কাল যেখানে আড্ডা হয়েছিল সেই জায়গাটিতে আমি গিয়েছিলাম ২০০৮ সালের ৯-ই অক্টোবর। সেদিন সেখান থেকে ফিরে আসার সাথে কাল যাবার সম্পর্কটাও ঠিক মিলে গেলো। স্নিগ্ধ সকাল আর মিষ্টি বিকেল যেমন শুধু সময়ের ব্যবধান, কাল ঠিক তেমনি ঘটল। ২০০৮ সালের ৯-ই অক্টোবর চে গুয়েভারা'র স্মরণে একটি আলোচনা হয়েছিল ওখানে। সেই সাথে কবিতা আবৃত্তি, গান। সেখানে গিয়েছিলাম আমার প্রিয় আবৃত্তিকার শিমুল মুস্তাফা ভাইকে দেখতে। ফোনে ওনার সাথে আমার কথা হয়। কিন্তু দেখা হয়নি আগে। আমি সেখানে গিয়ে দূর থেকেই ওনাকে দেখেছি, কাছে গিয়ে কথা বলিনি! ফিরে এসে ফোন করেছিলাম ওনি যে কবিতাটি আবৃত্তি (গীটারে বিলাপের সুর-নিকোলাস গীয়েন) করেছিলেন সেটা নিয়ে। আর ফিরে এসেছিলাম বৃষ্টিতে ভিজে!! কালও তার ব্যতিক্রম হয়নি। যাবার আগেই বৃষ্টি। একসময় বৃষ্টি পরা বন্ধ। সেখানে গেলাম। কিছুক্ষণ পর আবার শুরু হলো গুড়িগুড়ি বৃষ্টি!! সম্পর্ক এখানেই। বৃষ্টি।
এতো ব্লগারই এসেছিলেন যে বারবার নিক জিজ্ঞেস করতে হয়েছিল। একজন বলে যায় তো একটু পরেই আবার জিজ্ঞেস করতে হয়!!! এলাহী কাণ্ড!! বৃত্তবন্দী ভাইকে প্রথম দেখেছিলাম বইমেলাতে। ওনার চেহারাটাও পরে আমি আর মনে রাখতে পারিনি। কিন্তু ওনি ঠিকই মনে রেখেছেন। সোনালীডানা ভাইয়ের সাথে মেসেঞ্জারে ঠিকই কথা হয়, কিন্তু ওনি যে কাল এসেছিলেন আমি তার খবরই জানিনা!!!
ব্লগে অনেক ব্লগারই কতো মজার মজার পোস্ট দেয়। কিন্তু ওখানে তারা কিছু কৌতুক তো সবার সামনে বলতে পারতো। কিন্তু না, কেউই বলল না। হতে পারতো গান। যারা ভালো গান গাইতে পারে। কেউ করতো আবৃত্তি। তাহলে কি খুব বেশী মন্দ হতো??? তাহলে পাওয়া যেতো আরো গভীর আনন্দ। তার পরেও যে যার মতো করে আনন্দ খুঁজে নিয়েছে। আমরা নিজ থেকে কিভাবে বলি এতো বড়ো বড়ো ভাইদের সামনে? কেবল নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে ছিলাম। আর দেখছিলাম সবাইকে। বৃত্তবন্দী ভাই যেভাবে সিগারেট খায় দেখে মনে হলো বেশী দিন বাঁচবে না। একের পর এক চলছেই। একবারও আমি ওনার হাত খালি দেখিনি!! ঠিক স্পীকার আব্দুল হামিদ এর মতো (বর্তমান)। ভালো লাগলো মন মানে না ভাইয়ের পরিচিতি।
শেষ কথা হলো, আবার আড্ডা হলে যাতে গান, আবৃত্তি, কৌতুক শুনতে পারি। প্রাণ ভরে হাসতে পারি। তা না হলে আড্ডার প্রকৃত সার্থকতা কোথায়???