কয়েকদিন পর ই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর । কিভাবে এই ঈদ পালন করবেন আপনার প্রিয় ব্লগাররা ? সামু ব্লগের ৫০ জন শীর্ষ , জনপ্রিয় ব্লগারদের ঈদ ভাবনা নিয়ে আমার এই মেগা পোস্ট ।
আমি সবাইকে আলাদা ভাবে দুইটি প্রশ্ন করেছিলাম ।
‘’ এবার আপনার ঈদ কেমন যাবে ? ‘’ এবং ‘’ ঈদ এর দিনটা কিভাবে কাটাবেন ? ‘’
সবাই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে উত্তর দিয়েছেন । আমার প্রশ্ন গুলোর সারাংশ করেছেন কেউ কেউ । আবার অনেকে এর ভাবসম্প্রসারণ করেছেন । আর কয়েকজন বানিয়েছেন রচনা । সবার দেওয়া উত্তরের স্বকীয়তা বজায় রেখেছি আমি
আচ্ছা , এই লেকচার পড়েও দেওয়া যাবে , আসুন জলদি জলদি চোখ বুলাই ব্লগারদের ঈদ নামচায় ।
Click This Link target='_blank' >রেজওয়ানা
আজ যখন আমাকে ফেবুতে আমি ঈদে কি করবো না করবো জানতে চাওয়া হল তখন কেন জানি হঠাৎ করে পত্রিকায় সিনেমার নায়িকাদের দেয়া সাক্ষৎকারের কথা মনে পরে গ্যালো "কোলে একটা পুতুল নিয়ে ন্যাকু ন্যাকু ভাবে বলা "ঈদের দিন সকালে গোসল সেরে মায়ের হাতের সেমাই খাবো, এরপর সারাদিন ঘুমাবো"........হা হা হা
ছোট ও মেঝ বেলার ঈদ গুলো খুব মজার হলেও এখন ঈদ মানেই আমার কাছে গুচ্ছের কাজের চাপ! অফিসের কাজের ফাঁকফোকর গলে দুনিয়ার জ্যাম ঠেকে খুব কাংখিত ছুটির দিন গুলো মার্কেটে কাপড়ে কিনতে কিনতে নষ্ট করা আর ঈদের দিন দুনিয়ার থালা বাসন নামানো দিন শেষে আবার ধুয়ে মুছে তুলে রাখা!
তবে এর মধ্যেও আনন্দ থাকে, আত্মীয় বন্ধু বান্ধবদের সাথে দেখা হওয়া, এক সাথে সময় কাটানোর আনন্দ!
আর এবার লম্বা ছুটিটা ঈদের আনন্দে তিন গুন বাড়িয়ে দিয়েছে!
এবার আমার ঈদের রান্নাবান্না নিয়ে কিছু বলি!
আমি রাধঁতে ভালবাসি! এবার করবো পুডিং, স্পঞ্জ রসগোল্লা(এটা নতুন শিখেছি, ভাবলাম মানুষের উপর এক্সপেরিমেন্টের ফল জানার মতো এত ভাল মওকা আর পাওয়া যাবে না ), এগুলো আগের দিনই রেধেঁ ফেলবো!
আর ঈদের দিন করবো গরুর মাংসের কোপ্তা, গরুর আচাঁর মাংস আর মুরগির কোর্মা, বাদবাকি আম্মার দায়িত্বে!
ঈদের দিন সব সময়েই নামাজ শেষে আমার শাশ্বুড়ি মা'র সাথে দেখা করতে যাই, এবারও তাই!
এরপর সারাদিন বাসায় (এই সময়ে কেউ আসতে চাইলে আসতে পারেন)।
বিকেলের দিকে হয়তো সোহামনিকে নিয়ে আত্মীয় স্বজনদের বাসায় যাবো, ডিপেন্ড অন গরম! তবে বেশি গরম থাকলে বাসাতেই গড়াগড়ি আর টিভি দেখাদেখি!! ভাবছি কোন চ্যানেলে কি দেখাবে তার একটা রুটিন করে ফেলবো, নয়তে পরে আর খুঁজে পাওয়া যায় না!
এই তো আমার ঈদ!
ও আর সাজুগুজু নিয়ে তো কিছু বললাম না, নিয়ম অনুসারে এটাও তো বলার কথা
আমি সালোয়ার কামিজেই বেশি প্রেফার করি, তবে এবার একটা নীল জামদানি কিনেছি! যদিও জানি পরাই হবে না!
প্রতিবার ঈদের পরে বাইরে কোথাও ঘুরতে যাই, এবার ঈদের পরপরই শিল্পকলা একাডেমীতে ওয়ারী-বটেশ্বের উপর একটা বড় এক্সিবিশন আছে, তাই পরদিন থেকেই আবার কাজ শুরু, কোন ঘুরাঘুরির চান্স নেই!
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা!
নিজের মানুষদের সাথে যার যার ঈদের দিন খুব ভাল কাটুক!
শায়মা
আমার ঈদ ইনশাল্লাহ ভালো যাবে। প্রতিবার ঠিক যেমন যায়। ছোট্টবেলার মত আজও ঈদ একই রকম সুন্দর, রঙ্গীন ঝকঝকে আর তকতকে। অনেকে বলে ছোটবেলার মত আর মজা নাই ঈদে কিন্তু আমার মনে হয় ঈদ বড় হয়ে যাবার পর একটু বদলে গেলেও সারাজীবনই একই রকম আনন্দময় রয়ে গেছে আমার কাছে।
ঈদ উপলক্ষে আমার ঘরবাড়ি সাজানোর একটা বিশেষ শখ আছে। যেমন ফুল লাগবেই সবগুলো ঘরের জন্য। সে বাগানেরই ফুল হোক বা দোকানেরই হোক লাগবেই লাগবে। প্রতিটা রুমের বেডের স্পেশাল বেডকাভার বের করতে হবেই। টাওয়েল, ডাইনিং টেবলের কাভার, টেবিলম্যাট, স্পেশাল ক্রকারিজ ডিনার সেট বের হতেই হবে। তারপর স্পেশাল ফুড আমার হাতে অবশ্যই কয়েকটা আইটেম।
এরপর সাজুগুজু। মেহেদী থেকে শুরু করে ম্যাচিং দুল, মালা চুলের ক্লিপ থেকে কিচ্ছু বাদ দেওয়া চলবেনা আমার। হাহাহাহাহাহা। আর তারপর আত্মীয় স্বজনের বাড়ি বেড়াতে যাওয়া।
নাফিজ মুনতাসির
অন্য সবার মতোই কাটাবো । চান রাতে সবসময়ই বাইরে বন্ধুদের সাথে ঘুরি । ভোরের দিকে বাসায় এসে গোসল করেই নামায পড়তে চলে যাবো ।
তারপর নামায শেষে বন্ধুদের সাথে কিছুক্ষণ গল্প করে বাসায় চলে আসি ।বাসার সবাই একসাথে নাস্তা করি । তারপর আমার ৫বছরের ছোট চাচাতো বোন সাবিহাকে নিয়ে বের হই ঘুরতে।
বাসায় চলে আসি তাড়াতাড়ি । বেশী দেরী করি না । ঢাকায় দুজন চাচা সপরিবারে থাকে । ঈদটা সবাই একসাথেই করি আমাদের বাসায় । যাইহোক আমি বাসায় এসেই মুভি দেখতে বসে যাই । আলাদা করে বাছাই করে ২টা মুভি নামিয়ে রাখি এদিন । সকালে একটা দেখে ফেলি ।
