মাস ছয়েক আগের কথা। গ্রীষ্মের এক আগুন গরম দুপুরে নুহ ঘুমাচ্ছিলেন তার পুরান ঢাকার এক গলির ব্যাচেলর রুমে।কারেন্ট নেই,থাকার কথাও না।এই অসহ্য গরমেও তিনি ঘুমাচ্ছেন নাক ডেকে। ইশ্বর তাঁকে পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাপারে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে।তাঁকে একটা চাকরিও জোগার করতে বলা হয়েছিল। এই জন্যে একটা মাস্টার্স এর সার্টিফিকেট ও দেয়া হয়েছে স্বর্গের শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে।আজ একমাস ধরে ঘুরেও একটা ব্যবস্হা করতে পারেননি। টাকা পয়সা যা দিয়েছিল স্বর্গীয় অর্থ মন্ত্রনালয় তার বেশীর ভাগই হারিয়েছেন দুই দফা ছিনতাই এর কবলে পড়ে। বাকি যা আছে তা দিয়ে কয়দিন চলবে,চাকরি না পেলেকি ভাবে কি করবেন,রিপোর্ট কি ভাবে দিবেন ইশ্বরকে ইত্যাদি বিস্তর চিন্তা ভাবনাই অস্হির হয়ে তালগোল না পেয়ে ঘন্টাখানেক আগে বাসায় এসে ঘুম দিয়েছেন।এইদিকে ঈশ্বর তো সব খবরই পাচ্ছেন নুহ এর হালহকিকত কি।উনি যা বোঝার বুঝে নিলেন এবং বিকালে একটু গরম কমলে উড়ে এলেন ঢাকায়। নাক মুখ কুচকে কোনমতে গিয়ে ঢুকলেন নুহ এর খুপড়িতে।নুহ ও তখন মাএ উঠেছেন ঘুম থেকে।
কিহে নুহ,আছো কেমন?
হে মহামহিম, আছি ভালোই।
কেনো মিথ্যা বলছ।তোমার জেরবার অবস্হা দেখেই আমাকে আসতে হলো এতো ব্যস্ততার মাঝেও।দুপুরে কি খেয়েছ ?
জ্বী মানে এখন আমি সকালে আর রাতে খাই। তাতে সময় ও বাচে আর শরীর ও ঝরঝরে থাকে।অর্থ কড়ির ব্যাপার টা আর খুলে বললেন না লজ্জায়।
হুমমমমমমমমমমম! ঈশ্বর বুঝলেন।
শোন নুহ,আমি মানব জাতির এই অবস্হা দেখে খুব হতাশ।এদের চরিএ বলে কিছু অবশিষ্ট নেই এবং এরা ধ্বংসের মুখোমুখি এসে দাড়িয়েছে।তাই আমি আরেকটি প্লাবন এর ব্যবস্হা করছি।তার আগে তোমাকে ৬ মাস সময় দিলাম। তুমি আগের মত আরেকটি নৌকা বানাও আর সমস্ত প্রানীর এক জোড়া করে স্যাম্পল এর ব্যবস্হা কর। টাকা পয়সা নিয়ে ভেবোনা। ডাচ বাংলায় একটা হিসাব খুলে দিচ্ছি। মোড়ে মোড়ে ওদের এটিএম। সো তোমার প্রবলেম সলভড। আজ থেকেই কাজে লেগে পড়।
ইশ্বর বিদায় নিলেন একটা এটিএম কার্ড নুহর হাতে ধরিয়ে দিয়ে।
(চলবে)...
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:০৪