চুড়ান্ত সিদ্ধান্তটা নিতে পেরে নিজেকে হালকা লাগে। তিন নম্বর সিগারেটটা তখন অসহায় পুড়ছে আমার পোড়খাওয়া ঠোঁটে এবং সিগারেটটা ততটা বিস্বাদ লাগছে না। আর কিছুক্ষনের মধ্যে ৭ তলা বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে উড়াল দেব আমি, গন্তব্য নিচের পিচঢালা রাস্তা। আত্মখুনের সিদ্ধন্তটা খুব সহজ ছিল আমার জন্য কারন জ্ঞান হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতিটা মুহুর্ত এমন সিদ্ধান্তের আশ-পাশ দিয়ে হরহামেশাই গেছি আমি। তো মৃত্যর আগ মুহুর্তে ফ্ল্যাশব্যাকের মতো নিজের অতীতটা দেখতে পাওয়ার কথা আমার (বইয়ে পড়েছিলাম বা সিনেমায় দেখেছিলাম এমনটা), কিন্ত সেটা এতোটাই ক্লেদাক্ত যে, কিছু জমে উঠে আমার মাথায় গেড়ে বেসতে পারে না। এটা একদিয়ে ভালো। বেমাক্কা কোন সুখ স্মৃতি হানাদারের মতো জেঁকে বসলে আত্মখুনের ইচ্ছাতে কিছুটা দোলচলের সৃস্টি হতে পারে।
অনেক দুরে আরো উঁচু একটা আ্যাপার্টমেন্টের জানালায় একটা মুখ দেখা যাচ্ছে। সে হয়ত আমার ঠোঁটে জ্বলন্ত সিগারেটটাকে একটা নক্ষত্র ভাবছে, অথবা জোনাকী। আমি তার উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে লম্বা একটা শ্বাষ নিই। ছাদের কিনারে দাড়ায়, ওপারের সাথে এক ইন্চি বা এক সেকেন্ডের ব্যাবধানটাকে হঠাৎ খুব উপভোগ্য মনে হয় আমার।
"আত্মহত্যার জন্য বিষ্যুদবার খুব ভালো দিন নয়।" কেউ একজন বলে ওঠে। প্রথমে চমকে উঠি। তারপর রক্ত মাথাই উঠে যায়! শালা, আজীবন ভারাবাহি পশুর রোল প্লে করে এখন এই মুহুর্তেও বোকা বনতে হবে? আরে ব্যাটা আমাকে কী পন্জিকা দেখে লাফ মারতে হবে? অন্ধকার তাই দেখতে পাচ্ছি না কিন্ত বোঝা যায় শালা আমার পেছনেই আছে। সে আবার বলে। এবার রোখ চেপে যায় আমার।
"ঐ কুত্তার বাচ্চা বিষ্যুদবারে মরলে তোর সমস্যা কি? আমি কী তরে নিয়া মরতেছি?"
আমি সিদ্ধান্ত নিই এই শালাকে নিয়েই লাফ দিব। বাইনচোৎ আমাকে মরার ব্যাপারে জ্ঞান দেয়! এই মুহুর্তে সবকিছুর নিয়ন্ত্রক আমি। পেছনে ফিরে লোকটাকে ধরার প্রয়াশ পাই। লুকাবি কোথাই?
"ঐ কুত্তার বাচ্চা বিষ্যুদবারে মরলে তোর সমস্যা কি? আমি কী তরে নিয়া মরতেছি?" ফের বলি আমি। অন্ধকারে কিচ্ছু দেখা যাচ্ছে না, ওর রিপ্লাই দিয়েই ওকে লোকেট করতে হবে।
"আমার কোন সমস্যা নাই। কাল শুক্রবার, ছুটি। ছুটি কাটায়ে তারপর যা করার করেন। একটা দিন শুধু শুধু নস্ট করবেন কেন?" আমার চারপাশে কথাগুলো ঘোরে, খুব কাছ দিয়ে।
"গতো বিষ্যুদবারে আমি এখান থেকেই লাফিয়ে পড়েছিলাম। ঐ যে নিচে কংক্রিটের মেঝে দেখছেন? ওখানটায় থেঁতলে পড়ে ছিলাম।"
হতাশায় মুখটা তেতো হয়ে যায় আমার। শালা আজীবন লোকজন আমাকে নিয়ে মস্করা করে গেল, এই সময়টাতেও কেউ রেহাইঈ দেবে না? এখন আরেকজন ভুত সেজে আংগুল দিতে এসেছেন! গালাগালির স্রোতে লোকটাকে উড়িয়ে ছাদময় দাপিয়ে বেড়াই আমি। কিন্তু টিকিটাও ছুঁতে পারি না ওর। এদিকে শালা আমার কানের কাছে একের পর এক বেঁচে থাকার মাহাত্য বিষের মতো ঢেলে যাচ্ছে। আধাঘন্টার মতো দোড়-ঝাপ করার পর জিভ বেরুনো কুকুরের মতো হাপাতে হাপাতে ছাদের মাঝখানে বসে পড়তে পড়তে ভাবলাম, মরতে এসে শেষ পর্যন্ত ভুতের পাল্লায় পড়তে হলো?
