জ্যোষ্ঠের মাঝদুপুর। তেষ্টা পেয়েছিলো। তোর অধরে রেখেছিলাম আমার রুক্ষ শুস্ক অধর।
পাবো কী জলের হদিস? না ওই চোখের আগুনে ভস্ম করে দিবি? তবুও আমি কিন্তু রবিবাবুর শ্রাবণের সেই গান, প্রচন্ড সুখ কল্পনায় যাকে অনূভবে ধারন করতি!
এখনো কী আছে তোর নগরবাতির আলোতে বিনোদিনীদের জীবনবৃত্তান্ত জানার শখ? সন্ধ্যা হলে যেখানে হয় দিনের শুরু! আলোকিত একেকটা রাত মানে উন্মাতাল ভালোবাসার বেচাকিনি... দেখে দেখে ক্লান্ত হয়ে অথবা আবেগী তোর চোখে জল জোগাতে গিয়ে আষাঢ়ের সব জল ফুরিয়ে গেলে চলে আসিস আশ্বিনের কাঁচামিঠে রোদে। এখানে তোর জন্যে আছে অনন্ত বিকেল, উন্মাতাল আকাশ আর ফানুসের উৎকোচ।
শাদা আকাশে ডানা মেলে ওড়বার শখ তো তোর বহুদিনের। একবার উড়ে দেখবি সাকরাইনের সাথে? রং খেলেছিস কখনো? আবিরে ঢাকবি একটু সিঁথি? তোকে মানাবে কিন্তু বেশ! আয়নায় দেখেছিস শাড়ি তে তোকে ক্যামন দেখায়?
গ্রামে গেছিস কখনো আটপৌরে কার্তিকে? সেদ্ধ ধানের গন্ধ নিয়েছিস বুক ভরে? চুরি করে আখ তো খেয়েছিস। ক্ষেতের আল ধরে হেটেছিস আলগোছে? পুতুলনাচ এর আসর বসেছে ঠিক, দেখবি না? মিঠেকড়া পিঠেপুলির গন্ধ মেখে নবান্নের মেলায় নাগরদোলায় চড়ি চল!
পৌষ আমার কাছে ধাঁধা। ধুসর শুণ্যতা মাখা সকাল গুলোতে সূর্য্যের অকারণ লুকোচুরি দেখে ভয় পাসনি তো? তোর উত্তরীয়ের নরম আবেশ, ধুপকাঠি আর কম্বলের ওমে জড়ানো ঠোটের রুপকথা পড়ার দিনগুলো কোথায় যে হারিয়ে গেলো!
......
জ্যোষ্ঠের মাঝদুপুর। তেষ্টা পেয়েছিলো! তোর অধরে রেখেছিলাম আমার রুক্ষ শুস্ক অধর। এর মাঝে পাল্টে গেছে নগর। গাছে এসেছে নতুন পাতা। তুইও কী একটু বদলেছিস? তোর চোখ কী এখনো আগের মতই অবাক হয়? আর কত তৃষ্ণার্ত রাখবি? বছর যে ঘুরে গেলো বুবুন। এবারে না হয় ছুটি দে! কতদিন সমুদ্র পারে তোর নাম লিখিনা!
(ড্রাফট)
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৩৩