি এসে দেখে যেতে নিখিলেশ! (নিক নেম)
হাতের মধ্যমা অঙ্গুলি উঁচিয়ে ইমোটিকনের
মানে বুঝিস?
এভাবে নির্ঘুম রাত কাটিয়ে দেহের
অবস্থা কঙ্কালসার হয়ে যাচ্ছে।
কখন জানি সুনীলের সেই শেষ পুরহিত-
কঙ্কালের পাশা খেলা বয়ে যাবে এ দেহে।
ভাবতেই আঁতকে উঠি।
শেষ দুবছরে ঐতিহাসিকভাবে সঙ্গি হয়ে
থাকা পানির বোতলের কথা মনে আছে?
এই অসহায় সঙ্গি ছাড়া রাতে বিছানায়
যাই না।
রাতের মধ্যে চার-পাঁচবার গলা ভিজাতে
হয়।
এভাবে মাসের পর মাস রাতে ঘুমুতে না
পারা এবং দিনেরবেলা বিদ্যুতের অহেতুক
খেলার মধ্যে ঘুম আসবে কখন?
বই পড়ে? অথবা উপুড় হয়ে শুয়ে থেকে কতক্ষণ
মোবাইল হাতে নিয়ে থাকা যায়?
মাথার প্রতিটা চুল জানে তাদের উপর চলে
কত নির্যাতন?
জড়পদার্থ বলে যাদের চিনি।
আজ তারা একে একে সুইসাইড করে আমার
মাথাখানি টাকলুর পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
আর আমি তো ঠুনকো!
প্রিয় নিখিলেশ...
তীব্র মানসিকচাপে মাথার প্রতিটা নাট-
বল্টু এত ডিলে হয়েছে যে,
কিছুই সহজে নিতে পারিনা। অথবা
দুনিয়ার সবকিছু মেনে নেয়ার মত শক্তি
খোদা দিয়ে দিয়েছেন।
স্রষ্টার কি রহম?
ব্রেইনের প্রতিটা কোষ মিছিল শুরু করে
দিয়েছে।
তাহাদের খাদ্য আমি দিতে পারিনি।
ভয় হয়..
এই তীব্র মানসিকযন্ত্রনায় স্থায়ীভাবে
কিছু যদি হয়ে যায়।
অনেক কিছুই তো হতে পারে।
তিন বছর!
তিনতিনটে বছর এ অসহ্য যাঁতাকলের প্রভাব
খুব খারাপ কিছু হয়ে যেতে পারে
নিখিলেশ।
এ থেকে পরিত্রাণের কি কোন পথ আছে?
চুনাওঠা পাঁচিলের উপর কলঙ্ক লেপন কতটা
মানানসই?
যে কলঙ্ক যুগের পর যুগ তাহাকে তাড়িয়ে
বেড়াচ্ছে।
ভাববে এত সময়...
এবার একটু হাসির ইমো দেই।
যে মন কল্পনার সীমানা পেরিয়ে
দুশ্চিন্তার মহাকাশে আছড়ে পড়েছে..
তাহার আবার সময়।
পৃথিবীর সময়কেথন ওখানে চলেনা।
প্রিয় নিখিলেশ!
আজ এ পর্যন্তই।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৩৯