দুপুরের অন্য সবার মতোই আমাদের বাসায়ও বিশাল খাবারের আয়োজন থাকে । চুটিয়ে খাই দুপুরে । এই একটা দিন আম্মা খাবার নিয়ে কোন ডাক দেয় না । তারপর একটা ছোট্ট ঘুম দেই ।
বিকালের দিকে ছোট ভাই, ছোট বোন এবং চাচাতো ভাই-বোন সবাই মিলে ঘুরতে বের হই ।
বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত সব ভাইবোন মিলে দারুণ মজা করি । বলা যায় ঢাকা শহরে একটা মজার ট্যুর দেই সবাই । রাতে বাসায় চলে আসি । রাতে আবার ছোট চাচার বাসায় দাওয়াত থাকে । সেখানে আরেকবার চুটিয়ে খাই । আমার ঈদের দিনটা এরকম সাধারণভাবেই কাটে সাধারণত । এই দিন ফ্যামিলিকেই পুরোটা সময় দেই ।
নাফিস ইফতেখার
আমার ঈদের প্ল্যান খুব সিম্পল । সকালে উঠে অফিসে গিয়ে নামাজ পড়বো । তারপর বাসায় ফিরবো । কয়েকজন আত্মীয়র বাসায় যেতে পারি । বাসায়ও কেউ কেউ আসবেন হয়তো । এই দিনটিতে বিশেষ কেউ একজনের সাথে দেখা হওয়ার সম্ভবনা কম । তবে... পরেরদিন দেখা হবে এই চিন্তায় বিহ্বল থাকবো ।
টিভি অনুষ্ঠান ইদানিং দেখি না তেমন একটা । এবারো দেখবো বলে মনে হয়না । অনেক বিশাল একটা সময় কাটবে রোজকার মতই । ল্যাপটপের সব সফটওয়্যার আপডেটেড কিনা চেক করে। ঈদে খাওয়া-দাওয়ার একটা ব্লান্তি আছে । বাসায় ২৪ ঘণ্টা লোক গিজগিজ করতে দেখারও একটা অ্যাফেক্ট আছে। সেই কারণে ঈদের দিনে দু’টো নির্দিষ্ট সময়ে খুব ঘুম পায় । দুপুর সোয়া ১২টার পর আর সন্ধ্যা পৌণে আটটার পর , এইতো । আমার বন্ধু-বান্ধব খুব কম । তাই তাদের সাথে দেখা সাক্ষাতের বিষয় নেই বললেই চলে । এভাবেই হয়তো কাটেকে এবারের ঈদ ।
বিডি আইডল
এই ঈদ একটু অন্যরকম যাবে। গতবছর ঈদের দিন আমি আ্যপার্টমেন্ট বিল্ডিং ছেড়ে নিজের বাড়ীতে উঠেছিলাম। ঈদের সারাদিন জিনিষ পত্র গোছ-গাছ আর ঘর পরিস্কারে ব্যাস্ত ছিলাম । ঈদের রাত ১:৩০ নতুন বাসায় উঠি। নতুন বাড়ীতে প্রথম ঈদ। সাথে পড়ছে মেয়ের জন্মদিন। সব মিলিয়ে আশা করা যায় দিনটা আনন্দে কাটবে, বৌয়ের সাথে কোন ঝগড়া হবে না এবং ফেসবুকে কিছু সুন্দরীদের সাথে চ্যাটিং এ ভালো সময় কাটবে
প্রোগ্রাম মোটামুটি সেট। ঘুম থেকে উঠে গোছল, বৌ-বাচ্চা সহ মসজিদে গমন। মসজিদ থেকে এক বড় ভাইয়ের বাসা। সেখান থেকে আরেক বড় ভাইয়ের বাসা। সেখান থেকে রাত পর্যন্ত নিজেদের বাসা। এই ফাকে ফেসবুকে সুন্দরীদের খুজে বের করতে হবে । রাতে ২ টা দাওয়াত আছে অলরেডি। যে ভাবী বেশী সুন্দরী, ভাবছি তার বাসাতেই যাবে। রাতে বাংলাদেশী চ্যানেলের কিছু প্রোগ্রাম দেখার ইচ্ছা আছে।
সাবরিনা সিরাজী তিতির
পিচ্চিবেলায় ঈদ ছিল হেব্বি মজার ! রোজা করা লাগবে না , নতুন ড্রেস, সালামি , ইচ্ছে মতো খাওয়া (ওই একটা দিন চাইলেই বেশি বেশি মাংস খেতে পারতাম । এমনিতে দুই টুকরার বেশি পেতাম না ) ! ইশ ! সব থেকে আনন্দের বিষয় ছিলো , ওই দিন কেউ বকা দিতো না ! আহারে ! আম্মা , আব্বু সব্বাই কতো ভালো ব্যবহার করতো । ছোট ভাই ও অকারণে মারামারি করতো না । সালামির টাকা দিয়ে কোণ আইসক্রিম ! আহা ! আর সবথেকে মজা ছিলো , বান্ধবীদের সাথে হুড ফেলে রিকশায় ঘোরা ! বড়দের কাছে নিষিদ্ধ পানীয় কোকাকোলা খেতে খেতে রিকশায় ঘুরে বেড়ানো কি যে মিস করি !মিস করি বিটিভির আনন্দ মেলা । এখন কতো চ্যানেল , কতো অনুষ্ঠান ! কিছুই টানে না আগের মতো ।
এখন ঈদ মানেই ব্যস্ততা ।ঈদের আগের রাতে সারারাত জেগে রান্না করি । ভোরে মিষ্টি কিছু বাকি থাকলে করি । খিচুড়ি ,ঝাল মাংস ,জিরা পানি ( তেতুলের টক মিষ্টি সরবত ) আর নানা রকমের মিষ্টি খাবার থাকে সকালের মেন্যুতে । বরকে জোর করে একটু মিষ্টি মুখ করিয়ে নামাজে পাঠাই ( সে যখন তার পুরনো পাঞ্জাবী বের করে নামাজের জন্য , তখন লুকিয়ে রাখা নতুন পাঞ্জাবী বের করে দিয়ে বলি , এটা পরে দেখ তো ! আমি খুব সারপ্রাইজ দিতে ভালোবাসি ।বরের মুখটা দেখবার মতো হয় ! এটা মেয়েদের জন্য ও করি । কিছু জিনিস শেষ মুহূর্তের জন্য লুকিয়ে রাখি ।)
তারপর ঘর গুছিয়ে মেয়েদের ঘুম ভাঙ্গাই । নামাজ শেষ হবার পর থেকে শুরু হয় মেহমান ! আল্লাহ ! আমাদের এতো আত্মীয় ! ঝান্তাম না ! আব্বু বেঁচে থাকতে সকালে নাস্তা করতেন আমার বাসায় । সেটাই ছিলো তার সারাদিনের মূল খাওয়া । তার প্রিয় খিচুড়ি এখনো তার একমাত্র মেয়ে তিতির রান্না করে কিন্তু শুধু তিনি পথ ভুলে চলে গেছেন অন্য কোথাও ! এই মানুষটা আমাকে প্রতি ঈদের সকালে অপেক্ষা করায় ! মনে হয় এসে বলবেন , কি রান্না করেছিস ? খিচুড়ি হলে দে তো ! আব্বু ! এভাবে কেন চলে গেলেন ? মাত্র ৬২ বছর বয়সে !আপনার মেয়েটা যে প্রতি ঈদে রান্না করে আর লুকিয়ে কাঁদে !ঈদে সবার জন্য কাপড় কিনি । আপনি কেন বাদ পড়ে গেলেন ?
