আমার দেশ পত্রিকার প্রকাশনা বাতিলের সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আপিল করেছে সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে আমার দেশ পত্রিকার প্রকাশনা বাতিলের সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে প্রকাশনা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, সরকার ও সংশ্লিষ্টদের কাছে তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এ ছাড়া প্রকাশনার জন্য মাহমুদুর রহমানের করা আবেদন খারিজ করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশের কার্যকারিতাও তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আজ বিকেল সোয়া তিনটার দিকে হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে সরকার পক্ষ।
আমার দেশের পক্ষের আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক সকালে বলেছিলেন, পত্রিকার প্রকাশনা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করায় পত্রিকা প্রকাশে কোনো বাধা নেই। ইচ্ছা করলেই পত্রিকা প্রকাশ সম্ভব।
১ জুন বৈধ প্রকাশক না থাকার অভিযোগে আমার দেশ-এর প্রকাশনা বাতিল করা হয়। পরে ২ জুন ভোররাতে পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রকাশনা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনোয়ার-উর নবী বাদী হয়ে ৭ জুন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। এর ওপর ৮ ও ৯ জুন শুনানি গ্রহণ করেন আদালত। রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক ও সরকারের পক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান শুনানিতে অংশ নেন। ওই রিটের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
সূত্র : প্রথম আলো
এমন যে একটা হবে আমরা কিন্তু আগেই ভেবে ছিলাম। আসচর্য হবার কিছু নেই। বরং আপিল না করাটাই আসচর্য হবার বিষয় ছিল।