somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নুহ এর প্লাবন ঘটিত সমস্যা-----(বড্ড বাচা বাইচা গেলাম)----:|--পর্ব ১

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ২:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাস ছয়েক আগের কথা। গ্রীষ্মের এক আগুন গরম দুপুরে নুহ ঘুমাচ্ছিলেন তার পুরান ঢাকার এক গলির ব্যাচেলর রুমে।কারেন্ট নেই,থাকার কথাও না।এই অসহ্য গরমেও তিনি ঘুমাচ্ছেন নাক ডেকে। ইশ্বর তাঁকে পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাপারে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে।তাঁকে একটা চাকরিও জোগার করতে বলা হয়েছিল। এই জন্যে একটা মাস্টার্স এর সার্টিফিকেট ও দেয়া হয়েছে স্বর্গের শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে।আজ একমাস ধরে ঘুরেও একটা ব্যবস্হা করতে পারেননি। টাকা পয়সা যা দিয়েছিল স্বর্গীয় অর্থ মন্ত্রনালয় তার বেশীর ভাগই হারিয়েছেন দুই দফা ছিনতাই এর কবলে পড়ে। বাকি যা আছে তা দিয়ে কয়দিন চলবে,চাকরি না পেলেকি ভাবে কি করবেন,রিপোর্ট কি ভাবে দিবেন ইশ্বরকে ইত্যাদি বিস্তর চিন্তা ভাবনাই অস্হির হয়ে তালগোল না পেয়ে ঘন্টাখানেক আগে বাসায় এসে ঘুম দিয়েছেন।এইদিকে ঈশ্বর তো সব খবরই পাচ্ছেন নুহ এর হালহকিকত কি।উনি যা বোঝার বুঝে নিলেন এবং বিকালে একটু গরম কমলে উড়ে এলেন ঢাকায়। নাক মুখ কুচকে কোনমতে গিয়ে ঢুকলেন নুহ এর খুপড়িতে।নুহ ও তখন মাএ উঠেছেন ঘুম থেকে।

কিহে নুহ,আছো কেমন?
হে মহামহিম, আছি ভালোই।
কেনো মিথ্যা বলছ।তোমার জেরবার অবস্হা দেখেই আমাকে আসতে হলো এতো ব্যস্ততার মাঝেও।দুপুরে কি খেয়েছ ?
জ্বী মানে এখন আমি সকালে আর রাতে খাই। তাতে সময় ও বাচে আর শরীর ও ঝরঝরে থাকে।অর্থ কড়ির ব্যাপার টা আর খুলে বললেন না লজ্জায়।
হুমমমমমমমমমমম! ঈশ্বর বুঝলেন।
শোন নুহ,আমি মানব জাতির এই অবস্হা দেখে খুব হতাশ।এদের চরিএ বলে কিছু অবশিষ্ট নেই এবং এরা ধ্বংসের মুখোমুখি এসে দাড়িয়েছে।তাই আমি আরেকটি প্লাবন এর ব্যবস্হা করছি।তার আগে তোমাকে ৬ মাস সময় দিলাম। তুমি আগের মত আরেকটি নৌকা বানাও আর সমস্ত প্রানীর এক জোড়া করে স্যাম্পল এর ব্যবস্হা কর। টাকা পয়সা নিয়ে ভেবোনা। ডাচ বাংলায় একটা হিসাব খুলে দিচ্ছি। মোড়ে মোড়ে ওদের এটিএম। সো তোমার প্রবলেম সলভড। আজ থেকেই কাজে লেগে পড়।

ইশ্বর বিদায় নিলেন একটা এটিএম কার্ড নুহর হাতে ধরিয়ে দিয়ে।

(চলবে)...
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:০৪
২৪টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডক্টর ইউনুস জনপ্রিয় হয়ে থাকলে দ্রুত নির্বাচনে সমস্যা কি?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৪১



অনেকেই ডক্টর ইউনুসের পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার কথা বলছেন। এর জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় নির্বাচন। আদালত যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বহাল করেছে সেহেতু ডক্টর ইউনুস তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডিসেম্বরে নির্বাচন : সংস্কার কাজ এগিয়ে আনার পরামর্শ প্রধান উপদেষ্টার

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৪৯


ড. ইউনূস সাহবে কে বুঝি পাঁচবছর আর রাখা যাচ্ছে না। আজ বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের সাথে মত-বিনিময়ের সময় ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন কে সামনে রেখে তিনি দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কারের এগিয়ে আনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাতে লাল সুতা থাকলে সমস্যা কোথায়? পেটালেন কেন?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:২৩


দক্ষিণেশ্বর থেকে আনা লাল সুতা হাতে দেখে আর্মি মেডিক্যালের AFMC-তে AMC কোরে ভর্তি পরীক্ষায় শেষ ধাপের আগে আমাকে বাদ দেয়া হয়। আজ ঢাবির জগন্নাথ হলের এক ছাত্রের হাতে লাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার দিনগুলি আর ফিরবে নারে

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:১৮

কোনো কোনো গল্প, কবিতা কিংবা গান সৃষ্টির পর মনে হয়, এটাই আমার সেরা সৃষ্টি। আমার এ গানটি শেষ করার পরও এমন মনে হলো। এবং মনে হলো, আমি বোধ হয় এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়ের কাছে প্রথম চিঠি

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:০৪

Ex-Cadets Literary Society নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ আছে, আমি যার সদস্য। এই গ্রুপে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত স্বনামধন্য লেখক ও এক্স-ক্যাডেট শাকুর মজিদ একটি পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন যে ক্যাডেট কলেজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×