সাবরিনা সিরাজী তিতির নাহ ! আর মন খারাপের কথা না । মেয়েরা তাদের সারা মাসের ঈদের জন্য গোছানো বিশাল ব্যাগ ( যা সারা মাস তাদের সাথে ঘুরে বেরিয়েছে , এমন কি ঘুমের সময় তারাও মাথার কাছে ঘুমিয়েছে । তা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে । সব মন খারাপ এক নিমিষে হাওয়া । মায়ের কাজে সাহায্য করে তারা তাদের সাজুগুজু শেষ করে ! দাদুকে সালাম করে , নানু বাড়িতে রওনা তারা । (পাশাপাশি নানু বাড়ি থাকা দারুণ ! ভাগ্যিস ওদের বাবা মা ইয়ে করে বিয়ে করেছিলো !:পি ) এদিকে শুরু হলো সবার আমার বাসায় আসা । বর তখন কবরস্থানে গেছে মৃত স্বজনদের সাথে দেখা করতে । আমার কিছু স্পেশাল মেহমান আছে। ওরা বিভিন্ন সময়ে আমার বা আমার বিয়ের আগে আমার শাশুড়ির কাজ করতো, আমার বাবার বাড়ি কাজ করতো। ওদের অলিখিত নিয়ম আমার বাসায় এক বেলা খাবে । খুব ভালো লাগে এটা । কি তৃপ্তি করে খায় !! ওই দিন তারা ডাইনিং টেবিলে বসে বিশেষ প্লেটে দামী মেহমান এর মতো খায় ! একটা দিন বছরে উদার হই আমি ! ঈদ মানেই তো সাম্য !তবে এটা সবসময় করতে পারলে ভালো হতো । পারিনা । আঁতে লাগে হয়তো ! এদের সাথে আসা পিচ্চিদের জন্য নতুন টাকা থাকে । সালাম আর সালামি ! দারুণ ! দুপুর হতেই দারুণ সব খাবার ! এবার হবে চিংড়ির বিরিয়ানি ( সাথে এক্সপেরিমেন্ট -মুগ ডাল থাকবে বিরিয়ানিতে । পেপার পড়ে ডাল এর আইডিয়া পেলাম ) ।চায়নিজ টাইপ সবজি , ভয়াবহ ঝাল দেয়া ভেড়ার মাংস , মুরগি । কলিজা গ্রিল আর খুব দারুণ সালাদ ( আমার নিজের রেসিপি ! হুহ !)জিরা পানি করবো , বোরহানি হবে , কোমল পানীয় টা যদি পারতাম নিজেই বানাতাম (কেন যে আল্লাহ এতো বেগুন বানিয়েছে ! ) । একে কে মেহমান । শাশুড়িকে খাইয়ে নিজে রেডি হবার চেষ্টা । ( একবার এতো মেহমান এসেছিলো আমি নতুন ড্রেস পড়বার সুযোগ পেয়েছিলাম রাত ১০ টায় ! )মাঝে বর আর শাশুড়িকে সালাম করা। বর এইদিন ১০০০ টাকা দেয় সালামি । আগে ৫০০ দিতো । ঝগড়া করে ডাবল করেছি । হে আল্লাহ ! এবার যদি বেশি দিতো ! এবার ভাবছি পিচ্চিরা বাসায় আসলেই বলবো , সালাম করো এবং আমাকে সালামি দাও !:পি বিকেলে যদি মেহমানের চাপ কম থাকে তাহলে মায়ের বাসা । মাকে সালাম করি( সালামি নিশ্চিত !এই মহিলাই শুধু আমার দুঃখ বুঝে ।:পি ভালো আছে মহিলা ! আমার মা ! ভালো না হয়ে উপায় আছে ! :পি ) ।
সময় পেলে বাইকে করে বরের সাথে ঘুরাঘুরি । আবার বাসা । আবার মেহমান ।কপাল ভালো হইলে রান্না শর্ট ! আবার কিছু করে ফেলা। মেহমানের আন্দাজ করা যায় না। মানুষ আমাকে ভালোবাসে বোঝা যায় !:পি
এভাবেই ঈদ ফুরুত ! মেয়েরা তাদের বিশাল ঈদ সালামি আমার হাতে দিয়ে বলবে , মা এটা রাখো । নিজের জন্য আর বাবার জন্য কিছু কিনে নিও ! ( এই মেয়েগুলা এতো আজীব টাইপ ভালো কেন ? ! সেভেন এ পড়ে । এখনো কোনদিন বলে নাই এটা আমার টাকা !)একসময় রাত হয় ! মেয়েরা বলে ধ্যাত ! ঈদ এতো তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায় কেন? তখন বলি , মা রে ঈদ তিন দিন। কি যে খুশি হয় আমার পরী গুলো !!!! সব গুছিয়ে ফ্রি হতে অনেক রাত । ওহ ! একটা জিনিস বাদ পড়ে গেছে ! চান্স পেলেই ফেবু তে ঢুঁ দেবো । এইটা ছাড়া ঈদ মানে সালাম করছি , সালামি পাই নাই। শুধু বেঁচে থাকো মা ! )
সব্বাইকে ঈদের আগেভাগের শুভেচ্ছা ! খুব খুব আনন্দে কাটুক ঈদ !কোন দুর্ঘটনার খবর যেন না শুনি ! শুধু ভালো থাকা। সব ধর্মের সব মানুষের জন্য অনেক ভালোবাসা !উৎসব হোক সবার (ভাষণ টাইপ হয়ে গেলো না তো !)
আলিম আল রাজী
প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদ কাটবে গ্রামের বাড়িতে। এখানে আমরা যৌথ পরিবার। তাই বেশ মজায়ই কাটে ঈদ। ঈদের শপিং বলতে তিনটা ঈদ সংখ্যা কিনেছি।
ঈদের দিনটা খুব যে আলাদাভাবে কাটে তা না।
ঘুম থেকে উঠবো। হালকা নাস্তা করে বাবা চাচা কাজিনরা সবাই একসাথে ঈদগাহে যাবো। আমাদের ঈদগাহ যাত্রা মোটামোটি একটা মিছিলের মতো হয়ে যায়। কিছুদিন আগে আমার দাদু মারা গেছেন। দাদু ছাড়া প্রথম ঈদ। খারাপ লাগবে অনেক।
নামায শেষে বাসায়ই শুয়ে থাকবো। ছোটখাট একটা এক্সিডেন্ট করেছি কিছুদিন আগে। নাহলে ফুপুদের বাসায় বেড়াতে যেতাম।
ঈদ সংখ্যা আছে তিনটা। শুয়ে শুয়ে ওগুলো পড়ে ঈদ কাটানো তেমন সমস্যা হবেনা। বিকেলে ফুপু আর কাজিনরা আসবে। তাদের সাথে আড্ডা মেরে সন্ধ্যা কেটে যাবে।
টিভি আর খাওয়া দাওয়া নিয়ে আমার তেমন কোনো আগ্রহ নেই। এইতো!
