গত পর্বে আমরা দেখেছিলাম ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ কিভাবে হার্ট আর রক্ত নালীর রোগের জন্য দায়ী। আজ আমরা দেখব ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ কিভাবে লিভারের রোগের জন্য দায়ী। গত পর্বের লিংক
Click This Link
-লিভার কি?
লিভার আমাদের দেহের সবচেয়ে বড় মেটাবোলিক অরগান। লিভার মোটামুটি রক্তের বিভিন্ন টক্সিক ড্রাগ পরিশোধন থেকে শুরু করে খাদ্য হজম করা মত সবগুলা কাজ করে। আমরা যখন কোনো কিছু খাই, খাদ্যপ্রান গুলা তখন রক্তের মাধ্যমে প্রথমে লিভারে পৌছে, আর মেটাবোলিজম শুরু হয়। এক কথায় বলতে গেলে, লিভার একটা প্রডাকশন হাউজ, একটা কারখানার মত।
-লিভার কিভাবে খাদ্য প্রানের মডিফিকেশনের জন্য দায়ী?
খাদ্য প্রান গুলা হলো বেসিক মলিকুউল, যেমন, কার্বোহাইড্রেট পাকস্থলীতে ভেংগে হবে মনো স্যাকারাইড (যেমন, গ্লুকোজ), আমিষ ভেংগে হবে অ্যামিনো এসিড, ফ্যাট ভেংগে হবে গ্লিসেরল আর ফ্যাটি এসিড। এখন এই ভেংগে যাওয়া খাদ্যপ্রাণ গুলা লিভারে যাওয়ার পরে আবার বিভিন্ন জিনিস হবে, যেমন, গ্লুকোজ গ্লাইকোজেনে, অ্যামিনো এসিড গুলা বিভিন্ন প্রোটিন সিনথেসিসে আর ফ্যাটি এসিড গুলা বিভিন্ন প্রস্টাসাইক্লিনের প্রিকারসর হবে। এর মধ্যে গ্লুকোজ আর ফ্যাটি এসিড এনার্জি সোর্স হিসাবেও কাজ করবে।
এখন আমরা যদি বেশি গ্লুকোজ আর ফ্যাটি এসিড গ্রহন করি কার্বোহাইড্রেট আর ফ্যাট খেয়ে। আগের পর্বে আমরা দেখেছি কিভাবে এরা মাইটোকন্ড্রিয়ায় খুব বেশি চাপ ফেলে আর ফ্রি রেডিক্যাল তৈরি করে।
কাজেই প্রথমেই যে অরগানটা এফেক্টেড হবে তা হলো লিভার।
-লিভারের কি হবে বেশি ফ্যাট বা কার্বোহাইড্রেট খেলে-
লিভারে দুইটা কন্ডিশন নিয়া এখানে আমরা দেখব, ১) নন এ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার আর ২) এ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। নাম দেখেই বোঝা যায়।
ফ্যাটি লিভার, সহজ কথায় মানে হলো লিভারে ফ্যাট জমা হওয়া। নন এ্যালকোহলিক মানে এ্যালকোহল ছাড়া এটা হবে, এ্যালকোহলিক মানে এ্যালকোহল খেলে এটা হবে।
ডেফিনিশন " Nonalcoholic fatty liver disease (NAFLD) refers to a wide spectrum of liver disease ranging from simple fatty liver (steatosis), to nonalcoholic steatohepatitis (NASH), to cirrhosis (irreversible, advanced scarring of the liver). All of the stages of NAFLD have in common the accumulation of fat (fatty infiltration) in the liver cells (hepatocytes). In NASH, the fat accumulation is associated with varying degrees of inflammation (hepatitis) and scarring (fibrosis) of the liver."
অতিরিক্ত ফ্যাটের সাপ্লায়ের ফলে দুইটা ঘটনা ঘটে, একটা হলো ফার্স্ট হিট বা অ্যাকুমুলাশন অব ফ্যাট ইন লিভার, আর পরেরটা হলো সেকেন্ড হিট বা অক্সিডেটিভ ড্যামেজ।
এখানে একটা কথা মনে রাখা দরকার যে, আমাদের শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে লিভার (Glucose disposal) একটা বড় ভুমিকা পালন করে। কাজেই ডায়াবেটিস রোগীদের লিভার ডিজিজ হলে আলাদা খেয়াল রাখতে হবে।
ফ্যাটি লিভার কি ঠিক হবে?
ঠিক হওয়াতো উচিত,
১। দেখা গেছে ফ্যাটি খাবার খাওয়ার পরিমান কমালে লিভারে ফ্যাট জমার পরিমান কমে।
২। ওজন কমালেও কিছু ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায়।
৩। কিছু গ্লুকোজ লোয়ারিং ড্রাগ ভালো ফল দিতে পারে।
রিসেন্ট কিছু গবেষনায় দেখা গেছে যে ফেনোলিক কমপাউন্ড গুলা (যেমন, Naringin from grapes extract, Rutine- from onion; Ferulic acid- from rice bran, cereals etc; Olive leaf extract, coffee bean extract) গুলা নন এ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজকে প্রিভেন্ট করতে পারে।
বিএমই জানা থাকলে ওবেসিটির ধারনা পাবেন ,
Under weight-