তন্দ্রা এলো।
ভোর হতে হতে কতক্ষন পেরোলো সময়,
জানা হয় নি।
শুকতারা, কখন এলে?
রঙ উঠে যাওয়া তেলচিটচিটে স্বপ্ন
দেখেছো ঝুলে আছে শরীরে আমার?
আর কবে দেখবে তুমি!
কতখানি নগ্ন হলে চোখে পড়বে
গেঁথে আছে আমার শরীরে প্রাগৈতিহাসিক বল্লম!
আহত শরীর কতখানি পঁচে গেলে
রক্ত ঝরলে কতখানি
খসে পড়বে
গেঁথে থাকা আজন্ম অভিশাপ!
কুঁড়োলে আর কতখানি পাপ
হব আমি স্বর্গীয় দেবদূত!
ভেসে যাওয়া খড় কুটোয়
ভাসিয়ে দিয়েছি আমার স্বপ্ন আর
সুখ। ভালোবাসার মায়াবী মোহে
ক্ষয়ে ক্ষয়ে
আমার শরীরে জমেছে অদ্ভূত অবসাদ!
বিবর্ণ আর ধূসর সময়ের আত্মকথায়
ছিড়ে খুঁড়ে চেখেছি নিজের
ফেলে আসা সময়ের তিক্ত আস্বাদ।
ঘন নীল বিশুদ্ধ গরল
নামতে থাকে নিয়ত
আমার গলায়, আমার শরীর এখন
সমুদ্র বিষের, রূপালী জ্যোৎস্না
মেখে যে শরীর কেঁপেছিলো
হাজার বছর আগের কোনো এক কাল্পনিক রাতে।
সর্পিল ভালোবাসা জড়িয়েছে
আমার লতানো শরীরে
দীর্ঘতর মূলে আর বসন্তের উৎসবে,
সর্পিল প্রেম শুষে শুষে
আমাকে করেছে আরো দীর্ঘতর
আর শুষ্ক।
উন্মাদের বিচ্ছিন্ন প্রলাপের মতো
গেয়ে চলেছি আজীবন
গীতিকবিতার ঘুনে ধরা বয়স্ক বয়ান।
সবুজ ঘাসের স্রোতে ভেসে ভেসে
ছেলেবেলায়
যে সন্ধ্যাতারা আমার শরীরে গেয়েছিলো
কৈশোর আর যৌবনের গান,
খুঁজে চলেছি আজো সেই হারানো সুর
হারানো সুখ।
পেয়ে যাবো, পেয়ে যাবো নিশ্চয়ই কোনো একদিন!
শুকতারা, যাওনি এখনো!?
সূর্য তো উঠলো বলে!
মার্চ, ২০১৬
সাউথ চায়না সী
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০৮