somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যেসব অনুভুতিরা কবিতা হয়ে গিয়েছিলো

২৫ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আরেকবার এসে একটি আঁচড় দিয়ে যেও
চুমু না খাও, এক কাপ চা খেয়ে যেও।
ব্যাস্ত হাইওয়ের দিকে চোখ রেখে,
দোকানের ছোট্ট টুলে আঁটসাট হয়ে বসে কয়েটি চুমুক
মুখের কথা কেড়ে নিবে কিছু স্মৃতিচারন।

আরেকবার এসে একটি নখের দাগ দিয়ে যেও
হাত না ধর, চাঁয়ের দাম দেয়ার বায়না ধর
বায়নার ছলে হাত দিয়ে থামিয়ে দিবে আমার হাত
এতটুকু স্পর্শে কাটিয়ে দিবো
পরের কবিতার শেষ শব্দ অব্দি।


পরস্পর শূণ্যতার ইতিহাস পড়ছি
দুদিক ফেরানো দুটি দেয়াল ঘড়ি টিকটিক করছে।
ট্রেনের হর্ণ দুটো সময়কে ভাগ করে এগিয়ে যায়
টিভিতে কমেডি শো টিটকারি মারে উচ্চস্বরে।

মধ্যরাস্তায় চাঁদ হয়ে শহুরে ল্যাম্পপোষ্ট নামে
রাতজাগা মানুষ হয়ে আমি চাঁদের নিচে আততায়ী।


দেখ বৃষ্টি নেমে যাবে, মধ্যবয়সি রাতে
আড়ি পেতে শোন তবে, ওম পাবে ঘুম পাতে।

একটি দেয়াশলাই আমার জন্য রাখবে জীবন বাজি
বারুদ ঘষে, চাবুক হয়ে নিকোটিনের পাগলা ঘোড়া।
তুমি ঘুমের পাতে বৃষ্টি ছলাৎ, আমি ব্যালকনিতে ঘুম উপবাস।
ধোঁয়াগুলো বৃষ্টি ছুঁয়ে স্লোগানমুখী,থেমে যাক বিষন্নতার কান্নাকাটি।


একটি চিঠি!
কত শত শব্দরা মাখামাখি করে শেষ পর্যন্ত দেউলিয়া
একটি উড়নচন্ডি তর্জমাহীন অনুভুতি
মটরগাড়ীর চাকার গোৎ গোৎ শব্দের মত পায়চারি
অনুভুতির তেল পুড়িয়ে শেষে কিছু হলো না।

অথচ পাদটীকায় লেখা "শূণ্যতার ইতিহাস"
ইতি বলে সৎকার সব অনুভুতিই নিমেষেই,
কারো কারো নামটি পড়া হয় না আর।
আবার ফিরে যাই "প্রিয়" সম্ভাষনে

সেই একটি চিঠি!


জোয়ান চাঁদ ফালি ফালি করে ফেলে তপ্ত রক্ত
শিহরনের কাপুরুষ খুন করে আই বুড়ির কপাল চুমে
চরকির শেষ সুতো তখন আঁটকে পড়ে
চাঁদের কলঙ্ক কি মানুষ এমনিই বলে?


নদীর জলে ভাবনার বিলবোর্ড চমকে চমকে হাসছে
শুকনো হাসি হেসে যাচ্ছে সুন্দরী মডেল,
খসখসে জলছায়ার অনুভুতিতে জমা ময়েশ্চার
জলকনাদের প্রচারনার আন্দোলন
জলচিত্র যেন ভ্যাসলিনের বিজ্ঞাপন!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:০৮
২৯টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার মিশন কিংস পার্টির

লিখেছেন sabbir2cool, ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৩



মুহাম্মদ ইউনূসের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল রাজনৈতিক দল গঠন করার। নব্বই দশক থেকে শুরু করে অদ্যাবধি সরাসরি পেরে উঠতে পারেননি। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি সরাসরি না করলেও তার অধীনস্থরা এটা করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

=খন্ড কাব্য ১-৪=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:৫৮


১।মনের অসুখ, মন আকাশ বৃষ্টির ভারে নুয়ে পড়েছে
চোখে বৃষ্টি নামার আগেই তুমি, বলো ভালোবাসি
অথবা চোখে তাকিয়ে বলো এ কাজল চোখে মানায় না বৃষ্টি
বলো, তুমি হাসো মন খুলে
ব্যস! চাই না কিছু... ...বাকিটুকু পড়ুন

“বিবেকহীনদের জন্য কিছু প্রশ্ন”

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১০

ফেসবুকে দেখি কিছু মানুষ “আপা আপা” বলে চাটুকারিতার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। মনে হয় তাদের আত্মা পর্যন্ত বেরিয়ে যাবে, তবু তারা অন্ধভক্তি ছাড়বে না! প্রশ্ন হলো—আপনারা কি সত্যিই অন্ধ, নাকি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সারজিস আলম : শূন্য থেকে কোটিপতি বনে যাওয়া একজন স্বপ্নবাজ তরুণ

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৫০


জুলাই অভ্যুত্থান বাংলাদেশের তরুণদের জন্য একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। বাংলাদেশের অগণিত তরুণ তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের উদ্দেশ্যে রাস্তায় নামলে সৃষ্টি হয় নতুন উপাখ্যান। বিগত সরকারের আমলের ঘুষ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতির বলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ: সেনাবাহিনী ও এনসিপির পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের প্রেক্ষাপট

লিখেছেন শাহাবুিদ্দন শুভ, ২৫ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:০৬


শাহাবুদ্দিন শুভ :: বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি গত কয়েকদিনে নাটকীয় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে নতুন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি (এনসিপি) এবং সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

×