১. শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ঃ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয় (সাস্ট)। সিলেটে আসলে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি একবার দেখে যাবেন। এত বড় ক্যম্পাস যেটা আপনাকে মনমুগ্ধ করবেই।
সাস্ট ১ কিমিঃ রাস্তা
সাস্ট ড্রোন
২. লালাখালঃ- এখানের সারী নদীর পানি আল্লাহ্ প্রদত্ত। প্রাকৃতিক ভাবে এর মত স্বচ্ছ পানি বাংলাদেশ কি পৃথিবীর আর কোথাও নেই।
লালাখাল, সিলেট।
৩. রাতারগুলঃ- প্রকৃতির অপরুপ সৃষ্টি রাতারগুল। দেশ বিদেশের অসংখ্য লোক শুধু এই যায়গাটি দেখার জন্য সিলেট আসেন। তারাই এটিকে মিনি সুন্দরবন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
৪. মাধবকুন্ড (জলপ্রপাত)ঃ- প্রকৃতির অকৃত্রিম রূপ লাবণ্য বার বার বিমোহিত করেছে প্রকৃতি প্রেমীদের। পাহাড়ের উপর থেকে পানির ধারাপতন আর স্বচ্চ পানির গতিময় ছন্দপতন আকৃষ্ট করছে সববয়সী মানুষকে।
৫. চা বাগানঃ- নীল আকাশের নিচে যেন সবুজ গালিচা পেতে আছে সজীব প্রকৃতি। উঁচু-নিচু টিলা এবং টিলাঘেরা সমতলে সবুজের চাষাবাদ। শুধু সবুজ আর সবুজ। মাঝে মাঝে টিলা বেষ্টিত ছোট ছোট জনপদ। পাহাড়ের কিনার ঘেষে ছুটে গেছে আকাবাঁকা মেঠোপথ। কোন যান্ত্রিক দূষণ নেই। কোথাও আবার ধাবমান পথে ছুটে চলছে রূপালী ঝর্ণাধারা। প্রকৃতির সকল সৌন্দর্যের সম্মিলন যেন এখানে। এমন অন্তহীন সৌন্দর্যে একাকার হয়ে আছে সিলেটের চা বাগান। সিলেটের চা বাগানের খ্যাতি রয়েছে সারা বিশ্বজুড়ে। দেশের মোট চায়ের ৯০ শতাংশই উৎপন্ন হয় সিলেটে। এজন্য সিলেটকে দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশও বলা হয়। বিভিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ হলেও প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে অন্য এক ভালোলাগার ধারক হয়ে আছে সিলেটের চা বাগান। তাই ছুটির অবসরে কিংবা বৈকালিক বিনোদনের তৃষ্ণা মেটাতে তারা ছুটে যান চা বাগানের সবুজ অরণ্যে। সারাটা বিকাল চলে সবুজের ভেতর লুকোচুরি, হৈ হুল্লোড় আর আনন্দে অবগাহন। বাংলাদেশের মোট ১৬৩টি চা বাগানের মধ্যে ১৩৫টি রয়েছে বৃহত্তর সিলেটে।
দুটি পাতা একটি কুড়ির দেশ- মালনি ছড়া চা বাগান,সিলেট
দুটি পাতা একটি কুড়ির দেশ- শ্রীমঙ্গল,সিলেট
৬. জাফলংঃ- জাফলং নিয়ে কিছু বলার নাই।ওপারে খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়, এপারে নদী। পাহাড়ের বুক চিড়ে বয়ে চলছে ঝর্ণা, আর নদীর বুকে স্তরে স্তরে সাজানো নানা রঙের নুড়ি পাথর। দূর থেকে তাকালে মনে হবে আকাশের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে পাহাড়। পাহাড়ের গায়ে নরম তোলার মতো ভেসে বেড়াচ্ছে মেঘরাশি। প্রকৃতির এই অপরুপ সৌন্দর্য আর কোথায় পাবেন, জাফলং ছাড়া? প্রকৃতির রূপ কন্যা বলা হয় এই জাফলং কে! ধলাই ও পিয়াইনের স্বচ্ছ জলে দল বেঁধে ঘুরে বেড়ায় নানা জাতের ছোট মাছ। দুই নদীর পানির নিচ থেকে ডুব দিয়ে হাজার হাজার শ্রমিকের পাথর উত্তোলনের দৃশ্যও মুগ্ধ করে পর্যটকদের।
