প্রথমে বলে রাখি সম্প্রীতির দেশ আমাদের বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম হিংসা কোনমতেই কাম্য নেই।যদি এরুপ হিংসা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাহলে উচিত আমাদের তা কমানোর জন্য সকল মিলে প্রচেষ্টা করা।
ইদানিং শাহরিয়ার কবির নামক একমুখো প্রাণী সহ সময় চ্যানেল,৭১ চ্যানেল,বিডিনিউজ সহ সকল নাস্তিক-হিন্দু একযোগে বলছে রসুরাজ একজন মূর্খ জেলে। সে কি করে পবিত্র কাবা অবমাননার ছবি পোস্ট করতে পারে? মানলাম আপনাদের খোড়া যুক্তি ।
কিন্তু প্রশ্ন সে জেলে সে এরুপ পোষ্ট করতে পারে না তাহলে রসুরাজের আইডি থেকে সুন্দর বাংলায় কম্পোজ করা এত গোছালো স্টাটাসটা লিখলো কে ?? সে এত সুন্দর গোছালো স্ট্যাটাস লিখলো কিভাবে ??? তখন কি মনে হয় নি আপনাদের যে এরুপ গোছালো স্ট্যাটাস একজন জেলে করতে পারে না।
সে ছবি পোষ্ট করতে পারে না কারন সে জেলে মানে তেমন শিক্ষিত নয় তাহলে অশিক্ষিত জেলেটা কোর্ট পড়ে প্রোফাইল পিকচার দিতে পারে? কিভাবে দিলো?
সে অবমাননাকরা পোষ্ট দিতে পারে না কারন সে জেলে মানে অশিক্ষিত কিন্তু অশিক্ষিত জেলে রসরাজ জেলে সমিতির সাধারণ সম্পদকের দায়িত্ব কিভাবে পালন করতে পারে?
↓
এই যে শুনেন দেশকে আর অস্থিতিশিল করেন না একমুখি নীতি গ্রহন করে মিস্টার সুষিল সমাজ। যদি মন্দির ভাঙ্গতে ৫৪ জন অপরাধীকে অপরাধী হিসাবে দেখতে হয় তাহলে এই অপরাধের যেখান থেকে সুত্রপাত সেই রসরাজকে বাচানোর চেষ্টা লিখে রাখেন হিন্দু-মুসলিম হিংসা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
একজন অপরাধীকে বাচাতে মিস্টার শাহরিয়ার কবির সাহেব আপনরা আইনী সহায়তা দিচ্ছেন তাহলে ৫৪ জন যে অপরাধী ধরা পড়েছে খেয়াল করুন তাদের প্রতি জনগনের সহানুভূতি কতগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। কেউ যদি মুরগী চোর হয় তাহলে সবাইকে মুরগীচোর ভাবা বোকামী।
সবশেষে যারাই যারাই অপরাধী প্রত্যেকের কঠিন শাস্তি দাবী করছি কিন্তু একপক্ষকে গণগ্রেফতার আর প্রকৃত অপরাধীকে বাচানোর চেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং তার প্রতিবাদে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ডাক দিচ্ছি।