জাতীয় কবি, কবি নজরূল ইসলামের জন্মদিন। তিনি আমাদের জাতীয় কবি অথচ উনার জন্মদিনে কতজন মুক্তমনা জন্মদিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছে? ওহ আচ্ছা তিনি মুসলমান ছিলেন এইজন্য শুভেচ্ছা জানাতে এত অনীহা?
আর এই যায়গায় যদি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন থাকতো তাহলে ভাবুনতো...ওরে বাবা, গনজাগরণ মঞ্চ’র প্রতিটি কর্মী থেকে শুরু করে সকল কথিত সুশিল সমাজ জয় ঠাকুর জয় ঠাকুরের জন্মদিন বলে মুখে ফেনা তুলতো অথচ আজ আমাদের বাঙ্গালীর জাতীয় কবির নজরুল ইসলাম এর জন্মদিন কিন্তু তাদের মুখে বিন্দুমাত্র লেস নাই।
যদি তাদের চলতো তাহলে মুক্তমত এর ধোয়া তুলে,নজরুলকে সাম্প্রদায়িক প্রমান করে কবির নাম মুছে ফেলায় তারা শ্রেয় মনে করে। এর শুরু কিন্তু কথিত শিক্ষাবিদ হুমায়ুন আজাদই করে গিয়েছেন “চট্টগ্রাম অডিটরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে তিনি প্রকাশ্যে বলেছিলেন নজরুল কোন কবি বা সাহিত্যিক নন, বড়জরে তাকে একজন ইসলামিক পদ্য লেখব বলা যায়। তিনি সাম্প্রদায়িক ছিলেন বলে গজল লিখে গেছেন”।
পাঠক দেখলেনতো কথিত সুশিল সমাজ এর উক্তি জাতীয় কবিকে এরা কবি মানতে নারাজ কারন তিনি মুসলমান ছিলেন, তারউপর তিনি লিখে গেছেন অসংখ্য ইসলামিক গজল আর তা লিখতেই তিনি হয়ে গেলেন সাম্প্রদায়িক। আর রবি ঠাকুর যতই মুর্তি,পুজা,অর্চনা,দেব দেবী নিয়ে লিখুক না কেন তিনি হয়ে গেলেন মহান সাহিত্যক কারন তিনি ইসলামিক ছিলেন না।
এখন বলুন এসব সুশিল সমাজকে কিভাবে মানুষের কাতারে রাখবো আমরা? বলতে গেলে এরা কি মানুষ নাকি জানোয়ার? আমি আগেও বলেছি এরা নাস্তিক না এরা একমাত্র ইসলাম বিদ্বেষী যার নাম দিয়েছে নাস্তিকতা। যদি বাংলাদেশের প্রতি তাদের এতই সম্মান থাকতো তাহলে জাতীয় কবিকে এরা অবহেলা করতো না। কয় অন্যনা আজাদ, কোথায় গেলে শাম্মি হক কিংবা মুন্সি, শামিমা মিতু ইসলাম বিদ্বেষী এসব নাস্তিককে তো দেখলাম না জাতীয় কবিকে সম্মান জানাতে। আমি দেখলাম না ফারজানা রুপা কিংবা মুন্নি সাহাকে কোন স্টাটাস দিতে জাতীয় কবিকে নিয়ে অথচ রবি ঠাকুরের বেলায় ভুরি ভুরি এদের স্টাটাস দেখেছি।
পরিশেষে বলবো একদিন পৃথিবী ছেড়ে যেতেই হবে সবাইকে তাহলে মানুষ হয়ে বিদায় নিয়েন মিস্টার কথিত সুশিল সমাজ ও মুক্তমনা ভাই বোনরা, জানোয়ার হয়ে নয়। মানুষ হোন বাহে মানুষ হোন।