পুরো মিরাক্কেলজুড়ে ভারতের সব প্রতিদ্বন্দিগুলো যা জমিয়েছে তা চেয়ে বাংলাদেশের পারফরমাররা অনেক ভালো করেছে। ইচ্ছাকৃতভাবে প্রথম থেকেই বাংলাদেশি পারফরমারদের বাদ দেওয়া হয়েছে। নাটোরের একটা ছেলে শুভাশিষের চেয়ে অনেক বাংলা প্যারোডি গান গাইত। কিন্তু ওই ছেলেটা বাংলাদেশের প্যারোডি গানগুলোকে জনপ্রিয় করছিল বলে ওরা শুভাশীষকে বাঁচাতে ওকে আগে বাদ দিল। এরপর এমন কিছু পারফরমারকে দিয়ে দীর্ঘদিন খাওয়ানোর চেষ্টা করলো যে, তাতে মনে হল...
যাই হোক প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ব্যাপার না.... কিন্তু শুভাশীষ কেমনে চ্যাম্পিয়ন হলো?? ভারত যেমন কোনোদিন ফিক্সিং বা পক্ষপাতিত্বহীনতা থেকে বের হতে পারেনি তার প্রমাণ আবার দিল। ওরা কখনও ভালো মন্দের পার্থক্য করতে পারেনি...বিচার প্রক্রিয়ায় যে, ফিক্সিং করেছে তা বলার কী অপেক্ষা রাখে?? যদি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে প্রোগ্রাম করা হয়, তবে যেন কোনো জাতিগোষ্ঠী খাটো না হয় সেটা খেয়াল রাখা উচিত ছিল। এখানে পারফরমেন্স তো বিচার হয়নি....এখানে শুধু বাংলাদেশি পারফরমাদের প্রতি ভারতীয়দের বরাবরের মতে হিংসার প্রতিফলন দেখা গেছে। বাংলাদেশের শাকিব খান, ঠিকই বলেছিল..ভারতের যেসব অভিনেতা-অভিনেত্রীরা একটু সুযোগ পেতে বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে থাকতো...তারা এখন পক্ষপাত শুরু করেছে... দায়টা আমাদের কম নয়। ভারতের টিভি চ্যনেলগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেই, বাংলাদেশের প্রোগ্রামগুলোর প্রচারণা নেই...আরে ভাই..আমাদের ক্লোজআপ ওয়ানের প্রথম দিককার অনুষ্ঠানগুলো এত জনপ্রিয় ছিল যে..কিন্তু এখন অনুষ্ঠানের মান হারানোর জন্য দায়ী আমাদের সস্তা মানসিকতা। ভারতের এসব ফিক্সিং প্রোগ্রামগুলোকে বয়কট করে এর বিপরীতে আমাদের কোনো অনুষ্ঠানের জমজমাট প্রচারণা চালিয়ে কিছু একটা সৃষ্টিশীল করা যায়। অপমান কত্তদিন। টাকা ওয়ালা বাংলাদেশি নির্মাতারা চাইলেই পারে....কিন্তু চামড়া পুরু হয়ে গেছে বলেই শুধু ভারতের অনুকরণে ব্যস্ত। আমরা নতুন কিছু করলে দেখবেন ওরা নকল করতে শুরু করেছে। আর বাংলাদেশি পারফরমার না পেলে কলকাতার কোনো চ্যানেল জমবে না। বাংলাদেশের এতো চ্যানেল...দুচারটা বস্তাপচা বিজ্ঞাপনভর্তি নাটক বাদ দিয়ে সৃষ্টিশলি কিছু রিয়েলিটি শো, মানুষকের নিয়ে জীবনধর্মী বিনোদন কিছু করলেই বাংলাদেশের পাবলিক খাবেই। খাবে মানে হুমড়ি খাবে। দরকার শুধু সদিচ্ছা। আরে ভাই, কেউ একটা বড় কিছুর উদ্যোগ নিয়ে তো দেখুক....কলকাতার পক্ষপাত বিচারকদের চেয়ে বাংলাদেশের সাধারন মানুষ আন্দোলন করবে প্রোগ্রামের জন্য। এর প্রমাণ কী আমাদের কাছে একটা আছে?ভারতের জি-বাংলা চ্যানেলের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার-৭’ এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন শুভাশীষ মুখার্জী। প্রথম রানার আপ মিঠুন রায়। বাংলাদেশের পাবনার জামিল আহমেদ সেকেন্ড রানার আপ হয়েছেন। গ্র্যান্ড ফিনালে বেস্ট ফাইন্ডস হয় তপদ্যুতি দত্ত।মৃন্ময় দাস হয়েছেন চতুর্থ, পঞ্চম হয়েছেন কৃষ্ণ ব্যানার্জী আর ষষ্ঠ হয়েছেন বাংলাদেশের ঢাকার শাওন মজুমদার।