জয়পুর-এয়ারপোর্ট শহর থেকে বেশ বাইরে--দক্ষিণে--খাঁ-খাঁ মুরভূমির মাঝে। সবুজ সাথীকে নিয়ে নেমে দাঁড়ালাম টারমাকে। প্রচন্ড গরমের ভাপ আগুনের হল্কার মত এসে লাগছে চোখে মুখে। মরুভূমির রুক্ষèতা ছুঁলেই আমার মনে পড়ে উটের কথা--প্রকৃতির এই বিভৎস অথচ দারুণ দরকারী-প্রাণীটির কথা; ওরা কি আশ্চর্যভাবে মানিয়ে নেয় এই বালু আর গলা-শুকিয়ে-আসার সাথে! কুরবান সাঈদ বলেছেন: জীবনের রুক্ষèতা, হৃদয়ের উষ্ণতা এবং নিষ্ঠুর জীবন যেখানে মিলিত হয়তারই নাম মরুভূমি; আর উট হচ্ছে এর জীবন্ত প্রতীক--জন্মায় সেখানে!
আমি সিংহের জন্মের ব্যাপারটা বুঝি না। সত্যি কি সে মরুভূমিতে জন্মায়? কি জানি, রয়েল বেঙ্গলের দেশে পশুরাজের অস্তিত্ব নেই। মরুভূমিও লাপাত্তা। নদীর-দেশের পর্যটক তাই সিংহ সম্পর্কে বেখবর।
না-না, তুমি এটা বলতে পারো না মামা, সবুজ প্রতিবাদে মুষ্টি পাকায়: তুমি হচ্ছ আমাদের ‘পন্ডিত-মামা’; সত্যজিতের ফেলুদা।
তাহলে--তুই কি, ফটকে?
না-না, ফটকে হচ্ছে ও--নাকি?
হবে না কেন? সেদিন না আব্বু আর তুমি জেমসবন্ড দেখলে- মুনরেকার না কি যেন নাম। সেখানে তো পাইলট মেয়েটাই বন্ডের সহকারী ছিল--না?
ওরে বাবা, তুই দেখি সত্যিই জিনিয়াস। চল, বাসে উঠি।
আব্বু-আম্মু আসুক না।
আরে আসবে-আসবে; বাস আরও আছে না?
দুই পিচ্চিকে নিয়ে আমি লাউঞ্জে এসে বসলাম। সামনের লোকটাকে খুব চেনা চেনা মনে হচ্ছেকিন্তু মনে পড়ছে না।
আরে, উনিই তো মামা, আজহার উদ্দীন। ভারতীয় ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন।
তার মানে, পাশের সুন্দরীটি সঙ্গীতা বিজলানীযার জন্য তার ঘর ভেঙেছে! পর্দায় যত সুন্দরী এরা, বাস্তবে কিন্তু তা নন। লজ্জার মাথা খেয়ে ভালো করে তাকালাম। মুসলমানী পোষাক পরলেও রেশমী-পর্দায়মুখের-রোশনাই বা বুকের-দীপ্তি--কিছুই ঢাকে নি। কোমরের বাঁক এবং সুগেঠিত দেহবল্লরী ঠিকই ওড়না উপচিয়ে উঠেছে। মনকেপ্রশ্ন করলাম: কেন, ক্রিকেটারদের সাথেই নায়ীকাদের বার বার সম্পর্ক গড়ে ওঠে? সেই যে শর্মীলা ঠাকুরকে বিয়ে করলেন মনসুর আলী খান পতৌদী, সেই বোধহয় স্টারডম-স্পিড কাহিনীর শুরু! তবে এ বিষয়ে সবচেয়ে খ্যাতি বা কুখ্যাতি কড়িয়েছেন টিভি-স্টার নিনা গুপ্তা--ইন্ডিজ কিংবদন্তী-ক্রিকেটার ভিভ রিচার্ডসকে বিয়ে না-করেও সংসার গড়ে! আর রিনা রায়ের মত অসাধারণ পর্দা-কন্যা, পাকিস্তানী ক্রিকেটার মোহসীন খানকে বিয়ে করে ভেঙে দেন মহাভারতের কৃত্রিম-বর্ডার!
দুলাভাই এসেই হাঁক দেন: চলো-চলো, হোটেল খুঁজি।
চলুন।
আমাদের বাঙাল-বাতচিত শুনেই এক গাইড এগিয়ে এলো: স্যার,কত রেঞ্জের হোটেল চাইছেন?
তোমার লিমিট কদ্দুর? --মজা করে জবাব দেন।
বাজেট থেকে থ্রি স্টার পর্যন্ত, স্যার।
রেঞ্জ বলো।
ছ-শো রুপী থেকে দু-হাজার পর্যন্ত; চলবে, স্যার?