"কি চাও তুমি?" কন্ঠে পরাজয়ের সুর শুনে নিজের উপরই ক্ষেপে উঠি।
এইতো লাইনে এসেছো মার্কা হাসি দেয় সে। বলে, "এইবার নিজেকে দেখানো যায়।" আমি দেখি। অন্ধকার পাতলা করে বিশ কী বাইশ বছরের একটা কচি মুখ জেগে উঠছে। ভুতের এহেন শিশুসুলভ চেহারা দেখে মেজাজটা আরো খিঁচড়ে যায়।
"আমি কিছুই চাই না। শুধু আপনি বিরক্ত না হলে একটা গল্প বলি। গতো বিষ্যুদবারে এই ছাদের উপর থেকে লাফিয়ে পড়ি আমি। কারন খুব সাধারন। আর দশজনের মতোই। আমার গার্লফ্রেন্ডের রিলেশান গড়ে ওঠে আমারই খুব ক্লোজফ্রেন্ডের সাথে। কয়দিন নিজের সাথে যুদ্ধ করে শেষমেষ লাফ দিই।"
শালার পোলাপাইন! আমি জন্মের পর থেকে কদর্যতার সাথে ল্যাপ্টালেপ্টি করে এতোদিনে ডিসিশান নিলাম মরবো আর এরা? গার্লফ্রেন্ড আরেকজনের সাথে ঢলাঢলি করলো কিনা লাফ দিয়া বসলো! কই যাই আর কাগো লগে চলি!!
"আপনি হাসছেন জানি, কিন্ত কী করবো বলেন! যাইহোক মৃত্য নিয়ে আমার কোন আফসোস নেয়। আফসোসটা অন্যখানে। লাফ দেওয়ার ঠিক পরমহুর্তেই মনে পড়ল আমার প্রাক্তন গার্লফ্রেন্ডের কাছে খুব ইমপর্ট্যান্ট একটা জিনিস থেকে গেছে! "
এবার আমি একটু নড়ে চড়ে বসি। সে আবার বলে,
"আমার মা মারা গেছেন অনেক আগেই। বাবা আর আমার পিঠাপিঠি ছোট বোন। পারিবারিক বন্ধন বা এরকম বিষয়গুলোতে আমি খুব একটা সাচ্ছন্দ ছিলাম না, সবার সাথেই একটা দুরত্ত ছিল। আমার বোনটা আবার খুব বই পড়ুয়া। বড়ো হয়ে গেছে তারপরেও ফেলুদার অন্ধ ভক্ত, আমি মাঝে মধ্যে এটা নিয়ে ক্ষ্যাপাতাম ওকে। দু'দিন বাদে ওর জন্মদিন। আমি ভেবেছিলাম ওকে সারপ্রাইজ দেব। ফেলুদা সমগ্র কিনেছিলাম ওর জন্য।"
"আর বইটা থেকে গেছে সেই গার্লফ্রেন্ডের কাছে।" ওর কথার সাথে যোগ করি আমি।
"হ্যা! বইটা কিনেই ওর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। রাগারাগির এক পর্যায়ে আমি উঠে চলে আসি। ভুলে রেখে আসি বইটা। লাফ দেওয়ার ঠিক পরেই যখন মনে পড়ল, এমন আক্ষেপ চেপে ধরলো আমাকে! ইস যদি বইটা আমার বোনকে দিতে পারতাম! "
জমাট বাধা অন্ধকারে একজন ভুতের মুখে এমন কথা শুনে আমি আদ্র হবো কী হবো না এই নিয়ে দোটানায় পড়ে যায়। আবার একসময় ভাবি, সব শালা বিভ্রম, আত্মহত্যার আগে হয়তো অনেকেরই এমন হয়।
"আপনি কী ভাবছেন আমি বুঝতে পারছি। সেটাই সাভাবিক। আর আমার এই আক্ষেপটা না থাকলে হয়তো আপনার সাথে আমার দেখাও হতো না। আপনি আমাকে একটু হেল্প করবেন প্লিজ? বইটা শুধু আমার বোনের কাছে পৌছে দেবেন!"
