আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসের পথটা খুব মসৃণ ছিলোনা। এর কতটুকুই বা জানি আমরা! প্রতি পদে পদে লাশের মিছিলের উপর দিয়ে রক্তবিধৌত স্বাধীনতা আমার। কিভাবে হলো?
এই পোস্টটি কোন গবেষণামূলক পোস্ট নয়। ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব থেকে ২৫শে মার্চ,১৯৭১ সালের গণহত্যার একটি ঘটনাক্রম সাজানো হয়েছে মাত্র। কারো প্রয়োজনে লাগলে কৃতার্থ হব।
আমাদের স্মৃতিসৌধের ৭টি ফলক। এই পোস্ট সাজানো হয়েছে সেই ৭টি ফলকের আলোকে।
(১) ভাষা আন্দোলন
(২) ১৯৫৪ সালের নির্বাচন
(৩) ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন
(৪) শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬২
(৫) ৬ দফা, ১৯৬৬
(৬) গণ অভ্যুত্থান, ১৯৬৯
(৭) মুক্তিযুদ্ধ
লাহোর প্রস্তাবঃ
উত্থাপনঃ ২৩ মার্চ, ১৯৪০.
উত্থাপকঃ শেরেবাংলা এ. কে. ফজলুল হক।
স্থানঃ লাহোরে মুসলিম লীগের বৈঠক।
দফাঃ ৪ টি।
১. ভৌগলিক দিক থেকে স্বতন্ত্র রাষ্ট্র গঠন,
২. মুসলমান সংখ্যা গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে স্বতন্ত্র রাষ্ট্র গঠন,
৩. রাজ্যগুলো স্বায়ত্বশাসিত হবে,
৪. সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার বিধান।
দেশ বিভাগঃ
পাকিস্তান স্বাধীনতা পায়ঃ ১৪ আগষ্ট, ১৯৪৭
গভর্ণর জেনারেলঃ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
ভারত স্বাধীনতা পায়ঃ ১৫ আগষ্ট, ১৯৪৭
গভর্ণর জেনারেলঃ লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন।
(১) ভাষা আন্দোলনঃ
দেশ ভাগের সময় বাংলা ভাষাভাষীর শতকরা হারঃ
বাংলা- ৫৪.৬%, পাঞ্জাবী-২৭.১%, পশতু- ৬.১%, উর্দূ-৬%, সিন্ধী- ৪.৮%, ইংরেজী-১.৪%।
২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭: তমুদ্দুন মজলিশ গঠন করা হয়। ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এটাই সর্বপ্রথম সংগঠন।
সদস্যঃ ৩;
সংগঠকঃ অধ্যাপক আবুল কাশেম (ঢাঃ বিঃ)।
বাকী সদস্যঃ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শামসুল আলম।
১৯৪৭ সালে করাচীতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্মেলনে উর্দূকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাবনার প্রতিবাদে জানুয়ারী, ১৯৪৮; ঢাকায় গঠিত হয় ’রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’। এ পরিষদের দাবী ছিলঃ
১. বাংলা হবে শিক্ষার বাহন ও অফিস আদালতের মাধ্যম,
২. পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে বাংলা ও উর্দূ
২৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৪৮: পাকিস্তান প্রথম গণ-পরিষদের প্রথম অধিবেশনে ’ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত’ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবী প্রথম উত্থাপন করেন। পাকিস্তানের প্রথম প্রধান মন্ত্রী লিয়াকত আলী খান এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন।
২৬ ফেব্রুয়ারী, ১৯৪৮: ধর্মঘট পালিত হয় পূর্ব বাংলায় এবং অব্যহত থাকে ১৫ মার্চ, ১৯৪৮ পর্যন্ত। পূর্ব বাংলার তৎকালীন মূখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন দাবি সমর্থনের আশ্বাস দেন।
২১ মার্চ, ১৯৪৮: রেসকোর্স ময়দানে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা করেন- ’উর্দূই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’।
২৪ মার্চ, ১৯৪৮: কার্জন হলে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা করেন- ’উর্দূই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’। এর ফলে আন্দোলন আবার শুরু হয়।
১৯৫০ সালে লিয়াকত আলী খানও একই ঘোষণা দেন।
২৬ জানুয়ারী, ১৯৫২: পাকিস্তানের নব নিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ঘোষণা দেন- ’উর্দূই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’।
৩০ জানুয়ারী, ১৯৫২: ঢাকায় ধর্মঘট পালিত হয় এবং এদিনই ’সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি’ গঠন করা হয়। কমিটির বৈঠকে ২১ ফেব্রুয়ারীকে ভাষাদিবস ঘোষণা করে, ২১ ফেব্রুয়ারী , ১৯৫২; হরতাল আহবান করা হয়।
২১ ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২: পূর্ব বাংলার গভর্ণর নূরুল আমিন, ২১ ফেব্রুয়ারীর কর্মসূচী নষ্ট করার জন্য ওইদিন ১৪৪ ধারা জারী করে। ভাষা আন্দোলনকারীরা ১৪৪ ধারা অমান্য করে মিছিল শুরু করে। তখন মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, বরকত শফিক সহ অনেকে শহীদ হন এবং প্রচুর আন্দোলনকারী আহত হন। আন্দোলন অব্যহত থাকে। উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার সিদ্ধান্ত পিছিয়ে যায়।
২৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২: প্রথম শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন শহীদ শফিউরের পিতা-মৌলভী মাহবুবুর রহমান।
যুক্তফ্রন্ট গঠনঃ
৪ ডিসেম্বর, ১৯৫৩।
প্রধান সংগঠকঃ মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শেরেবাংলা এ. কে. ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
১৪ অক্টোবর, ১৯৫৪: ১৯৪৮ সালে গঠিত গণ পরিষদ বাতিল হয়।
(২) ১৯৫৪ সালের নির্বাচনঃ
যুক্তফ্রন্ট গঠিত হবার পর ২১ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে- যার প্রথম দফা ছিল বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করা।
নির্বাচনের আসন সংখ্যাঃ ৩০৯ (স্পিকার সহ ৩১০)। মহিলা আসন ৯ টি।
মুসলিম আসনঃ ২৩৭
যুক্তফ্রন্ট জয়ী হয়ঃ ২২৩ টি আসনে।
৩ এপ্রিল, ১৯৫৪: যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠন করে। পূর্ব বাংলার মূখ্যমন্ত্রী হন শেরেবাংলা এ. কে. ফজলুল হক।
৩০ মে, ১৯৫৪: কেন্দ্রীয় সরকার যুক্তফ্রন্ট সরকার বাতিল করে।
২৯ ফেব্রুয়ারী, ১৯৫৬: পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র (দ্বিতীয় গণ পরিষদ কর্তৃক) গৃহীত হয়।
২৩ মার্চ, ১৯৫৬:
১. পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র কার্যকর হয়,
২. পূর্ব বাংলার নাম রাখা হয় পূর্ব পাকিস্তান,
৩. বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করা হয় শাসনতন্ত্রের ২১৪ নং অনুচ্ছেদে।
(৩) ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনঃ
৭ অক্টোবর, ১৯৫৮:
১. ইস্কান্দর মির্জা পাকিস্তানের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে সামরিক শাসন জারী করেন,
২. ২৩ মার্চ, ১৯৫৬ সালে গৃহীত শাসনতন্ত্র তিনি বাতিল করেন।
২৭ অক্টোবর, ১৯৫৮: ইস্কান্দর মির্জার স্থলে আইউব খান দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
(৪) শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬২:
১৯৬২ সালে ’হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন’ শিক্ষাকে এলিট শ্রেণীর উপযুক্ত বলে শিক্ষার ব্যয় বৃদ্ধি করে দেয়। কমিশনের রিপোর্ট অনুসারে শিক্ষাকে লাভজনক করার জন্য অবৈতনিক শিক্ষা অবাস্তব ঘোষণা করা হয়। যার ফলে, শিক্ষাকে মৌলিক অধিকার করে তোলার জন্য আন্দোলন দানা বাঁধতে থাকে।
৩০ জানুয়ারী, ১৯৬২: হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে করাচীতে গ্রেফতার করা হয়। এর প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট জারী হয়। গ্রেফতার হন, তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, শেখ মুজিবর রহমান এবং আবুল মনসুর আহমেদ।
১ মার্চ, ১৯৬২: পাকিস্তানের নতুন শাসনতন্ত্র জারী।
১৯ আগষ্ট, ১৯৬২: হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে মুক্তি দেয়া হয়।
১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৬২: ’হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের রিপোর্ট বাতিলের দাবীতে মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়, এবং তাতে কয়েকজন শহীদ হন। ১৭ সেপ্টেম্বরকে শিক্ষা দিবস ঘোষণা করা হয়।
৭ অক্টোবর, ১৯৬২: সমগ্র পাকিস্তানে প্রতিবাদ দিবস পালিত হয়।
(৫) ৬ দফা, ১৯৬৬:
উত্থাপকঃ শেখ মুজিবর রহমান
জাতীয় ’মুক্তির সনদ’ খ্যাত ৬ দফা রচিত হয় লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে।
দফা সমূহঃ
১. লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে ফেডারেশন সরকার গঠন, সংবিধান প্রণয়ন ও স্বায়ত্বশাসন,
২. প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক ক্ষমতা থাকবে কেন্দ্রীয় সরকারের, বাকী ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারের,
৩. দুই প্রদেশের জন্য আলাদা মুদ্রা এবং আলাদা স্টেট ব্যাংক স্থাপন,
৪. কর ও শুল্ক নির্ধারণ ক্ষমতা থাকবে প্রাদেশিক সরকারের,
৫. বৈদেশিক মুদ্রা তত্ত্বাবধান, নিয়ন্ত্রণ ও বিনিময় প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকবে,
৬. আঞ্চলিক প্রতি্রক্ষা বাহিনী গঠন।
৫ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৬: কেন্দ্রীয় সম্মেলনে ৬ দফা উত্থাপন
১৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৬: বিরোধী দলীয় সম্মেলনে ৬ দফা উত্থাপন।