দুলাভাই তাকালেন আপার দিকে। আপা চেয়েছিলেন অন্যদিকে; তবু কিভাবে যেন টের পেয়েফিরে তাকালেন। মাঝারী কিছু নিলেই তো হয়,তাই না?
আমরা আজব এক হোটেলে উঠলাম--প্রতিটি রুমের ছাদে আয়না লাগানো।
এটা কি কেবল হানিমুনারদের জন্য নাকি? --আমি গাইডেরকাছে জানতে চাই।
দুলাভাই চোখের ইঙ্গিতে ‘না’ করেন। ফিস ফিস করে বলেন, তোমার আপা ছাদ লক্ষ করেনি। কথা না বাড়িয়ে ঢুকে পড়ো।
ততক্ষণে সবুজ-সাথী ওয়াশ-রুম ঘুরে এসেছে। আমিও টাওয়েল কাঁধে লাইনে দাঁড়াই।
রাতে কি প্রোগ্রাম, শালা বাবু?
মন্দির দর্শন।
মানে? আপা লাফ দিয়ে উঠলেন। এটা কি বললি?
না-না আপা, হিন্দু মন্দির নয়--মন্দির’--সিনেমা হল।
আমি যাবো না।
সবুজ সাথী মা’র দু-হাত আকড়ে ধরলো: প্লিজ মা, চলো--হরুখের ছবি। তুমি না তার পোস্টার কেন? আবার কাজলও আছে, তোমার আর নানুর বেস্ট চয়েজ--কালো-মেয়ে মর্জিনা।
আপা ফাঁদে আটকা পড়লেন।
দুলাভাই ঝোপ বুঝে কোপ মারলেন--না গেলে তো পুরো রাত ভানুমতি রেখার সাথেই কাটাতে হবে। স্বপ্ন না বদলালে তো শালা বাবু চিত্তির।
ও, সে-তো আবার বোরকাওয়ালীর স্বপ্নে বিভোর। চলো তাহলে। আচ্ছা, মহিলাকে তো নামতে দেথলাম না, কই গেল? আপা খোশ মেজাজেই সবাইকে কাছে টানলেন।
আমি আপন মনে ভাবি: ভারতীয় দম্পতিদের আপোষের কথা। হিন্দুরা তবু কোষ্ঠি-রাশি, গোষ্ঠি-পদবী মিলিয়ে নিতে চেষ্টা করেতবু কি মনের মিল হয়? বিচ্ছেদ, পরকীয়া, ব্রড-মাইন্ডিঙ, সোয়াপিং তো পুরো ভারতের নাগরিক বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছে। যত দ্রুত এরা গরীবি হটিয়ে পুঁজিবাদে প্রবেশ করেছে, তার চেয়ে শত-গুণ দ্রুতিতে ধেয়েআসছে ওয়েস্টার্ন ডার্ক-লাইফ! বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলংকা, পাকিস্তানও এই আগ্রাসন থেকে রেহাই পাবে না--ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কারণেআপা দুলাভাই-ই তার জ্বলন্ত প্রমাণ। প্রতিদিন সকালে উঠে ভাবি: এই বুঝি টেবিলে দেখবো ডিভোর্সী নোট--‘ভাই, বাচ্চা দুটোকে দেশে নিয়েযাস; আমি নিজের পথে চললাম’। আবার আশ্চর্য হয়ে লক্ষ করি--সান্নিধ্য কত ব্যবধানকে ঘুচিয়ে ক্রোধকে পানি কিংবা মধু করে দেয়। শুধু একটা জিনিস ভারতীয় মুসলমানরা ইসলাম থেকে নেয়নি--। বিশেষত নারীরা এ ব্যাপারে খুবই বিরোধী। অথচ নানা জরিপে বার-বারই উঠে আসছে যে--পুরুষেরাআতি দ্রুত বহুগামীতার দিকে ধাবিত হচ্ছে--হেলায় উপেক্ষা করেন আমাদের রমনীকুল!
*
‘রাজমন্দির’ ভারতের শ্রেষ্ঠ সিনেমা হলগুলোর মধ্যে একটি। হল তো নয়,যেন রাজ-প্রাসাদ। ভেতরে আছে পার্ক-ফোয়ারা-প্রেমকুঞ্জ, বসার ও আড্ডা দেবার নানা ব্যবস্থা--রোম স¤্রাট নীরোর বিনোদনের মত করে!সাঁতার কাটার ক্ষুদে সুইমিং পুলও আছে। আছে মিনি চিড়িয়াখানা এবং বারান্দাজুড়ে কিংবদন্তী সব নায়ক-নায়ীকার লাস্যময়ী পোস্টার--থেকে মাধুরী দীক্ষিত; দিলীপ কুমার থেকে শাহরুখ খান। আছে মুঘল-ই-আজমের অসম্ভব সুন্দর দৃশ্যাবলী; আছে দাদা সাহেব ফালকের তরুণ প্রতিচ্ছবি আর রাজ কাপুরের জন্য পুরো একটা কর্নারআলীশান-বারান্দাটা যেন ভারতীয় চলচিত্রের ইতিহাস-কোষ!
