হয়ত একফোঁটা জলবুদ্বুদ জানিয়ে দিচ্ছে
মর্ত্যভূমি কয়েক সেকেন্ডের জন্য গা-
ঝাঁকুনি দিয়ে উঠিবে।
কয়েক সেকেন্ড?
মর্ত্যের এক সেকেন্ড ইক্যুয়াল আমাদের
কয়েকমিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা বেশি হবে
তা চোখ বুজে বলা যায়।
সিগারেটের প্রথম টান দিয়ে দ্বিতীয় টান
দিবার পূর্বেই দুপায়ের মাঝের ভূমি ফাটল
ধরে দুখণ্ড হয়ে তাতে নিমজ্জিত হতে টাইম
নিবে দু'মিনিট।
আমাদের ধরণিতে নর্মালি ওয়ার্ণিং
এরিয়ার বাইরেও যে কতবেশি আনস্টেবল
হতে পারে তা আমাদের জানার বাইরে।
ক্যালিফোর্নিয়া যদি ওয়াশিংটনে অথবা
আলাস্কায় আছাড় খেয়ে পড়ে অথবা
আইফেল টাওয়ার যদি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে
ঝরাপাতার মত উড়েউড়ে চলে যায় তবে
অবাক হবারই কথা।
মাউন্ট এভারেস্ট তোলার মত উড়ে যদি
সেখানে ডেড'সি তে পরিণর হয়।
কিংবা ডেড'সি তে যদি মাউন্ট এভারেস্ট
ধারণ করে তবে তো অবাক হওয়ারই কথা।
পৃথিবীর বুকে উঁচুউঁচু টাওয়ারেরা টু-ইন ওয়ান
টাওয়ার থেকে থ্রি, ফোর কিংবা ফাইভ ইন
টাওয়ার হয়ে চুম্বন খেয়ে আছাড় খেয়ে পড়ে
যায় তবে অবাক হবারই কথা।
সমুদ্রগর্ভে যদি থাকে শীতলতা ভূগর্ভে
আছে অগ্নিশিখা। কখনো যদি
শিখাবিস্তার করিয়া জ্বলিয়া ওঠে অথবা
আবেগে ফাটিয়ে পড়ে তবে সমুদ্রজল চলে
যাবে তাহার মানে অগ্নিকণার আন্ডারে।
যে ভূমি নিয়ে আমাদের এত অহংকার।
ভাইয়েভাইয়ে অথবে চাচাভাতিজায়
খুনোখুনি সেই ভূমিতে যদি ফাটল ধরে তবে
তাহাতে বাংলাদেশের মত তিন-চারটে
বাংলাদেশ রাক্ষসের মত গলাধঃকরণ করতে
দু'মিনিট সময় নিবে।
অথবা সেই ফাটল যদি অগ্নিগৃহের কপাটে
গিয়ে কড়া নাড়ে তবে এশিয়ামহাদেশের
মত দু-তিনটে মহাদেশ অগ্নিগর্তে রূপ নিতে
দু'মিনিট সময় নিবে।
অথবা মৃত্তিকার কাঁপুনি যদি বঙ্গোপসাগর
কিবা আটলান্টিকের কাছে পৌঁছে তবে
আমাদের এ ধরাধাম জলগ্রহণ করতে তিন
মিনিট টাইম নিবে।
এখনো আমরা দেখেছি ৫, ৬ মাত্রার কম্পন।
সেটি যদি ৭,৮ হয়ে ১০ পর্যন্ত পৌঁছে যায় তবে
খবর আছে।
প্রথম ধারণা নিয়েছিলাম ব্লগ থেকে।
কিন্তু চাচাতো ভাইয়ের ধারে দেয়া মুভি
টি দেখার পর রক্ত টগবগিয়ে উঠিল।
আপাতত "সান এন্ড্রাইস" মুভিটি দেখেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৫৪