আমাদের মনে তখনও বর্তুল পৃথিবীর ধারণা জন্মায়নি।
ধর্মগ্রন্থগুলোর প্রবোধের ফলে আমরা ভাবতাম, ওই যে
দূরের মাঠ; তার শেষে আকাশ এসে নেমেছে। সেখানে
একদিন নিশ্চয়ই পৌঁছোনো যাবে। আমাদের স্কুলঘর
গুলো ছিল হেয়াঁলি মাখানো, বিভ্রান্তিকর। কুয়াশার মধ্যে
মাথা তুলে রাখা একেকটা ডুবোপাহাড়ের মতন। ধর্ম
শিক্ষকেরা প্রিয় ছিল আমাদের, আর বিজ্ঞান শিক্ষকেরা
মিথ্যেবাদী। আমরা তাদের ছলগুলো এড়িয়ে চলতাম।
তারা যখন আমাদের ব্রুনোর কথা বলতেন; আমরা
ভাবতাম এমন পাগল ও প্রপাগান্ডিস্টের পুড়ে মরাই ভাল।
অথচ আমাদের হৃদয় করুণায় আর্দ্র ছিল। আমরা ভাবতাম,
গ্যালিলিওর টেলিস্কোপে চোখ রাখলেই প্রভূ আমাদের
অন্ধ করে দেবেন। যদিও আমাদের জ্ঞানতৃষ্ণা ছিল প্রবল।
প্রতি সন্ধ্যায় উদভ্রান্ত বালকের মতন আমরা পিতার সামনে
বসতাম। তিনি বলতেন, প্রভূ সর্বজ্ঞ; আর তিনিই জানেন।
একটা কালো কাপড়ে চোখ বেঁধে তিনি আমাদের পৃথিবী
দেখতে বলতেন। আর আমরা দেখতে পেতাম তারকারাজি,
সৌরঝড়, আমাদের তর্জনীর উপর সাঁইসাঁই পৃথিবীটা ঘুরছে।
আন্দালীব
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:১৫