ফেলে আসা সময়-১
টার্ম-১ এ ধরা খেয়ে লেভেল-১, টার্ম-২ তে আমি বেশ শিরিয়াশ, “এই ভাবে তো বাশ খাওয়া চলিবে না”। সঙ্গী পেলাম শামসকে। ওর ও আমার মতো অবস্থা। ও বললো হলে থাক এক সাথে পড়া (বুয়েটিয়ান ভাষায় ফাইট) যাবে। আমার হলে থাকা শুরু। শামস থাকতো রশীদ হলের ৫০০১ এ। শামস হইলো আদর্শ ছাত্র- তিনি নর্মাল প্যান্ত আর শার্ত ছাড়া কিছু পড়েননা, তাহার কম্পিউটারে কোন ব্যান্ডের গান নাই, ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমি প্রমাদ গুনিলাম গান ছাড়াতো আমার চলিবেনা। হার্ডডিস্ক নিয়া আসলাম। আর কিছুদিনের ভেতর ওর মাথায় জিন্স আর টি-শার্টের পোকা ঢুকাইয়া দিলাম।
কিছু দিনের ভেতরই বন্ধু-বান্ধব বাড়লো। সাগর, আমিত, সুফল, বাদল, রিফাত, তানিম, মাসুম, আকাশ আরো অনেকে। খেলা (ক্রিকেট আর ফুটবল) আর গানের পাগল ছিলাম। আর খেলতে গিয়েই বন্ধুত্ব মিজানের সাথে। মিজানকে চিনতাম আগে থেকেই কিন্তু ও যে এতো ভালো ক্রিকেট খেলতো তা জানা ছিলোনা। আমি, সাগর আর মিজান ঠিক করলাম আগামী বছর ফ্যাকাল্টি টিমে খেলতে যাবো।
তিতুমীর হলে তানিমের রুমে প্রায়ি আড্ডা আর কার্ড খেলতাম আর রাত বেশী হলে মুভী।
মাসুম গীটার বাজাতো, আমি নিজেও একটু একটু বাজাতাম, ওর রুমেও প্রায় বসতাম গীটার বাজাতে- অদ্ভুত সেই ছেলেটি, ফেরারী মন, দুঃখ বিলাস......
এভাবেই টার্ম ফাইনাল চলে আসলো। আমি স্থায়ীভাবে শামসের রুমে। পিএল এ যতোনা পড়াশোনা করলাম তার চেয়ে বেশী টিটি আর কিং অফ ফাইটার্স খেললাম।
৫০০১ এ আরো ছিলে ৯৮ ব্যাচের ইইইর দুই ভাই (নামটা মনে পড়ছেনা)।
একদিন রাতে ঘুমাইতেছি, মনে হয় ২-৩টা বাজে ওনারা তিন-চার জন ঘুম থেকে উঠাইয়া বললেন- “ছোট ভাই মমতাজের ফাইট্টা যায় গানটা আসে নাকি? শুনাওতো একটু ”
ওনাদের আরেক ফ্রেন্ড নেপালী রমেশদা আসতেন মাঝে মাঝে আর বলতেন “এই ভুড়িতা লিয়ে কি করি বুলোতো”