২৩ মার্চ, ১৯৬৬: লাহোরে আনুষ্ঠানিক ভাবে ৬ দফা উত্থাপন।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ১৯৬৮:
৩ জানুয়ারী, ১৯৬৮: আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের।
১৮ জানুয়ারী, ১৯৬৮: শেখ মুজিব গ্রেফতার।
মামলার অভিযোগঃ আগরতলায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রয়োজনে ভারতের সহযোগিতার পরিকল্পণা করা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহীতার কারণ দেখিয়ে মামলা দায়ের করা হয়।
আগরতলা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেনঃ শেখ মুজিবর রহমান, আলী রেজা, ভারতের ইন্টার ইন্টেলিজেন্স বিভাগের ব্রিগেডিয়ার মেনন।
মামলার আসামীঃ ৩৫ জন।
ষড়যন্ত্র ফাঁস করেনঃ আমির হোসেন
মামলার বিশেষ আদালতের বিচারপতিঃ এস. এ. রহমান
শেখ মুজিবের পরে আইনজীবিঃ শহীদ ময়েজ উদ্দিন।
(৬) গণ অভ্যুত্থান, ১৯৬৯:
৫ জানুয়ারী, ১৯৬৯: ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন।
২১ দফার সাথে ৬ দফা মিলিয়ে ১১ দফা এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বাতিল করে শেখ মুজিব সহ ৩৫ জন আসামীর মুক্তির দাবীতে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এর নেতৃত্বে গণ অভ্যুত্থান শুরু হয়।
৮ জানুয়ারী, ১৯৬৯: গণতান্ত্রিক সংগ্রাম পরিষদ গঠন।
১৮ জানুয়ারী, ১৯৬৯: চূড়ান্ত বিক্ষোভ শুরু।
২০ জানুয়ারী, ১৯৬৯:
১. এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারী,
২. বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলি বর্ষণ,
৩. গুলিতে আসাদ শহীদ হন।
২৪ জানুয়ারী, ১৯৬৯: নবকুমার ইনস্টিউটের দশম শ্রেণীর ছাত্র মতিউর শহীদ হন।
১৫ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯: আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী সার্জেন্ট জহুরুল হক-কে ক্যান্টনমেন্টের ভেতর গুলি করে হত্যা করা হয়।
১৮ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রক্টর শামসুজ্জোহাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
২২ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯: গণঅভ্যুত্থানের মুখে আগরতলা মামলা প্রত্যাহার করে শেখ মুজিবকে মুক্তি দেয়া হয়।
২৩ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৯: শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেন তোফায়েল আহমেদ।
২০ মার্চ, ১৯৬৯: গভর্ণর মোনায়েম খানের অপসারণ
২৫ মার্চ, ১৯৬৯: আইয়ুব খানের পদত্যাগ ও জেনারেল ইয়াহিয়া খানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর।
৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের নামকরণ করেন ’বাংলাদেশ’।
১৯৭০ সালের নির্বাচনঃ
৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০: জাতীয় পরিষদের নির্বাচন।
১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০: প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন।
নির্বাচনের বিবৃতিঃ
জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯ টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ পায় ১৬৭ টি আসন।
প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের ৩১৩ টি আসনের (১৩ টি মহিলা আসন) মধ্যে আওয়ামী লীগ পায় ২৮৮ টি আসন।
(৭) মুক্তিযুদ্ধের সূচনাঃ
১ মার্চ, ১৯৭১: ৩ মার্চ, ১৯৭১ এ ডাকা জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন স্থগিত করা হয়।
২ মার্চ, ১৯৭১: বাংলাদেশের প্রথম পতাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তোলন করেন আ. স. ম. আব্দুর রব।
৩ মার্চ, ১৯৭১: রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কে জাতির জনক ঘোষণা করেন আ. স. ম. আব্দুর রব।
৬ মার্চ, ১৯৭১: ২৪ মার্চ, ১৯৭১; জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশন নির্ধারণ করা হয়।
৭ মার্চ, ১৯৭১: রেসকোর্স ময়দানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ঐতিহাসিক ভাষণ দেন।
১৬ মার্চ, ১৯৭১: ১৬-২৫ মার্চ ব্যাপী ইয়াহিয়া মুজিব বৈঠক শুরু।
২৩ মার্চ, ১৯৭১: বঙ্গবন্ধুর নিজ বাসভবনে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন।
২৫ মার্চ, ১৯৭১:
১. আলোচনার ফাঁকে পূর্ব পাকিস্তানে গোপনে সৈন্য মোতায়েন,
২. আলোচনার মাঝপথে ইয়াহিয়ার পাকিস্তান গমন,
৩. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের করাচীর মিয়াওয়ালী কারাগারে প্রেরণ,
৪. অপারেশন সার্চ লাইটের নামে ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা শুরু।