"মাথা খারাপ? আমি খানিক বাদেই সব হিসাব চুকিয়ে দিচ্ছি। আপনি অন্য কাউকে ধরেন।"
"ঠিক আছে, আপনি আত্মহত্যা করতে চাইলে আমি বাধা দেব না। যাবার আগে আপনি শুধু আমার কাজটা করে দেন। বইটা ওর কাছ থেকে আমার বোনের কাছে পৌছে দেবেন শুধু।"
মামা বাড়ির আব্দার আর কি! ফেলুদা সমগ্র প্রক্তন প্রেমিকার কাছ থেকে বোনের কাছে পৌঁছে দিতে হবে! আরে ব্যাটা এই বাবদ যে একটা দিন নস্ট হবে আমার, সে ক্ষতিপুরন কী তুই দিবি? একটা দিন বেঁচে থাকা মানে আরেকটা দিন অন্যের দয়া-দাক্ষিন্য আর করুনায় আরো ছোট হয়ে যাওয়া। আমার ঠ্যাকা পড়ে নাই। কিন্তু এ ব্যাটা নাছড় বান্দা। ইনিয়ে বিনিয়ে ছোট বোনের কথা বলল, বোনটা এক হপ্তা ধরে প্রায় না খাওয়া, সে আগে বুঝে নাই বোন কে সে এবং বোন তাকে কতো ভালোবাসে, বেচারি যদি তার জন্মদিনে ফেলুদাকে পায় তাহলে কতো খুশি হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। আর আমাকে হতে হবে ফেলুদা উদ্ধার অভিযানে ক্লাউন লালমোহন। শালা কই থাকি আর কাগো লগে চলি!
২।
ঝাঁ চকচকে রোদে ভুতদের দেখতে পাওয়ার কথা নয়(বইতে পড়েছি বা সিনামায় দেখেছি) কিন্ত এই ব্যাটা দিব্বি আমার সাথে ধানমন্ডির ২৭ এর পা ফেলা যায় না এমন একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির নিচে দাঁড়িয়ে আছে। আমি ঝলমলে সুন্দর তরুনীদের দেখছি আর সে তাদের একে একে বাতিল করে দিচ্ছে।
"নারে ভাই এইটা না। সে আসলে আমিই আপনাকে বলবো। আর এতো ছোঁক ছোঁক করে মেয়েদের দিকে তাকালে আপনার প্যাঁদানি খাওয়ার চান্স আছে।"
তো এইভাবে ঘন্টা খানেক বা তার খানিক বেশি সময় পরে তাহাকে দেখিলাম। ইয়ো ইয়ো টাইপ একটা মাইয়া। চোখে মুখে টেনশন মেখে ক্লাশ রুম থেকে বের হলো সাথে লম্বা মতো হ্যান্ডসাম একটা ছেলে।
"এইটা কী আপনার সেই বেস্ট ফ্রেন্ড?" ভুতকে বলি। সে মাথা নাড়ায়। "তাইলে মেয়েটাকে খুব একটা দোষ দেওয়া যাচ্ছে না।" খোঁচা দিই আমি।
"ভাই আপনি এতো কথা বলেন কেন? এইভাবে আমার সাথে কথা বললে লোকজন আপনাকে পাগল ভাববে।"
" ঐ ছোকরা সাথে আঠার মতো লেগে থাকলে তো আমি তার সাথে কথাই বলতে পারবো না! "
মেয়েটা একটা সিএনজি ধরে উঠে পড়লো দ্রুত, ছেলেটা হাত-পা ছুঁড়ে কী সব বোঝানোর চেস্টা করছে, বাট কাজ হলো বলে মনে হচ্ছে না। শেষমেষ চলেই গেল মেয়েটা।
"এখন?"
"আমি নাম্বার বলছি আপনি ওকে কল দেন একটা"
"মোবাইলতো নাই আমার কাছে। কালকে ছাদে উঠে নিচে ফেলে দিয়েছি!"
"কী যে করেন না! ঐ দোকান থেকে কল করেন।"
তো রাস্তায় টুল পেতে বসে থাকা মোবাইলের দোকান থেকে মেয়েটাকে কল করি। বলি আমি ওমুকের বন্ধু তার সাথে জরুরী কিছু কথা বলা দরকার, ধানমন্ডি লেকের কাছে আসতে বলি। মেয়েটা কিছু বলে না। এহেন নিরবতা অথবা শুন্যতার মাঝে আমি নিজেকে লটকে থাকতে দেখে কিছুটা মজা পাই। মেয়েটা কোন কথা বলে না কিন্তু আমি জানি সে আসবে।
আমি ধানমন্ডি লেকের নোংরা পানিকে সমুদ্রের মতো নীল বানাচ্ছি আর ভুতটা পায়চারি করছে। ওকে ছিঁড়ে-খুঁড়ে দুপুরের কড়কড়ে আলো, বাদামওয়ালা, দু'জোড়া প্রেমিক-প্রেমিকা এমনকি ধুলোবালি নিয়ে একটা মোটরসাইকেল পর্যন্ত চলে যায়, ও নির্বিকার থাকে। মেয়েটা আসে, ঝড়ে পড়া একটা গোলাপ গাছের মতো। আমি উঠে দাঁড়িয়ে হাত নাড়ি।
"কে আপনি? কী চান?"
