এনটিভির আজ দুপুরের খবরে প্রকাশ করা হয় যে প্রায় ৩০ হাজার প্রবাসীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। বিমান সংক্টের কারনে বিভিন্ন এয়্যারলাইনস কোম্পানী তাদের সিডিউল অনুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনা করতে না পারাতে এই ৩০ হাজার যাত্রী তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে নাই।
একজন প্রবাসী শ্রমিক অনেক সময় একমাত্র শেষ সম্বল নিজের পূর্ব পুরুষের স্মৃতি বিজড়িত বসত ভিটি বিক্রি করে টাকা সংগ্রহ করে এই প্রবাসে আসার জন্য। আবার অনেকেই সুদের উপর টাকা নিয়ে তুলে দেয় ট্রাভেলস অফিসের কর্মকর্তার হাতে। কেউ কেউ স্ত্রী কন্যার গহনা বিক্রি করেও তুলে দেয় দালালদের হাতে, এদের মধ্যে আবার সবার ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয় না। অসাধু ট্রাভেল এজেন্সী,এবং প্রতারক দালালদের খপ্পরে পড়ে অনেকের টাকাই খোয়া যায় আর যার ভাগ্যবান তারা ভাগ্যবলে পেয়ে যান তাদের সোনার হরিন ধরার বহু প্রতিক্ষিত ভিসা সহ পাসর্পোট।
সে বহু প্রতিক্ষিত ব্যাক্তিটি যখন তার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না শুধু মাত্র বিমান কোম্পানী গুলোর অবহেলার কারনে তখন এর ক্ষতিপূরন কে বহন করবে?
বাংলাদেশের অর্থনীতির অনেকটাই এখন নির্ভরশীল প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের উপর,আর সে সময় নাকি প্রায় ৩০ হাজার প্রবাসীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেল এবং পুরোপুরি অনিশ্চিত হয়ে গেল তাদের বিদেশ যাত্রা। এতে দেশের যে অবর্ননীয় ক্ষতি হয়ে গেল তার দায় ভার কে নিবে?
বিগত জোট সরকার প্রবাসীদের কল্যানে "প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্সসংস্থান মন্ত্রনালয়" নামে একটি মন্ত্রনালয় খুলেছে সে মন্ত্রনালয় টি কি এখনও চালু আছে নাকি বন্ধ হয়ে গেছে? যদি চালু থেকে থাকে তাহলে তারা এই ৩০ হাজার প্রবাসীর জন্য কি করেছে বা করতে যাচ্ছে?
পরিশেষে সরকারের নিকট আকুল আবেদন তারা যেন ক্ষতিগ্রস্থ এই ৩০ হাজার প্রবাসীর ক্ষতিপুরনের জন্য বিদেশী এবং দেশী বিমান কোম্পানীগুলোর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহন করেন এবং বিমান কোম্পানী গুলোকে কৃর্তপক্ষের কাছে জবাব দিহিতার ব্যাবস্থা করেন।
১. ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:৪০ ০
এতো গেল সাধারন যাত্রীদের কথা। আপনি যাদের কথা বললেন, তাদের তো অবস্থা খুবই দু:খজনক। সরকারের এই বিষয়ে মাথা ব্যথা আছে বলে মনে হচ্ছে না....। পোষ্টের সাথে একমত প্রকাশ করলাম।
৫