ফিরেছি পারদের দেশে,
খুনোখুনি আর ক্লিন্ন পৃথিবীর
যুদ্ধোত্তর সব ট্রেঞ্চ ভালবেসে।
মানুষের চামড়ায় মোড়ানো
শোক বই পড়ে জেনেছি –
জগতে তুমিই সুন্দর,
বাকী সব উৎকট, মিথ্যে।

ওই কীটদুষ্ট গাছের ছায়ায়
পড়ে আছে যত ইচ্ছেচালিত যান
অশ্বশক্তির অপচয় রোধ করে –
তারা জানেনি খর গ্র্যাভিটির টানে
কী উলম্ব চলেছে জগত
আজ রসাতলের দিকে!

ওই সুতীব্র ভোর্টেক্স বেয়ে
নেমে যেতে-যেতে ভাবি
জগতে তুমিই সুন্দর, বিম্বিত
ধ্বংসের পরাবৃত্তে।

(আন্দালীব/ ২০১৫)
বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের মনে তখনও বর্তুল পৃথিবীর ধারণা জন্মায়নি।
ধর্মগ্রন্থগুলোর প্রবোধের ফলে আমরা ভাবতাম, ওই যে
দূরের মাঠ; তার শেষে আকাশ এসে নেমেছে। সেখানে
একদিন নিশ্চয়ই পৌঁছোনো যাবে। আমাদের স্কুলঘর
গুলো ছিল হেয়াঁলি মাখানো, বিভ্রান্তিকর। কুয়াশার মধ্যে
মাথা তুলে রাখা একেকটা ডুবোপাহাড়ের মতন। ধর্ম
শিক্ষকেরা প্রিয় ছিল আমাদের, আর বিজ্ঞান শিক্ষকেরা
মিথ্যেবাদী। আমরা তাদের... বাকিটুকু পড়ুন

হাওয়ালেখ ২





ঘোর লাগে প্রপেলারে। কার গায়ে জেগে থাকে

ওই মেরুন রাত্রিবাস? দ্যাখো মানুষপুতুল,

লৌহকারখানা থেকে উঠে আসে কেমন

সুগ্রীব বিমানের ঝাঁক! আমাদের আশ্চর্য ... বাকিটুকু পড়ুন

জঙ্গল





কার পদচিহ্ন ধরে আমরা পৌছুঁবো ন্যায়পরায়ন সিংহের আস্তানায়?

আমাদের তো সুনির্দিষ্ট রাস্তা জানা নেই। জানা আছে মন্দ্রপাহাড়,

কলারবোন ভেঙে ফেলার অস্ফুট শব্দ। এরচে’ বরং ঘুমন্ত হরিণ ছানাদের

জাগিয়ে তোলা যাক। তার সাথে পাতার মর্মর। হাঁটতে-হাঁটতে ভেঙে ... বাকিটুকু পড়ুন

বিরুদ্ধপথ





জড়বস্তুর সাথে কথা বলি।

খাতায় টুকে রাখি অজুত হরিণ।

নিঃশ্বাসের ছাই।

দ্যাখো যৌনবেদনা, ... বাকিটুকু পড়ুন

মাংসের গভীরে





নেমে আসে মন্দ্রধ্বনির বাঘ।

এই কস্তুরীঘ্রাণ মাদকের মত লাগে!

আমাদের শিরায়-শিরায় ছোটে

বিপুল ক্লোরোফিল। ... বাকিটুকু পড়ুন

ক্যাম্বিসের জুতো পায়ে





একা হয়ে পড়েছি ভ্রমর

ও নর্তকীদের মাঝে।

নৈঃসঙ্গ হটাতে বানিয়ে নিয়েছি

তিনশ’ কাগজের প্লেন, ... বাকিটুকু পড়ুন

শামানের ডায়েরি





অরণ্যগহীন।

এইখানে এলে বৃক্ষের নাম ভুলে যাই।

ভুলি বায়ুবেগ, উত্তুঙ্গ জিরাফের হাড়।

করতলে রাখি রত্নপাহাড়, ... বাকিটুকু পড়ুন

অগ্নিপল্লব





পুড়ে যাচ্ছে মহাগ্রন্থ, অনিঃশেষ যৌনগণিত ! বিষণ্ন বৃক্ষের

কাছে ফিরে আসছে স্পর্শরেণু। মধুভাণ্ড চূর্ণ হচ্ছে। আকাশে

উড়ে বেড়াচ্ছে গুচ্ছবেলুন। আমাদের চিঠিগুলো সব পুড়ে

ফেলা হচ্ছে ! মেঘের শরীরে জাগছে বায়ুবেগ, বিরহজনিত ভুল! ... বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের ঝর্নাকলমগুলো হারিয়ে গেলে





আমাদের ঝর্নাকলমগুলো হারিয়ে গেলে

প্রত্যক্ষ ফিরে আসবে দুঃখবোধ।

এইসব আঙুলের জড়তা, অর্থহীনতার রাশি -

সাজানো থাকবে সব ভাষাবিদের সমাধিস্তম্ভ জুড়ে। ... বাকিটুকু পড়ুন

বেদনাবিন্যাস





এই সবকিছু বেদনাসম্ভুত। যতদূর চোখ রাখি সমুদ্রপাখিদের আবাস,

যতদূর দেখি সব বিস্তৃত বালিয়াড়ি। আমাদের বেলাভূম থেকে উড়ে এল

যেইসব প্রশ্নের পেলিক্যান, তারা বস্তুত নির্জ্ঞান ভালবাসে ! এই নিঃসীম

বালুকাবেলার কাছে তারা চিরকাল সমুদ্রশিক্ষার্থী ! তাদেরই জানা আছে ... বাকিটুকু পড়ুন

ডিসেম্বারের চিঠি





দরজা খুলতেই আগন্তুকের মত অচিন

আর মৃদু হেসে ওঠে শীত।

এই ডিসেম্বারের রাস্তায়

শহরে গড়ে ওঠে অদ্ভুত জনহীনতা। ... বাকিটুকু পড়ুন

আবাহনী মাঠে সন্ধ্যাতারা





আবাহনী মাঠে সন্ধ্যাতারা কী অদ্ভুত জ্বলজ্বলে! যেন

রূপোর রেকাবী সব ভরে উঠছে নিরঙ্কুশ অন্ধকারে।

এ’ শহরে নিয়নের গল্প, বিজ্ঞাপনী ছল - এইসব

ক্লান্তিকর হয়ে উঠছে পুনর্বার। আর আবাহনী মাঠে ... বাকিটুকু পড়ুন

হিরন্ময় নৈঃশব্দ্যের দিকে





কার দিকে ফিরে যায় অবসাদের লিরিক!

বিরুদ্ধ-বাতাস এসে ঘিরে নেয়

আমাদের ছায়া নির্জনতা,

হাওয়ালণ্ঠনখানি ডুবে যায়। ... বাকিটুকু পড়ুন

পাথরবাগান



এই পথে চলে যায় মন্থর মৃত্যুর ক্যারাভান। বৃশ্চিকসূর্যের নিচে

আমাদের পাথরবাগানখানি নিরন্তর পোড়ে। হায় ধুলিসংহিতা,

আমি তো রৌদ্রমাতাল গাছেদের যীশু। ক্রুশকাঠে ফেলে এসেছি

বৃক্ষধর্ম, কণ্টকমুকুট আমার ! আমি উঠে এসেছি অলিভরঙা

যুবতীর তলপেট ভেদ করে, ডিঙিয়ে চুম্বকপাহাড় । এই কথা ... বাকিটুকু পড়ুন