আমি কী বলবো কিভাবে বলবো গুছিয়ে ওঠার আগেই মেয়েটা কেঁদে ফেলে।
"আমি একদম বুঝি নাই ওএটা করবে। আমি এখনো বিশ্বাষ করতে পারছি না।"
আমি মেয়েটাকে হালকা হওয়ার সুজোগ দিই। ছোট একটা নিঃশ্বাষ ফেলে ভাবি, শালা আমি কালকে মরে গেলে কেউ কি আমার জন্য এভাবে কাঁদতো? আড় চোখে ভুতটার দিকে তাকাই। বুকে হাত বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে, ঠোঁটে দুর্বোধ্য এক চিলতে হাসি।
"আপনার কাছে মনে হয় একটা বই থেকে গেছে, ফেলুদা সমগ্র। ওর ছোট বোনের জন্য। আমাকে বলেছিল বইটা যেন আমি ওর বোনকে পৌছে দিই।"
"হ্যা, যেদিন ওর সাথে লাস্ট দেখা হয়। ও ওর বোনটাকে খুব ভালোবসতো। জন্মদিন উইশ করে বইটাতে খুব সুন্দর কিছু কথা লেখা ছিল। ও কেন এমন করলো?" মেয়েটা আকুল হয়ে কাঁদে। আমি বোকার মতো দাঁড়িয়ে থাকি।
৩।
জটায়ু অবশেষে ফেলুদাকে যথাস্থানে পৌঁছাইয়া দিল! জন্মদিনে সদ্য ভাই হারানো বোনের কাছে এর চাইতে বড়ো গিফট আর কি হতে পারে আমার জানা নেই। আমার চোখ ভিজে ওঠার আগেই আমি পালিয়ে চলে এসেছি, বাবা আর বোনকে ফেলে। তারা কাঁদুক। ততক্ষনে সন্ধ্যে হয়ে এসেছে।
"আপনার আক্ষেপ কী কমলো? নাকি বাড়লো আরো?" আমি ওকে বলি।
ও হাসে। আমার কাছে কান্নার মতো মনে হয়। আমাকে বলে,
"আপনি কী এখনো লাফ দেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল আছেন? আরেকটু ভাববেন? আপনি আর হয়তো আমাকে দেখবেন না!"
ও অস্পস্ট হতে থাকে, ঠোঁটে কান্নার মতো একচিলতে ম্লান হাসি। আমি হাত নাড়ি। ও মিলিয়ে যায়।
হঠাৎ সিগারেটের তেস্টা পায় আমার। পকেটে ফুটো পয়সাটাও নেয়। এদিক ওদিক তাকাচ্ছি, কারো কাছে চেয়ে চিন্তে একটা সিগারেট পাওয়া যায় কিনা। এক আধবুড়ো লোক আসছে আমার দিকে। আমার মতোই ভাংগাচোরা আর হেরে যাওয়া চেহারা।
"ভাই একটা সিগারেট হবে?"
মাথা নাড়ে লোকটা। উল্টো আমাকে বলে,
"ভাই একটা অনুরোধ করবো, রাখবেন?"
আমি হতাশ হই। লোকটা ফের বলে,
"ভাই আমার পরিবারের টাকার খুব প্রয়োজন। আমার ছোট মেয়েটা খুব অসুস্থ্। অনেক টাকার দরকার।"
আমি হাসি। বলি, "ভাই আমার পকেটে ফুটা পয়সাও নাই। থাকলে কি আপনের কাছে সিগারেট চাই?"
"টাকার জোগাড়ও হয়েছিল, জানেন। পন্চাশ হাযার টাকা। টাকাটা নিয়ে যাচ্ছিলাম হলিফ্যামিলির দিকে। মগবাজারে আমার সিএনজিতে দুই ছিনতাইকারি উঠে পড়ে দুদিক দিয়ে। টাকাটা আমার ছোট মেয়েটার জীবন। আমি ওদের দিতে চাইনি। ওরা ছুরি মারে আমাকে।"
"মানে?"
"আপনি তো ঐ ছেলেটার বোনকে তার বইটা পৌঁছে দিলেন। আমার টাকাটা উদ্ধার করে দেবেন, প্লিজ? টাকাটা না পেলে আমার মেয়েকে বাঁচানো যাবে না।"
আমার হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসে। এই জন্মে কী আর আত্মহত্যা করা হবে না আমার??
বিঃদ্রঃ গল্পটি একটা হলিউডি মুভি দ্বারা জোরালো ভাবে অনুপ্রানিত!
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১১:৫১