নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Stay Hungry. Stay Foolish.
ছেলেটি বলেছিল -
"তুই আমার দেখা সবচে সুন্দরী নারী।"
মেয়েটি অভিমানে ঠোঁট ফোলায়;
"তুই কতজনকে দেখেছিস?
শুধুই তাদের মধ্যেই? সারা পৃথিবীর মধ্যে নয়?"
ছেলেটি বিহবল হয় -
"তোর চোখে তাকিয়েই আমি পৃথিবী দেখেছি।
আর কিচ্ছু তো...
"স্যার...মাসাজ স্যার....মাসাজ....মাসাজ স্যার....!!!"
কোকিলকন্ঠী মধুর আহবান শুনিয়া চটক ভাঙিল। তাকাইয়া দেখি, স্বল্পবসনা এক সুন্দরী রমনী মদির কন্ঠে আমারই দিয়ে লুব্ধ দৃষ্টি হানিয়া আহবান করিতেছেন।
অহোঃ এই স্বর্গীয় আহবান যেন এ পুরুষজন্ম...
কোন এক দিন
---------------
কোন একদিন আসবেই;
যেদিন অফিসপাড়ায় ফুলের প্যারেড হবে। হরেক রঙের।
ঘরফেরতা মানুষগুলো বাসে না ঝুলে লিমুজিনে উঠবে।
আকাশের মেঘগুলো রঙ বদলে সবুজ হবে।
আর ঝরাবে সুগন্ধি লেবুফুল।
কোন একদিন আসবেই;
যেদিন...
অনেকটুকু নয়, চেয়েছি একটুখানি।
স্পর্শ তোমার - সারা গায়ে মেখে নেব।
একটু আদর - মেঘ হবো আকাশ-আদরে।
একগোছা চুল - বুলাবো ঠোঁটের পরে।
ছোট্ট শাসন - হিমালয়ের মত স্থির হবো।
একটু খোলা ঠোঁটের কপাট, আধবোঁজা...
আজ একটু অন্যরকম হোক।
সারাটা সকাল কাটুক বৃষ্টির গান শুনে।
টুপটাপে একলা রাস্তাটা ভিজে যাক।
দুপুর হোক আলস্যে মোড়া।
ভারী মেঘেদের ওজন কমুক, ঝর্না ঝরিয়ে।
জানলার পাশটিতে বসে তুমি-আমি
ভিজে দাঁড়কাকটাকে দেখি।
বিকেল আর সন্ধেটা মিশে যাক।
আকাশ...
"দৈনন্দিন জীবনে আমি একজন ভদ্রলোক"
যে কি না \'দৈনন্দিন\' একঘেয়ে কাজগুলো করে যায়।
রবোটের মত, কিছুটা অভ্যাসে।
তার সময় নেই \'জীবন\' নিয়ে ভাবার।
ব্যস্ততার হাউন্ডটা তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়।
সকাল - দুপুর - রাত।
নিজের \'আমি\'...
দুই ছেলেই পড়ছে - গুনগুন....ভনভন...
ওদের মা প্রশ্ন বানাচ্ছে।
আর আমি বসে আছি চুপচাপ।
অফার করেছিলাম - পড়ানোর ব্যাপারে সাহায্য করব কি না। উত্তরে নির্দেশ পেলামঃ
চুপ করে বসে থাক সামনে।...
বিখ্যাত লেখক শংকরের একটি লেখায় \'লেখকের\' শ্রেনিবিভাগ পড়েছিলাম অনেক আগে।
শংকর লেখককে দু\'ভাগে ভাগ করেছেনঃ
প্রথমত - মাকড়সা টাইপ। এরা নিজের পেটের জিনিস দিয়েই সুতো বোনে। অর্থাৎ মৌলিক লেখক। আইডিয়া থেকে...
যে দিকে তাকাই,
দৃষ্টি থমকে যায় যান্ত্রিক নাগরিকতার দেয়ালে।
শহুরে ব্যস্ততার তীব্র কষাঘাত
আমাকে গৃহভৃত্যের মতো করে তোলে।
দাসপ্রথা শেষ হয়েছে সেই কবে।
কিন্তু ব্যস্ততা আজও আমাকে
পা-চাটা গোলাম করে রেখেছে,
প্রভুরূপী মানুষের।
না কি নামান্তরে আমার...
আলোর নাচন, জলের কাঁপন
স্থানঃ হাতিরঝিল
সময়ঃ সন্ধ্যা
উপস্থাপনায়ঃ হাতিরঝিল কর্তৃপক্ষ
আমার প্রথম ছবিব্লগ। জানি না কেমন হলো। আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমেই সামনে এগোনোর উৎসাহ পাব।
...
তুই যে এত্ত অভিমানী
বোঝাই যায় না।
গলার স্বর - না হয় একটু বদলে গেলই।
তুই অবাক চোখে তাকাস কেন?
এই যে ডাকি - না হয় একটু জোরেই হলো।
আমি তো রেগে থাকতেই পারি। পারি...
প্রতি রাতে আমি তিনটা ট্যাবলেট খাই।
প্রথমটি ব্যাথা কমানোর;
শবের মত ব্যাথাহীনতা।
একটা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনের।
নির্মম খুনির মত একলয়ের রক্তচাপ।
আর শেষেরটা,
নিরালম্ব ঘুমের জন্য।
মৃত্যুর মত ঘুম।
প্রতি সকালে আমি তিনটা কাজ করি।
জেগে উঠি - ঘুম নয়,...
বছর বারো আগের কথা। মানে এক যুগ আর কি।
জনৈক লোক....উঁহু....ভুল বললাম। তখনও সে \'লোক\'\' হয়নি, \'তরুন\'ই ছিলো। তাকে আমি খুব ঘনিষ্ঠভাবে চিনতাম। চিনতাম বলা ঠিক হবে না। এখনও চিনি। প্রতিদিনই...
উড়ে যাওয়া সুখ
----------------
পাখি নয়, তবু উড়ে যেতে চায়
মন অবুঝ আমার।
দিগন্তের প্রান্তসীমা ছাড়িয়ে উড়ে যায়, দৃষ্টি আমার।
সাদা মেঘ, কালো মেঘ - সব একাকার রাতের আকাশে।
আমি তবু খুঁজে ফিরি। আলোর...
সমস্ত দিনের শেষে,
সাঁঝের মায়া মেখে
সূর্যটা লুকোয় নারকেলের চিরল পাতায়।
মেঘেদের ব্যাকড্রপে
বেঁকে যাওয়া রড উদ্ধত নিশান ওড়ায়;
নিস্তব্ধ নাগরিকতার।
পাখি ঘরে ফেরে। ঘরে ফেরে হারানো মানুষ।
ফেরে না শুধু মানবিকতা।
©somewhere in net ltd.