তন্ময় ফেরদৌস
সবাইকে ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা। ঈদ কথাটার সাথে পরিবার শব্দটি খুব শক্তভাবে জুড়ে আছে। আমি আধা ভবঘুরে টাইপের মানুষ।
পারিবারিক বন্ডিংগুলা আমার ভালো লাগ্লেও, আমি ঠিক মেইনটেইন করতে পারিনা। সামাজিকতা আমাকে দিয়ে হয় না তেমন একটা, প্রব্লেম টা আমার, নাকি সমাজের, ঠিক বুঝিনা। যাই হোক, এবারের ঈদ কাটাচ্ছি একা একা।
গত আট বছর ধরেই একজন কে উইশ করার মধ্য দিয়ে দিন টা শুরু হয়, এবারো ব্যাতিক্রম হবে না। আমি বাসায় একা থাকি। আব্বু আম্মু আলাদা বাসায় থাকেন। তারা ছোট ভাই বোন দের নিয়ে আগেই চলে গেছে বাড়িতে।কাজেই সকালটা সেমাই দিয়ে শুরু হচ্ছেনা এইটা নিশ্চিত। হয়তো বাসি পাওরুটি আর জেলি ই হবে ব্রেকফাস্ট। নাস্তিক হলেও চেষ্টা করবো নামাজটা পড়ার, কারন মিলন মেলাটা ভালো লাগে। এবারে ঈদে
হালকা পোষাকের উপরি থাকবো, যেহেতু গরমকাল, তাই ইয়োলোর স্টাইপ সুতি পাঞ্জাবি, সাথে পাকিস্তানি সেলোয়ার। চাচার বাসা আর দীর্ঘদিনের কলোনির এউ একজন ফ্রেন্ডের বাসায় ঢু মারবো।
বিকালের দিকে আমাদের ঢাকা কলেজের পুরা গ্যাং এক হবে রাইফেল স্কয়ারে। চিল্লাচিল্লি হইহল্লার মাঝখান দিয়েই সটকে পড়বো। এক্টুখানি ডেটিং এর পরি চলে আসবো বেলি রোডে।
বেলি রোড মানেই সাম্থিং স্পেশাল, গত ১২/১৪ ঈদে একদিন ও মিস হয়নি রাতের বেইলী রোড। মজাই মজা, মিনিমাম ১০০ ফ্রেন্ড থাকবে আমাদের। কাজেই উল্লাস করবো প্রান ভরে।
উৎফুল্লতা যখন চরম আকার ধারন করবে, এক দৌড়ে বাসায় এসে ড্রেস চেঞ্জ করে অন্য পাঞ্জাবি পরে সোজা উত্তরা। যেহেতু ড্রাইভার নাই, কাজেই অনেক দিন পর উড়াদুড়া ড্রাইভিং করবো,সাথে অবশ্যই
একজন "সে" থাকবে, তবে এখনো জানিনা এবারের সে টা কে হবে। উত্তরায় আমার ছোট্টবেলার কিছু বন্ধু আছে। তাদের সাথেই হ্যাং আউট করে থেকে যাবো মিঠুর বাসায় লেট নাইট পার্টিতে।
সকালে ঘুম থেকে হ্যাঙ্গোভার থেক উঠে প্রথমেই মনে হবে, আহা, ঈদ টা তাহলে শেষ ই হয়ে গেলো।
কাউসার রুশো
সাদামাটাভাবে ঈদ পালন করবো। ঈদের নামাজ , খাওয়া দাওয়া, বিকেলে বন্ধুদের সাথে আড্ডা, মোবাইলে প্রিয় মানুষদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়, ব্লগিং, ফেসবুকিং এই তো!
ঈদের ছুটিতে ঢাকার বাইরে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু বন্ধুদের অনেকেই নানা কারনে সময় বের করতে পারছেনা তাই যাওয়া হবেনা ।
দি ফ্লাইং ডাচম্যান
একেক ঈদ কাটে একেক ভাবে। নামাজ পড়বো সকালে, আব্বু আম্মু কে সালাম করবো। রান্নাবান্নায় আম্মুকে একোটু সাহায্য করবো, নিজেও একটা আইটেম রান্না করতে পারি। তারপর হয়তো বড়চাচার বাসায় যাবো। কিংবা খালার বাসায়। বিকেলে হয়ত টিভিতে নাটক দেখবো। সারা বছরে আমাই শুধু ঈদেই নাটক দেখি। টিভি না দেখে আবার বন্ধুদের সাথে ঘুরতেও যেতে পারি! ওখান থেকে আসতে আসতে রাত হয়ে যাবে। এইতো খুবই সাধারণ ঈদ
গ্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার
ঈদ তো অবশ্যই অন্যান্য দিনের চেয়ে আলাদা । একে সময় ঈদ একেক রকম হয় । কোন কোন সময় অনেক বোরিং , আবার কোন কোন সময় অনেক মজা হয় ।
ঈদ এর দিন সকালে নামাজ পড়ে এসে দুপুর পর্যন্ত বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেবো । তারপর বাসা গিয়ে খেয়ে দেয়ে বিকেল পর্যন্ত ঘুমাবো । এরপর আবারো বের হবো আড্ডা দিতে । রাত অবধি আড্ডা দেবো , যদি সন্ধ্যার পর আমি বাসার বাইরে থাকতে পারি না । আড্ডা দিয়ে বাসায় ফেরার সাথে সাথেই আমার ঈদ শেষ হয়ে যায় ।
সবাইকে আগাম ঈদের শুভেচ্ছা
দুর্যোধন
ঈদ এ আরাম করে ঘুমাবো , আর বউকে নিয়ে ঘুরবো । এইতো আমার ঈদ । ঈদ মোবারক ।
নস্টালজিক
পরিকল্পনা নেই! ঈদের দিন যেটা ইচ্ছে করতে হবে করবো, যেখানে চলে যেতে ইচ্ছে করবে চলে যাবো! সবাইকে ঈদ মুবারাক! খুব আনন্দে কাটুক ঈদ!
পুশকিন
ঈদ এর দিন সাধারণত বের হই না । সারাদিন বাসাতেই থাকি । প্যারেন্টসদের সাথেই সময় কাটাই । স্পেশাল কোন প্ল্যান প্রোগ্রাম থাকে না ।
টিনটিন
ঈদের শপিং শেষ। একটা টি-শার্ট, জিনস, একজোড়া কেডস আর একটা নিউ জেনারেশান এনড্রয়েড ফুন.....মাত্র।
আমার ঈদ শুরু হয় ঈদের আগের দিন থেকেই। বাসায় রান্না শুরু হয় ঈদের আগের সন্ধা থেকে। একদিকে রান্না চলে অন্যদিকে আমি আর আমার পিচ্চি ভাগ্নীরা মিলে ফুল স্পীডে গান ছেড়ে লাফালাফি.......ছেলেমানুষী যাকে বলে (আমি যতটা বড় তার চেয়ে অনেক বেশী শিশু) ।
ঈদের দিন সকালে উঠে অবশ্যই সবআগে নামায। আমাদের বাসার পাশেই ঈদগাহ তাই বারান্দা দিয়ে উঁকি মেরে দেখি, যখন নামায শুরু হবো হবো করে, তখনই রওনা দিই। নামায শেষে বাসায় এসে হালকা ভোজন। তারপর ঈদের মূল আকর্ষন, সালামী। বড়দের সালাম করে যতটা পারি উপার্জন করে নিই তারথেকে ক্ষুদ্র একটা অংশ ছোটদের সালামী হিসেবে দিই। ভালোই লাভ থাকে। কারো বাসায় বেড়াতে যেতে ইচ্ছা করেনা। মেহমান আসলে কিছু ফরমালিটি করি। ছেলে বন্ধুদের হালকা আর মেয়ে বন্ধুদের বেশ ভারী ঈদের শুভেচ্ছা জানাই। ব্লগিং করবো কিছুক্ষন। ফেবুকিং করবো কিছুক্ষন, কিছুক্ষন ভিডিও গেমিং। এই করতে করতে দুপুর। আবার ভোজন তবে এবারেরটা পেট পুরে। তারপর আড্ডা। বাসাতেই। ঈদের দিন পান্জাবী পরে, চোখে সানগ্লাস লাগায়ে বন্ধুদের সাথে রাস্তায় বসে আড্ডা দিতে আর মেয়ে দেখলে শিস দিতে আমার কখনই ভালো লাগেনা। ঈদের দিনটা পুরোটাই প্রায় বাসার লোকজনদের সাথেই কাটাই। চলবে সফট ড্রিংকস আর টিভি আড্ডা। এভাবেই সন্ধা কাভার হয়ে যাবে।
রাতে মামারা আসবে। আবার কিছু আয়-উপার্জনের চেষ্টা। তারপর আবার ভোজন। আবার একটু ব্লগিং-ফেসবুকিং-ঘুম এবং অতঃপর আরেকটা ঈদের অপেক্ষা করা.....................