আমি মুগ্ধ হতে হতেস্মরণ করলাম আগের-বার পড়া সেই সব আশ্চর্য দেয়াল-বার্তা, যার কিছু কিছু এখনো মনে আছেএ প্রেক্ষাগৃহে বহু শ্রেষ্ঠ ফিল্মের চিত্রায়ন হয়েছে। আর, বোম্বের অনেক সুপারহিট ছবির প্রিমিয়ারও হয়েছে এই রাজমন্দিরে। উত্তর ও পশ্চিম ভারতের গৌরব এই রাজমন্দির!
বাইরে থেকেই বোঝা যায় হলটি কত ‘ক্ল্যাসিক’--ও আধুনিকতার দুর্দান্ত মিশ্রণ এর মুখাবয়বে। টিকেট কাটতে হলো একপাশের ছোট্ট গুমটি ঘরে। ঢুকেই মনে হলো--নয়, বাগানে প্রবেশ করছি।
বিরাট ফোয়ারার চারপাশে অগুনিত গোলাপ, রজনীগন্ধ্যা এবং নাম না জানা রঙিন ফুল। তারই ফাঁকে ছোট ছোট বেঞ্চিতে তিলোত্তমা সুন্দরীরা জোড়া মিলিয়ে বাক-বাকুম করছে; হট-ফুড খাচ্ছে, প্রেম বিনিময় হচ্ছে চোখে-চোখে; ছুঁয়ে-ধরে। মনেই হচ্ছে না যে এটি কোনো প্রেক্ষাগৃহ।
আমার মনে পড়ে ঢাকার আনন্দ-রাজমনি-জোনাকী সিনেমার কথা; চট্টগ্রামের জলসা-আলমাস এবং খুলনার পিকচার-প্যালেস ও যশোরের মনিহারের কথা--দেশ হিসেবে ছোট হলেও বাংলাদেশের মানুষের মন ছোট নয়। বিশেষত ‘মধুমিতা-মুভিজ’ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মতই আমাদের মনকে প্রসারিত করেছে ‘হেলেন অভ ট্রয়’ থেকে ‘চেঙ্গিস খান’, কিংবা ‘বেন হার’ থেকে ‘ক্লিওপেট্রার’ সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে।
দুলাভাই মুগ্ধ কণ্ঠে বললেন: ধন্যবাদ শালা বাবু--সিনেমা যাই হোক, হল দেখে মন ভরে গেল।
ফুডকোর্টে কফি খেয়ে আমরা ঢুকলাম মূল প্রেক্ষাগৃহে। সিট পেয়েছি সোফায়দাম আড়াইগুন; কিন্তু দুলাভাই মহাখুশি। টাকা তার কাছে বিষয় নয়--মর্যাদাই মূখ্য।
--না শালার ফকিন্নীর পুতেরা, আমরা কি পিছিয়ে আছি নাকি! পরিবারের সাথে আত্মীয়তার পর থেকেই তার মুখে আমি শুধু ভারত-বিরোধীতাই শুনে আসছি। অতচ তিনি দেরাদূনে ট্রেনিং-নেয়া মুক্তিযোদ্ধা! জিজ্ঞাসা করলেই বলতেনস্বাধীনতা তো কেনো চিড়ে-মুড়ির মোয়া না, শালা বাবু--মুক্তি; চিন্তা ও কর্মের স্বাবলম্বন...।
রাজমন্দিরের মত বাংলাদেশেরও কোন কোন হলে ‘বক্স-ব্যবস্থা’ আছে বটে-- কিন্তু এত রাজকীয় না। এখানে, সিটগুলো প্রায় শুইয়ে দেয়া যায়। সবুজ-সাথী আনন্দে ঝর্ণার মত লাফাচ্ছে। আমাদের দেশের মত জাতীয় পতাকার প্রদর্শনী নেই বরং ইকবালের তারানায়ে-হিন্দ্-এর সাথে দেখানো হলো সারা ভারতের অসংখ্য মনোমুগ্ধকর সংস্কৃতির রঙধনু। বরাবর-ক্রুদ্ধ দুলাভাই কখন যে শত্রু-ভাষায় গুনগুনিয়ে উঠেছেন সেই চিরায়ত সুরের সাথে, আমরা কেউই লক্ষ করিনি।থামতেই আপা বললেন: বেশ, তুমিও তাহলে গাইতে পারোজানা থাকলো! তাও উর্দু গান!
