কিছু মনে করেন না ভাই, আজ বড্ড জানতে ইচ্ছে করতেছে একজন মানুষের পরম পাওয়া সুখ হল জান্নাত হাসিল করা। কিন্তু একি দেখতেছি জান্নাত পাওয়ার খুশিতে হরতাল?? কিভাবে সম্ভব?
মীর কাসেম আলী মারা গিয়ে সোজা জান্নাতে গেছেন এটা তাদের কথা, এখন প্রশ্ন জান্নাত লাভ তো পরম খুশির সংবাদ, আপনাদের কথায় বুঝা যাচ্ছে তিনিতো আর জাহান্নামে জান নি, তাহলে ভাইসব হরতাল কিসের জন্য???
তারপরেও আমার মনের জিজ্ঞাসা এদের কিছু ব্যাপার নিয়ে! কথায় আর কাজে মিল না থাকলে ইসলামে সেই মানুষকে মুনাফিক বলা হয়। জান্নাতবাসী কিভাবে হলেন ব্যাখ্যা দিবেন প্লিজ, তবে মনাফেক কিজন্য বল্লাম এটার ব্যাখ্যা আমি দিচ্ছি, এই যে দেখেন-
১। সমগ্র জীবন মাজার ভাঙার রাজনীতি করে গেলেন আপনারা কিন্তু মৃত্যুর সময় শেষ ইচ্ছা মাজারের হালুয়া?? আহা আপনাদের নেতা শেষে আপনাদের ভাষায় বিদাতী হয়ে মারা গেলেন নাকি??
২। সমগ্র জীবন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শাফায়াত অস্বীকার করে গেলেন কিন্তু মৃত্যুর আগে নিজের পরিবারকে মেয়ে থেকে নাতি পোতা সকলকে নিজে শাফায়াতের গ্যারান্টি দিয়ে গেলেন, ! কিভাবে?
৩। গায়েবানা জানাজা জায়েজ নেই! কুরআন,সুন্নাহ,ইজমা,কিয়াস দ্বারা প্রমানিথ কারন জানাজার শর্ত হলো লাশ ইমামের সামনে থাকতে হবে। কিন্তু আপনারা এখন জায়গায় জায়গায় গায়েবানা জানাজা পড়ছেন! আর কত শান্তির ধর্ম ইসলামে শুধুমাত্র নিজ স্বার্থে ব্যবহার করবেন??
৪। আপনাদের দৃষ্টিতে কবর জিয়ারত কবর পূজার সমান এবং প্রায় টিটকারী দিয়ে থাকেন যারা আল্লাহর ওলীদের মাজার জিয়ারত করে থাকেন। আর কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে কোথাও যাওয়া শিরক ফতোয়া লাগান হর হমেশা! সারা জীবন শিরকের ফতোয়া জারি করলেও মরার আগ পর্যন্ত সেই মাজারের হালুয়া শেষ ইচ্ছা হিসাবে খেয়ে শিরক করলেন কেন?
আপাতত এসব প্রশ্নের উত্তর দিলে বাধিত থাকবো, সেই সাথে অনুরোধ শান্তির ধর্ম ইসলামকে আর অপব্যাখ্যা করেন না প্লিজ, নিজ স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহারের দিন শেষ কারন হ্যা এটা প্রমাণিত পাপ নিজের বাপকেউ........................