মাহমুদা সোনিয়া
ঈদের সকালটা শুরুই হয় রান্না করার মধ্য দিয়ে। সারাবছর তো আম্মাই রান্না করে, তাই সেদিন অন্তঃত তাঁকে মাফ দেই। আমিই সব রান্না করি। মানুষজন আসে, তাদেরকে পরিবেশন করি। ভালো মন্দ যেরকমই হোক, খেতে বাধ্য করি। পুরোদিন এভাবেই কাটে। রাতে টিভি দেখতে বসি। যদিও নাটক দেখার উদ্দেশ্য থাকে, কিন্তু বর্তমানে দেখি বিজ্জাপন! ফাঁকে ফাঁকে নাটক!
নিজের বন্ধুবান্ধব রা সবাই ব্যস্ত যে যার জীবন নিয়ে, বেশীরভাগ শহর ছাড়া। দেশ ছাড়া। হঠাৎ হঠাৎ দেখা পেয়ে যাই ঈদে। তখন অনেক ভালো লাগে। উপরন্তু বন্ধুদের সাথে শৈশবের সারাদিন ময় শহর ঘুরে বেড়ানো সুখস্মৃতি মনে করেই কাটিয়ে দিই ঈদ। সেই সময়টা খুব মিস করি।
মাহী ফ্লোরা
বড় হওয়ার পর সবচে খারাপ ইফেক্ট টা টের পাই ঈদ এলে। আগের মত থ্রিল নেই।রমজানের এই ঈদ করি আব্বু আম্মুর সাথে। বড় ভাইয়া ছোট ভাইয়া বৌ নিয়ে আসে। ঈদ বলতেই এখন সবাই একসাথে হওয়া! ঈদের দিন স্পেশাল তেমন কিছু করা হয়না। টুকটাক রান্না করি। তবে যেহেতু আম্মুর বাসায় ঈদ তাই দ্বায়িত্ব কাঁধে থাকেনা । বিকেল বেলা সব ফ্রেন্ডরা একসাথে হই যে ফ্রেন্ডের বাসা ঝামেলাহীন এবং লোকজন কম সেখানে। তারপর হৈ হুল্লোড় করে ঈদটাকে জমিয়ে ফেলা। এইতো।
ঈদ আনন্দময় হোক আপনার। ভাল থাকবেন।
সায়েম মুন
এবার ঈদে তো বড় কোন প্লান নাই। একদম সাদামাটা প্লান আছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা সেড়ে/ সেমাই খেয়ে মাঠে নামাজ পড়তে দৌড়াবো। এরপর হয়ত বাসায় এসে ঘুম দিবো/ টিভি দেখবো। বিকেল বেলায় বাসের টিকিটের খোজখবর লাগাবো। রাতের বেলা বাসে করে উত্তরাঞ্চলের একটি মফস্বল শহরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবো। ঈদে বাসের টিকিটের অনেক ঝক্কি। তাই ঠিক করেছি ঈদের রাতে দেশের বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করবো। সেখানে আমার মা আছেন অন্যান্য ভাইবোন আছেন তাদের সাথে ঈদের ছুটিটা কাটাবো। আশেপাশের আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা করবো। কয়েক দিন পর আবারো এই ঢাকা শহরে ফিরে আসবো। এই তো
রাজসোহান
সকালে মনে হয় নামাজে যাওয়া লাগতে পারে, নামাজ পইরা আইসা ঘুম, দুপুরের পর বের হবো ঘুরতে। পরেরদিন আবার ঘোরা। তৃতীয়দিন আবার ঘোরা। চতুর্থদিন আবার ঘোরা। পঞ্চমদিন আবার ঘোরা। ঘোরা ঘোরা ঘোরা ঘোরা ঘোরা। তয় ঘোড়া নাই একটাও।
জাতির নানা
একজন রপ্তানি কামলা হিসাবে গত কয়েক বছর বৌ বাচ্চার সাথে ঈদ করতে পারিনি। ঈদের দিনও দেশের বাইরে ছিলাম কোম্পানির কাজে। এবার ঈদের আগের দিনও অফিস, ঈদের পরের দিনও অফিস আছে। আর ঈদের দিন??? বিকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অফিস করতে হতে পারে। তারপরও ভালো লাগছে যে ঈদের সকালটা অন্তত বৌ বাচ্চার সাথে থাকতে পারবো। কামলা মানুষের জীবনে এই সল্প সময়টুকুর কোন পরিকল্পনা করা যায় না। ভালো থাকবেন। ঈদ মোবারক
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন
এবারের ঈদটাও টিপিক্যাল ই যাবে। সব সময়ের মতো । ঈদ এর নামাজ শেষে ঘুমানোর সমূহ সম্ভাবনা । বিকেলে ফ্রেন্ডদের সাথে ঘুরাঘুরি , আড্ডা । ছোট বেলা ঈদ অনেক মজা হতো । অনেক উত্তেজনা কাজ করতো । এখন আর সেটা নেই । অনেকটা বোর লাগে এখন
কবি ও কাব্য
ঈদের দিন নামাজ পড়েই ঘণ্টা ২ বাসাতেই থাকি। এরপর আমি ও আমার ছোটবেলার চার বন্ধু একসাথে বের হয়ে একটু লং ড্রাইভে যাই। দুপুরের পর ফিরে বাসায় সবার সাথে খাওয়া দাওয়া করে একটা ঘুম দেই। সন্ধার পর আবার সেই চার বন্ধু মিলে একটু আড্ডা দেই ,অনেক বন্ধুরা তখন আসে, সবার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে একটু আড্ডা দিয়ে আবার ৪ জন মিলে একটু শহরের বাহির থেকে ঘুরে আসি। এই তো এইভাবেই ঈদের দিনটা কেটে যায়। ছোট বেলার মতো এখন আর আগের মতো উত্তেজনা ,কোন পরিকল্পনা কিছুই নেই। সবাইকে ঈদ মোবারক ।
প্রিন্স অফ ব দ্বীপ
মাস্টার্স করার সময় ১১-১১-১১ তারিখ দেখে বিয়ে, সেই সুবাদে এটাই আমার প্রথম স্পেশাল ঈদ। সাথে ১ মাস বয়সি জীবনের প্রথম চাকরি। তাই শশুরবাড়ীর আবদারে জীবনের প্রথম ঢাকার বাইরে ও নিজ পরিবারবিহীন ঈদ কাটাতে হবে। আপন পর মিলিয়ে বিশাল এক শালা শালির গ্যাং। তাদের জন্য নিয়েছি নতুন টাকা। তবে শর্ত একটাই। সবার আমাকে অত্যন্ত আদবের সাথে স্পেশাল সালাম করতে হবে, যার আদব কায়দা বেশি হবে সে বেশি ঈদের সালামি পাবে। অবশ্য আমিও সুযোগের অপেক্ষায় আছি, শশুড়বাড়ির সব আত্মীয়র বাসায় যাব। সারাদিন সব আত্মীয়কে যেয়ে সালাম করে দিন শেষে আয় আর ব্যায়ের হিসাব করবো। যদি বুঝি লস প্রজেক্ট, দেন টাটা বাই বাই জানিয়ে দিব শশুড় বাড়ির ঈদকে।
