দূরে একটা মাইল ফলক।
তুমি হেঁটে যাচ্ছ শ-খানেক গাড়ির গতি অতিক্রম করে।
পিছনে আমার দৃশ্যমান চোখে ছলছল কিছু অভিমান
শুকনো ঠোঁট ফুলিয়ে বলতে চাই অজস্র গাথা।
চিৎকার করে রাস্তা কাঁপিয়ে ভিক্ষা চাইছি-
এক দণ্ড বেঁচে থাকার অধিকার।
তুমি শুনছো না !!!
লোহার শিকলের ভুল অতিক্রম করে হেঁটে চলেছ ঠিকানা বিহীন।
একবার যদি অদূরে তাঁকিয়ে দেখ মহাসমুদ্রে বজ্রপাত,
চোখের কোণে জমাট বাঁধা রক্ত আর মস্তিষ্কের ব্যাবচ্ছেদ
তুমি ফিরে আসবে জানি পথ ভোলার অছিলায়।
অন্ধকার এসে বাসা বেঁধেছে বক্ষ পাজরে।
সন্ধ্যা নামার নিয়মানুসারে ফিরতে হবে বাড়ি।
তুমি ফিরে যাচ্ছ নিজ দেশে
পেছনে পরে থাকা টুকরো টুকরো আমি।
দেখো-
কি চমত্কার ভাঙছি-গড়ছি আপন কায়ায়!
বারবার ডাকি নাম ধরে...সমস্ত স্পর্ধা অতিক্রম করে,
তুমি ফিরে দেখছ না!
তবে আড় চোখে ধরা পরুক মৃত্যুর এক মুহূর্তের ছবি,
আর ভাঙ্গা টুকরোর মর্মার্থ বুঝতে পারো যদি
সব ফেলে ছুটে আসবে শেষ মুহূর্ত অথবা চোখের পাঁপড়ির জন্য, আমি জানি।
এভাবে জানা অজানায়, আকাঙ্খায়, প্রতিক্ষায় হেঁটেছি কয়েক কোটি আলোকবর্ষ।
হিসেব মেলানোর আগে আমি কিছু খণ্ডচিত্র এঁকে রেখেছিলাম।
অতঃপর...
দেরী করে বাড়ি ফেরার পুরন অভ্যাস তোমার।
কবে যে মাইল ফলক ভেঙ্গে ওখানে জন্ম নিয়েছে কবিতার শাখা প্রশাখা বিস্তৃত এপিটাফ তুমি জানলেনা।
জানতে ইচ্ছা করে খুব,
সেদিন কি বদ্ধ ঘরের অন্ধকারে এক ফোঁটা জল বিদেহী আমার জন্যও ছিল?
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৭