সমকালের লেখাটা পড়ার পর কিছু লিখবো ভেবেছিলাম। আমাভ বন্ধু হাল্ক প্রায় সবই লিখে ফেলেছেন। কিছু কথা আমি একটু টাইনা লম্বা করি।
প্রথম কথা শুধু বুয়েট ছাত্ররা নয় বাংলাদেশের সব প্রকৌশল ছাত্রদের একই অবস্থা। বাংলাদেশের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের একটি বড় অংশ প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা করে। অথচ দেশে নিজ পেশাগত ক্ষেত্রে তাদের কি করার আছে?
সরকারী চাকরী- বিসিএস- সড়ক ও জনপথ, গণপূর্ত ও জনস্বাস্থ্য আর বেসরকারী চাকরীর কথা নাই বললাম।
দেশের প্ররিপ্রাক্ষিতে একজন প্রকৌশলীর সরকারী চাকরীর সর্বোচ্চ ধাপে পৌছানোর সুযোগ নেই। যোগাযোগ বা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হন প্রসাশনিক ক্যাডার হতে। অথচ খোজ নিলে দেখা যাবে সড়ক ও জনপথ বা বাপাউবোতে তার থেকে যোগ্য এবং অভিঞ্জ প্রকৌশলীগণ কর্মরত রয়েছেন।
সরকারী চাকরীর সুবাদে কিছুদিন মাঠপর্যায়ে কাজ করবার অভিঞ্জতা হয়েছে। সেখনেও দেখেছি ইউএনওরা নির্বাহী প্রকৌশলীদের (ডিসি সম পর্যায়) সাথে অসম্মাজনক আচরণ করছে এবং জেলাপ্রশাসক এতে সায় দিচ্ছেন। মাঠপর্যায়ে অর্থ নিচ্ছেন সবাই অথচ দোষ হচ্ছে শুধু প্রকৌশলীদের।
এবার একটু অন্য কথায় আসি। দেশে প্রকৌশলী ক্ষেত্রে গবেষণার কোন সুযোগ নেই। বুয়েটে একজন ফুলটাইম পিএইচডি ছাত্রকে মাসিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫০০০.০০ টাকা। বুয়েটে ফাইনাল ইয়ারে ‘Professional Practice’ নামক একটি কোর্সে আমাদের Professional Ethics পড়ানো হয়েছিল। সেখানে পড়েছি একজন প্রকৌশলী উপযুক্ত সম্মানীতে আরেকজন প্রকৌশলী নিয়োগ করবেন। গত সপ্তাহে পুরকৌশল ভবনের নোটিস বোর্ডে দেখলাম, একজন অধ্যাপক “Research Assistant” চেয়েছেন CGPA above 3.4, সম্মানী (!) ৮০০০.০০ টাকা। স্যার এর মাসিক আয়টা খুব জানতে ইচ্ছা করে!
আমার প্রথম লিখা, বানান ভুল থাকলে ক্ষ্মমা করবেন