দূর্বা জাহান
আমার ঈদ মূলত শুরু হয় চাঁদরাত থেকে, চুল শক্ত করে বেঁধে চলে যাই আমাদের উপরের ফ্ল্যাটে, এবারেও তার ব্যাতিক্রম হবেনা । ঐখানে ২টা আপু আছে যারা গত ১০বছর ধরে বন্ধুর ভূমিকা পালন করে আসছে । যাওয়ার পর ফুল ভল্যুমে গান, আর প্রতিবেশী যত পিচ্চিপাচ্চা আছে আমাদের ৩জনের কাছে মেহেদী দেয়ার আবদার নিয়ে আসে ।আমি হাতে মেহেদী দেইনা, ওদের কে দিয়ে দেই ।
তারপর শুরু হয় নাচ আর লাফালাফি, পুরো বিল্ডিং এর সব আম্মুরা, পিচ্চিরা জয়েন করে,বেশ মজা হয়! রাত ১২টার পর যখন সব খালি হয় তখন আমরা চলে যাই ৮তলা ছাদে । গল্প চলে অনেক, রাত ২টায় বাসায় আসি ছাদ থেকে । এসেই কাজ ! বিছানার চাদর বদলানো, পর্দা,সোফার কভার,কুশন সব ইস্ত্রি করে লাগাতে লাগাতে বেজে যায় সাড়ে ৫টা, আমিই করি এগুলো । এরকমটা হবে...কাজ শেষে গোসল করবো তারপর কল দিব একজনকে তার ঘুম ভাঙ্গাতে,তারসাথে বকবক এটা এই ঈদের নতুন সংযোজন
সালামিটা মা দিয়ে থাকে আর কারো কাছ থেকে পাই না । সকালে কিছুই খেতে পারিনা সেমাই বা পায়েস । সব আত্মীয়কে কল দিয়ে কথা বলি । এবার বাসা থেকে বের হবো, প্রতিবছর শপিং এর টাকা দিয়ে বই কিনি এবার কেনা হয়নি তাই গতবারের মত সারাদিন বইয়ে মুখ না গুঁজে থেকে ঈদটা বাইরেই কাটাবো, ভাইয়া-ভাবী আর ভাতিজার সাথে ঘরোয়া ঈদ ।
বাসায় ফিরে মায়ের সাথে গল্প আর ফেবুতে ঢু মারা....টিভি দেখতে ভালো লাগেনা তাই গান ছেড়ে দিবো, উপরের আপু আসবে ওদের সাথে আড্ডা আর ছোট চিরকুট চালাচালি মোবাইলে, এভাবেই কেটে যাবে ঈদটা
সব্বাইকে অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা রইলো
মাস্টার
আসলে আমার ঈদ এ স্পেশাল কিছু নেই । অন্যান্য দিনের মতোই সারাদিন বাসায় বসে বিড়ি ফুকবো । পারলে একটু আকটু মুভি দ্যাখবো । বিয়ার বা কোন হার্ড ড্রিঙ্কস চলতে পারে ।
নোমান নমি
ঈদ কেমন যাবে সেইটা নির্ভর করবে সালামির হারের উপরে। বড়রা দয়া কইরা যদি ভালা রাখে আরকি।
ঈদে খালি সালাম করি। যার পা পাই তারে সালাম করি। অবশ্যই মুরব্বী দেখে ।
নিশাচর ভবঘুরে
আমার ঈদ যাবে ঘুমানোর ব্যাস্ততায়। মাঝে সময় পেলে পাঞ্জাবী গায়ে গলিয়ে বেরিয়ে পড়বো । পাঞ্জাবী এখনো কেনা হয়নি । শহরে মানুষের ভীড় কম থাকবে, তাই ঘুরতেও মজা লাগবে। সকালে বাসার সবাই নামাজ পড়ে এলে ঘুম থেকে উঠবো। এরপর গোসল করতে ইচ্ছে হলে করবো। করে হালকা খাওয়া-দাওয়া। পিচ্ছি একটা মা আছে। তাকে কোলে নিয়ে আইচক্রীম খেতে যাব। বিকেলে বন্ধু অথবা
চশমখোর
আমার এবারের ঈদ হবে পুরোপুরি ঘুমময়। সকাল বিকাল শুধু ঘুম আর ঘুম। চাঁদ রাতে চাতক পাখির মত কম্পিউটারের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকবো। সকাল হলেই ঈদের সেমাই খেয়ে বিছানায় লম্বা হয়ে শুয়ে ঘুম দিব। যাকে বলে একেবারে ফ্রেশ শান্তির ঘুম। ধুর মিয়া বললাম ই তো ঘুম দিব। ঘুমের মধ্যে আর কি করমু? কোলবালিশ নিয়া একবার এইপাশ ফিরমু আরেকবার ঐপাশ ফিরমু ।
শহিদুল ইসলাম
সকালে মিষ্টি মুখ করে নামাজ । তারপর বাসায় এসে বাবা মাকে কদমবুসি । বড় হয়ে গেছি , তবুও কিছু ঈদী আদায় । তারপর সোজা বাইরে ঘুরতে যাওয়া ফ্রেন্ডদের সাথে । ফ্রেন্ডদের বাসায় যাওয়া । খাওয়া দাওয়া , তাদেরকে আমার বাসায় নিয়ে আসা । তারপর দুপুরে খালি শহরে একটু ঘুরতে বেড়ান । বিশেষ করে সংসদ ভবন এলাকায় যাওয়া
।বিকালে এসে ঘুম । রাতে আড্ডা অথবা টীভিতে ভালো নাটক থাকলে দেখা , এইতো
বেঈমান আমি
আমার ঈদ টিদ বলে কিছু নেই। ঈদের দিনেও আমি মনের আনন্দে অফিস করুম। যদিও মন পড়ে থাকবে আমার বাড়িতে, তোমাগো বাড়িতে আর আমার উনার বাড়িতে। কি করতেসো, কেমন খাইতেসো, কেমন ঘুরতেসো তোমরা এইসব নিয়া। তবে আমি থাকবো অফিসে আর পাঁচটা দিনের মতনই।
কল্পবিলাসী স্বপ্ন
ঈদ কেমন যাবে সেটা বলতে পারবোনা , তবে ঈদে স্পেশাল কোন পরিকল্পনা নেই , বন্ধুদের সাথে ঢাকার আশে পাশে কোথাও যেতে ঘুরতে যেতে পারি , আর রাতে হয়তো ছোট খাটো একটা পার্টিতে জয়েন করতে পারি , এই আপাতত ইচ্ছা আছে ।
ভালো থাকবেন
ইমন জুবায়ের
ঈদের দিনটা আমার কাছে আলাদা কোনও দিন না। হয়তো ছেলেবেলায় ছিল। আজকাল ঈদের দিনটা বাড়িতেই কাটাই। ঈদের পাঞ্জাবি বোনেরা গিফট করে। সেটা পরতে হয়। সকালের দিকে বোনের মেয়েরা আসে। ফ্যাশন শো হয়, খাই-দাই হয়। এরপর অনেকটা সময় একা। অন্যান্য দিনের মতোই। হয়তো কেউ এল। পাশের ফ্ল্যাটে একবার হয়তো গেলাম। বিকেলে কেউ এল, মেজবোন কি ছোট বোন। একটু কথাবার্তা হল। এই। চটপটি কি জর্দাসেমাই খাওয়া হল। এভাবে সন্ধ্যা হয়। হয়তো কেউ এল। বউবাচ্চা নিয়ে হয়তো কোনও বন্ধু। ব্যাস। আমার ঈদ শেষ ...