আরে, নূরজাহান-রুনা লায়লাকে কত গেয়েছি আর এখনো পাক সার জামিন শাদ-বাদ তো পুরোই মুখস্ত আছে!
দুলাভাই পাকিস্তান ও উর্দুকে দেখেন চরম বিদ্বেষের চোখে।কায়েদে আজমের সেই বিখ্যাত কটুক্তি--যা তিনি বলেছিলেন ইংরেজীতে--দুলাভাইদের মত হাজার মনকে বিষিয়ে দিয়ে বানালো ‘জন্মশত্রু’!
*
কাজলকে দেখে প্রথম নাক সিঁটকালেন দুলাভাই। মা-তনুজা বা খালা-নূতন এখনও দুর্দান্ত রূপসী--আর মেয়েটা এমন নিগ্রো-নিগ্রো কেন?
আপা ঝামটা মারলেন: অভিনয় দেখ, মেয়েদের রূপটাই বড় হলো? তোমার প্রিয়-ছবি ‘মেঘে ঢাকা তারা’র সুপ্রিয়া তো এরচেয়ে কালো; তার বেলা?
আরে সেটা বুঝাইনি আমি--আমার বউয়ের পাশে তো আমাকে রাজ্জাক না-হলেও চলে; কিন্তু কাজলকে তো শাহরুখের সাথে মানাচ্ছে না--তাই বলছি!
আপা তার স্বভাববিরুদ্ধ প্রতিক্রিয়ায় হেসে উঠলেন: ও--এদ্দিনে বুঝেছেন যে তিনি নায়করাজ রাজ্জাক নন?
আশে পাশের দর্শকরা বিরক্ত হচ্ছে দেখে আমি দুলাভাইর হাতে মৃদু চাপ দেই। লজ্জা পেয়ে বুড়ো দম্পতি শেষ পর্যন্ত থামে।
ততক্ষণে পর্দায় সীমাহীন ফুলের বাগানে বসন্ত এসে দোল খাচ্ছে। পুরো হল মন্ত্রমুগ্ধ। ললিত-জতিনের সুর আর আনন্দ বকশীর কথায় যাদু ঢেলেছেন লতাজী-আশা অভিজিত-উদিত-শানু। ডোলি সাজাকে রাখ-না--গানের সাথে যেন পুরো হল দুলে উঠলো। প্রেমের চিরায়ত এই-রূপ আজকালকার সিনেমা থেকে সরে গেছে দেখে দর্শকও চলে গেছে হল ছেড়ে--বেশিরভাগ পরিচালকই এই সত্যটা ধরতে পারে না বলেই শত শত ছবি মুখ থুবড়ে পড়ছে।
*
ছবিটা সবারই মন ভালো করে দিলো। শুধু ‘মেরে, খাবও সে যো আয়ে--’ গানটির চিত্রায়নে আপা একটু আপত্তি কবলেন: কাজলের মত অভিনেত্রীর খোলা- মেলা হবার কি দরকার ছিলো? মোটেও মানায় নি।
আরে, দর্শক কি সব তোমার-আমার মত বুড়োবুড়ি নাকি? শালা বাবুদের কথাও তো চিন্তা করতে হবে, নাকি?
আচ্ছা--ঠিক আছে ঠিক আছে--মেনে নিলাম!
আপার এত ভালো মেজাজ সচরাচর দেখা যায় না। দুলাভাই সুযোগটা কাজে লাগাতে বিন্দুমাত্র দেরী করলেন না। বললেন: টেক্সি নিয়ে শহরটা একটা চক্কর দেই?
সবুজ-সাথী লাফিয়ে উঠলো: চলো আম্মু, চলো-চলো।
টেক্সি নিলাম বড় দেখে। সাথী সামনের সিটে আমার কোলে এসে বসলো। সবুজের তাতে গোস্যা। দুলাভাই তাকে সামলালেনবাইরের মনোরম দৃশ্য দেখিয়ে-দেখিয়ে।
জয়পুর শহর পুরোটাই অন্যরকম। পুরানো শহরটিমধ্যযুগীয় নগরীর মত দেয়াল-ঘেরা--পুরোটাই পরিকল্পিতবাইরের অংশ: এক্সটেন্ডেড জয়পুর আধুনিক--মেগা-সিটির মতই। প্রতিতুলনা করলে মানতেই হয়--একটু চাপা হলেও সেটাই বেশি রূপসী, কিন্তু বাইরের অংশ পশ্চিমা-নর্তকীর মত: খোলামেলা!
দুলাভাই ফোঁড়ন কাটলেন, সেই বংকিমের রোহিনী-ভ্রমরের মত ব্যাপার--জোয়ার জাগে ঠিকই, কিন্তু প্রেম জাগে না--না, শালা বাবু।
----[(চলবে.. প্রকাশিতব্য ”মহাভারতের পথে-তিন” (ঐতিহ্য) থেকে]
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