৭. তামাবিলঃ- বাংলাদেশ-ভারত বর্ডার যেখানে "বাংলাদেশ ০ কি: মি:" লেখা মাইলফলক আছে৷ মাইলফলক এর পাশে দাড়িয়ে দুই দেশের মাটিতে পা দিয়ে ছবি তোলার অনন্য সুযোগ থাকবে৷
৮. জৈন্তাপুর গৌর গোবিন্দ রাজ প্রাসাদঃ- ১৮শ শতকের জৈন্তা রাজবংশের রাজাদের বাসভবন ছিল এই প্রাসাদ৷ জৈন্তাপুর ছিল তখন রাজধানী৷ অল্প কিছু নিদর্শন এখনো আছে৷ পিকনিক স্পট হিসেবে নাম আছে মহা লক্ষি মন্দির।
৯. লাউয়াছেড়া রেইন ফরেস্টঃ- বাংলাদেশের অন্যতম সংরক্ষিত বন৷ ঘন জঙ্গলের ফাকে প্রচুর বানর এবং পাখি দেখতে পাওয়া যায়৷ বনে বাঘ, অজগর, হরিন দেখতে পাওয়া যায় বলে শোনা যায়৷ টিলার উপরে কিছু রেস্টুরেন্ট আছে৷ এশিয়ার এক মাত্র ক্লোরোফর্ম গাছ এখানেই আছে যার বাকল এর গন্ধ নিলে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে৷
১০. শ্রীমঙ্গলঃ– বাংলাদেশের চা শিল্পের রাজধানী দুটি পাতা একটি কুড়ির শ্রীমঙ্গল৷ কার্পেটের মত সাজানো চা বাগান সবদিকে৷ এখানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় চা বাগান সহ বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউট ও অনেক গুলো প্রসেসিং প্লান্ট আছে৷ চা পাতা থেকে চা প্যাকেটজাত করা পর্যন্ত পুরোটুকু দেখতে চাইলে ফ্যাক্টরী ঘুরে দেখা যায়৷ শ্রীমঙ্গলের নিলকন্ঠ কেবিন এর সাত রঙের রংধনু চা (৭০ টাকা) ও বিখ্যাত৷ লেবু ও কমলার বাগানও আছে৷
১১. মাধবপুর লেকঃ- শ্রীমঙ্গল এর কমলগঞ্জ এ আছে এই লেক৷ সবসময় শতশত পদ্ম আর শাপলা ফুটে থাকে৷ এখানে একটা পার্ক আর পিকনিক স্পট আছে৷ পাশের টিলার উপর থেকে শ্রীমঙ্গল এর চা বাগান এর বিস্তৃতিটা ভালো মত বোঝা যায়৷ এখানকার মনিপুরি পাড়াতে ঘুরে আসা যায়৷ তাদের শিল্পকলার সাথেও পরিচিত হওয়া যায়৷ চা পাতা দিয়ে তৈরী আলাদা আর মজাদার বিভিন খাবার পাওয়া যায়৷
১২. বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান এর সমাধি:- মাধবপুর লেক থেকে বর্ডার এর দিকে গেলে বি ডি আর চেক পোস্ট আছে৷ ওখানে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান এর সমাধি আছে৷ সীমানা জটিলতায় ভারতের অংশে তার কবর টা পড়ে গেলে আবার সেখান থেকে এনে এই চেকপোস্ট এর এখানে সৌধ তৈরী করা হয়৷
১৩. হজরত শাহজালাল (রঃ) এর মাজার:- কিছু বলা লাগবেনা।
জ্বালালি কবুতর
দরগাহ পুকুরে মাছ
১৪. বিছানাকান্দিঃ- এই জায়গায় যে একবার যাবে সে প্রকৃতির প্রেমে পড়বেই পড়বে...!
১৫. হাকালুকি(হাওর)ঃ- কিছু বলা লাগবেনা।
১৬. চাসনি পীরের মাজার:- মৃত্তিকা বিজ্ঞানী। শাহজালাল(রঃ) ইয়েমেন থেকে যখন মাটি নিয়ে আসলেন তখন তিনিই তা পরীক্ষা করে সিলেটের মাটির সাথে সাদৃশ্য পেয়েছিলেন।
১৭. হাম হাম(জলপ্রপাত)
১৮. আদমপুর বন
১৯. ক্ষিতিশ বাবুর চিড়িয়াখানা
২০. লোভা ছড়া চা বাগানঃ- আমার বাড়ির পাশেই। বিস্তারিত লোভাছড়া চা বাগান
আরো অনেক! একটি লেখায় যাহা তুলে ধরা সম্ভব নায়।
আর যে কথা বলছিলাম "আমন্ত্রণ থাকল সিলেটে"।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:২৩