ফয়সাল তুর্য
তেমন কোন প্ল্যান নাই,সারাদিন বাসায়ই কাটাব, বিকালের পর ফ্রেন্ডের সাথে আড্ডা দিতে বের হব। রাতে লং ড্রাইভে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। আর ঈদের পরেরদন ঢাকার বাইরে যেতে পারি।
জেরী
আমার আজকাল রাতে কম ঘুম হয়। তো ঠিক করছি ঈদে সবাই বাড়ী গেলে সারাদিন রাত পরে পরে ঘুমাবো দরকার পড়লে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়া হলেও .....আর হ্যা এইবার কোন প্রোগাম মিস করবো না ইস্পেশালি আন্তত জলিলের "দ্যা স্পীড" তো দেখবোই
আর ঈদের টাইমে ঢাকা খালি মানে রাস্তাঘাট খালি দোকলা না পাইলে একলাই রিক্সায় ঘুরবো...আপাতত এই প্ল্যান ।
রাষ্ট্রপ্রধান
ঈদ মোবারক খোমাবুকে স্ট্যাটাস দিবো , লাইক দিবো
তারপর গোসল করিয়া হালকা মিষ্টান্ন খেয়ে বাবা আর আমি মসজিদে যাবো , এইবার ব্যতিক্রম হইবে কারন আগে আমরা ২ ভাই আর বাবা যেতাম , ভাই জার্মানি থাকায় আমি আর বাবাই যাবো , মসজিদ থেকে বাসাই এসে টেবিলে ঝাপাই পরবো ..........।
খাওয়া শেষ করিয়া, ঈদ ডিউটিতে বের হইবো ফূফু আর খালাদের বাসাই ঈদ চান্দা নিবু , তারপর তাহাই বিলাই দিয়া আসবো ............।
তারপর এদিক ওদিক করিয়া বাসাই আইসা , খোমাবুকে স্ট্যাটাস দিবো আজকে ঈদ করিলাম
তারপর ল্যাপিতে মুভি দেখিয়া ঘুমাই পরিবো
ফারজুল আরেফিন
গ্রামের বাড়িতে ঈদ করবো বাবা-মা, বোন, বোন জামাই, ভাগ্নে, আত্মীয় ও ছোট বেলার বন্ধুদের নিয়ে। সকালে বাবা-মাকে সালাম করে চির পরিচিত ঈদগাহে নামাজ পড়ে প্রতিবেশীদের সাথে কুশল বিনিময়, তারপর ফোনালাপ। দুপুরে খেয়ে টিভির সামনে, ভাগ্নের কাছ থেকে রিমোট দখল করে কার্টুন চ্যানেল থেকে অন্য চ্যানেলের ঈদ অনুষ্ঠান দেখার চেষ্টা করবো। মাঝখানে যারা বেড়াতে আসবে তাদের সাথে কথা বলবো। বিকেলে বের হবো আড্ডা দিতে; রাত ১১-১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে ও আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরবো। তারপর খেয়ে টিভি দেখে ঘুমাবো। এভাবেই প্রতি বছর গ্রামে সাদামাটা ঈদ কাটে আমার। ঈদে ছুটির অন্য দিন গুলোতে প্রায় একই রুটিন থাকে। সাথে যোগ হয় মোটরসাইকেলে ঘুরে বেড়ানো আর পুকুরে ছিপ ফেলে মাছ ধরা। পাহাড় কাছে হওয়ায় পাহাড়ের দিকেও ঘুরতে যাই একবার, কখনোবা পুকুরে ডুব সাঁতার আর জলময় সবুজ ধান ক্ষেতের পাশে বসে কখনোবা প্রকৃতি দেখি। এই সবকিছু মিলিয়ে ঈদের সময়টা কখনো খারাপ যায় না।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সালমাহ্যাপি
এবারের ঈদটা পুরাই পানসা যাবে...একা একা ঈদ করতে হবে । আর ঈদে কি করবো??উমমম খাবো দাবো আর টিভি দেখবো...আর বিকালের দিকে হ্যাব্বি আড্ডা দিবো উইথ মাই কাজিনস..
জাহাজী পোলা
এবারের ঈদ তেমন ভালো যাবে না । পড়ার অনেক চাপ । গ্রামের বাড়িতে ঈদ করবো । ঈদ এর দিন
চেয়ারম্যান ০০৭
ঈদ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই । আসলে কিছু বলতে চাচ্ছি না । পরিবার থেকে দূরে থাকি । আমার আবার ঈদ কি । খারাপ লাগে অনেক । আরও খারাপ লাগে যখন ঈদ এর দিন কাজে যেতে হয় ।
চাটিকিয়াং রুমান
এই পর্যন্ত যত ঈদ গিয়েছে তার সবগুলোই ভালো কেটেছে শুধু ২০০৯ সালের রোজার ঈদ ছাড়া। কারণ ঐ বছর ঈদের মাত্র ২ দিন আগে অর্থাৎ ২৮ রমজানে আমার প্রিয় নানা ভাই মারা যান। যা হোক, আশাকরছি এবারের ঈদটাও ভালো যাবে।
বরাবরের মতো ঈদের দিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে গোসল সেড়ে ঈদের পোশাক পড়ে বাবা-মা'কে সালাম করে ঈদগাহে যাব। যাওয়ার পথে "ফিতরা" আদায় করবো। ঈদের নামাজ আদায় করে মুসল্লিদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করে যাব মুরব্বিদের কবর জিয়ারত করতে। এরপর বাড়ির সবার সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করে নানু বাড়ি, আপুদের শ্বশুড় বাড়ি বেড়িয়ে দুপুর তিনটার মধ্যে বাসায় ফিরবো। তারপর পুরোটা সময় বাসায় থাকবো। ঈদের ১ম দিন রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারি। উদ্দেশ্য ঈদের ২য় দিন সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকার "সুবার্তা প্রবীণ সেবা কেন্দ্র" বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দাদের সাথে ঈদ কাটানো। আমার প্রিয় সংগঠন "লোকসংস্কৃতি রক্ষা করি (লোরক) সোসাইটি"র পক্ষ থেকে এই আয়োজন করা হয়েছে মূলত। পরিবার-পরিজন থেকে দূরে থাকা বৃদ্ধাশ্রমের অসহায় বাসিন্দাদের সাথে ঈদের ২য় দিন কাটানোর পর একই দিন রাতে পুনরায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিব। এই হচ্ছে আমার ঈদ প্ল্যান।
সবাইকে ঈদ মোবারক। সুন্দর কাটুক সবার ঈদ।
Click This Link target='_blank' >ফেলুদার চারমিনার
নরমালি আমার ঈদ কাটে ফ্রেন্ডদের সাথে আড্ডাবাজী করে,দুপুর পর্যন্ত বাসাতেই থাকি, বিকেলের পর থেকেই সব ফ্রেন্ডরা মিলে একসাথে হই, তারপর আড্ডাবাজী শুরু, আমি খুবই আড্ডাপ্রিয়, রাতে বাসায় এসে টিভি খুলে ঈদের অনুষ্ঠান দেখার জন্য চ্যানেলগুলো নাড়াচাড়া করি। এইবার ঈদের পরদিন ফ্রেন্ডদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কথা ঢাকার বাইরে। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা রইলো।
গেমার বয়
আমার সব ঈদ ই মোটামুটি একি রকম যায় । কিছুটা বোরিং ভাবে । ছোট বেলার মত এখন আর মজা করা হয় না । ঈদ এর আগের রাতে জেগে থাকি । দিন এ কোন মতে সকালে উথে নামাজে যাই । এটা আমার সিস্টেম হয়ে গেছে । এরপর সারাদিন বাসাতেই থাকবো । ভাই এর সাথে ফিফা খেলবো । সেই সাথে চলবে মুভি দেখা । ফাঁকে ঘুমাব ওঃ । গত পাঁচ ঈদ এর ব্যাতিক্রম হিসেবে এবার আমার মোবাইল চালু থাকবে ।
গাধা মানব
ঈদ কেমন যাবে এইটা তো ভাই বলা মুশকিল... যাই হোক, ঈদের দিন সেমাই পায়েস খেয়ে নামাজ পড়ে বন্ধুদের বাসায় যাব। তেমন কোন স্পেশাল প্লান নেই...তারপর বাসায় এসে মায়ের হাতের রান্না খাব। দুপুরে ঘুম...বিকালে ফ্রেণ্ডরা বাসায় আসবে। দেন ঘুড়তে বের হব আবারো...এইতো...
শুভকামনা আপনার জন্য...ভাল থাকবেন...
নাসা'র মা ( সাদিয়া সুলতানা )
ঈদের দিন কেমন যাবে এইটা এখনও জানি না।
আর ঈদের দিন তেমন কিছু প্ল্যান করে করার নাই।
সকালে মা কে হেল্প করবো। বাসায় গেস্ট আসলে তাদের খাবার সার্ভ করা। মা কে কিচেনে হেল্প করা। বিকালে ফ্রেন্ডরা আসলে ওদের সাথে ঘুরতে যাবো হয়তো।
আমার আসল ঈদ শুরু হয় ঈদের পরদিন থেকে।
মুভি দেখতে যাওয়ার প্ল্যান আছে ফ্রেন্ড দের সাথে। তারপর টানা ২-৩ দিন (যতদিন অফিস শুরু না হয়, ততদিন) ফ্রেন্ডদের সাথে আনলিমিটেড আড্ডা।
এখনও ঈদের শপিং কিচ্ছু করি নাই। তবে বাবা-মা-বোন-ভা-ভাগ্নে-বয়ফ্রেন্ড-বেষ্টফ্রেন্ড সবার জন্য গিফট কেনা শেষ।
কামরুল হাসান শাহী
রাবরের মত এবারের ঈদও ঘুমের মাঝেই কেটে যাবে আশাকরি
ঈদের নামাজ পড়ে এসে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুম। তার বন্ধুদের সাথে দেখা করবো। চা সিগারেট শেষে ঘরে এসে আবার ঘুম ।
নিশাত রহমান
এজ ইউজুয়াল বোরিংই যাওয়ার কথা! ছোটবেলার মত তো আর বড়বেলার ঈদ হয় না। তখনকার হইহুল্লোড় মিস করি! সকালে হয়ত বাসাতেই থাকব। দুপুরে গেস্টদের এটেন্ড করতে হবে। বিকালে হয়ত বের হতে পারি ফ্রেন্ডদের সাথে। আর রাতে এসে অনেকদিন পর টিভি নাটক দেখা হতে পারে! এইত!
জেমস বন্ড
সকালে গোসল করে নামাজে যাবো । একা একা থাকি , আর রান্নাবান্না পারি না বলে হোটেলে গিয়ে নাস্তা করবো । তারপর চলে যাবো এখানের ই এক বন্ধুর বাসায় যে থাকে শিপ ইয়ার্ড এর আশেপাশেই । ওখানে গিয়ে একটা হুইস্কি এবং গরম গরম ভুনা খিচুড়ি খাবো । দ্যন রিটার্ন টু মানামা সিটি । তারপর আবার চা - বিড়ি খাইয়া চলে যাবো সিনেমা দেখতে । এক থা টাইগার দেখার ইচ্ছে আছে । রাতে আরেকবার চলবে সকালের বন্ধুর শিপ থেকে আনা পানীয় । যেহেতু আমি আমার প্রবাস ৪ বছরের জীবনে নাইট ক্লাব এবং পার্টি এটেন্ড করি নাই ( আমার পছন্দ হয় না কেন) সো ব্যক টু জেন্দেগি – ঘুম
সহচর
ইনশাল্লাহ এবারের ঈদ টা ভালো যাবে । মোস্ট ওয়েল কাম দেখার ইচ্ছা সিনেপ্লেক্সে। দোয়া রাইখেন ।
মোঃ আলাউল হক সৌরভ
পোস্ট আমার , সে ক্ষেত্রে আমার কথা থাকা সাজে না । তাও সহব্লগারের কথায় আমার ঈদ ভাবনা আপনাদের মাঝে ভাগ করছিঃ ।
ঈদ জিনিসটার সাথে আমার অহি নকুল সম্পর্ক ২০১০ থেকে । পরিবার থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন । ঈদ এ কেনাকাটা , মজা , ফুর্তি এসব এড়িয়ে চলি । সব সময় যেমন নিজের রুমে একা একা কাটাই , ঈদ এর সময়টাও এমন করেই কাটবে । হয়তো ফাঁক পেলে ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে একটু ঢুঁ মারবো । অন্যান্য দিনের মতো বই পড়বো , টিভি দেখবো , পিসিতে বসবো । এইতো আমার ঈদ । অন্য দশটা দিনের মতো ।
লেখকের বক্তব্যঃ সানডে নাইট [ জেব্রা ক্রসিং ] ব্লগারস আড্ডা দিয়ে আমি সামুতে আলাদা একটা ট্রেন্ড চালু করি । আমার নিজের মধ্যেই একটা তাগিদ ছিল এই ট্রেন্ড ধরে রাখা , এবং ভিন্ন ধারার ব্লগিং চালু করা । এর ধারাবাহিকতায় আমি এই পোস্ট দিলাম । এটা আমার পঞ্চাশতম পোস্ট । হাফ সেঞ্চুরিটা একটা ছক্কা মেরে করতে চেয়েছিলাম । এই পোস্টটির আইডিয়া আমার হলেও এতে আমাকে অনেক সাহায্য করেছে ব্লগার দূর্বা জাহান । আমার ফেসবুক বন্ধুতালিকায় ব্লগার মাত্র ৪১ জন । আমি এই ৪১ জনকেই ম্যাসেজ করি । কিন্তু উত্তর দেন মাত্র ৩০ জন । বাকিরা কেন উত্তর দেন নি আমি জানি না । উনাদের হয়তো সমস্যা ছিল । ৩০জনকে নিয়ে পোস্ট দেওয়ার পরিকল্পনা করলেও পড়ে দূর্বা জাহান এগিয়ে আসে । সে নিজ উদ্যোগে কয়েকজন ব্লগারের সাথে কথা বলে এবং আমাকে কিছু উত্তর এনে দেয় । তাকে ধন্যবাদ । সে না থাকলে হয়তো এই পোস্টটা স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে পারতাম না । পোস্টটি বেশ বড় । পড়তে আপনাদের এক ঘেয়েমি লাগতে পারে । কিংবা ভালো ওঃ লাগতে পারে । যেমন ই হোক , আমাকে জানাতে ভুলবেন না । গঠনমূলক সমালোচনা সব সময় ই আশা করি । পোস্টটি আপনাদের কেমন আনন্দ দিয়েছে , আমি ছক্কা মারতে পেরেছি কি না আমি জানি না , তবে ব্লগে যে আলাদা একটা ট্রেন্ড তৈরি করার ক্ষেত্রে আমি সামান্য সফলতা অর্জন করেছি , সেটা ব্লগারস আড্ডা’র পাঠকদের উৎসাহ দেখে আমি বলতেই পারি । ব্লগের রেজিস্টারড মাত্র ৪ মাস এক সপ্তাহে আপনাদের যে ভালোবাসা পেয়েছি তা আমি ভুলবো না । আমি বয়সে হয়তো এই ব্লগের সবচেয়ে ছোট । আমি যদি কারো মনে কোন কষ্ট দিয়ে থাকি , তাহলে সরি । বড় ভাই , বোন সবাইকে অগ্রিম ঈদ মোবারক ।
পোস্ট আইডিয়াঃ আলাউল হক সৌরভ
সার্বিক সহযোগিতাঃ দূর্বা জাহান
কৃতজ্ঞতাঃ দূর্বা জাহান এবং অংশ নেওয়া সকল ব্লগার