নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।
দুই লেনের চওড়া রাস্তার পশ্চিমপাশে একটি বেসরকারী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। হাসপাতালের গেটের পাশে একটি ব্যস্ত এ,টি,এম বুথ। বুথের কাছে ফুটপাতে ওজন যন্ত্র নিয়ে বসে থাকে একজন মধ্যবয়ষ্ক বোবা লোক।...
উত্তরের মাঠে চাঁদ নামে ধান কাঁটা ক্ষেতে গরুর খুঁড়ের গর্তে জমে থাকা জলের ভেতর
মৃত বাছুরের চোখে উঁকি দিয়ে দেখে পোয়াতী চাঁদ, ঘুম তার কতোটা গভীর!
চাঁদ নামে, চাঁদ সওদাগরের অহংকার নিমজ্জিত...
আমি বলা যায় গুহাবাসী মানুষ। মূর্খ, অজ্ঞান মানুষ। নিজের ভেতরে গুটিয়ে থাকা আর যৎকিঞ্চিত লেখালেখি করাই আমার পছন্দ। তাই কোন্ কবি কোন গোত্রভূক্ত, কোন্ লেখক ধান্দাবাজ। এসব আমার জ্ঞানের বাইরে।...
রাতের পেলব কালো মখমলে
পিতৃপরিচয়হীন ভূমিষ্ঠ শিশুর মতো
প্রহরে প্রহরে বাড়ছে জ্ঞানপাপী...
এক
নাভির নিচে তুলির শেষ পোঁচ দিয়ে ভবতোষ কুঁজো অবস্থা থেকে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে লম্বা নিঃশ্বাস ফেললো প্রতিমার মসৃণ বুকের ওপর। কোমর ধরে গেছে তার, মেরুদণ্ড টনটন করছে। সামান্য তফাতে হাঁটু...
ও উত্তরাষাঢ়া, তুমি আরাকানে খসে পড়ো
রাঢ়’র বুকও স্পর্শ করো
বঞ্চিত করো না বরেন্দ্রিকেও...
যে উল্কাটি ঝ’রে গেল কিছু আগে বিরান মাঠের ওপারে
আমি সে উল্কার দীপ্ত বক্ষপৃষ্ঠায় ঝটিতি চোখের দৃষ্টিতে
লিখে দিয়েছি তার নাম;...
(চৈত্রের বৈতালিক হাওয়ার রাত। জোছনালোকিত নীড়মহলের শুভ্র দেয়ালে আছড়ে পড়ছে হাওয়া। নীড়মহলের তিনদিকে তীব্র দাবদাহে ফাঁটা চৌচির আবাদী-অনাবাদী ভূমি! জোছনায় ভেসে যাচ্ছে প্রান্তর। আরও দূরে গ্রাম। একদিকে জল। সে জল...
সংসারে কি কেবল সংসারী থাকবে?
এক-আধ গন্ডা বাচ্চা জন্মাবে
ভোর থেকে রাত অব্দি অর্থের পিছে ছুটবে...
পরানের ছিপি খুলে যারে করাতে চেয়েছি পান
ভালবাসার নির্ভেজাল মদির, সেই তো ছুঁড়েছে
নিঃশব্দে-আমার সাধের হৃদকুঞ্জে অগ্নিবাণ;...
আগুন লেগেছে হৃদকুঞ্জে, এ নয় যজ্ঞের ধোঁয়া;
বিনীত কুঞ্জ, অতোটা চন্দন কাষ্ঠ কোথায় পাব!
কী ক’রে জ্বালবো ধুপ-ধুনো, সবই তো গেছে খোয়া...
একদিন নদীটির সাথে প্রতারণা করেছিল মানুষের পূর্বপুরুষেরা
তখন নদীটি যুবতী, তখন নদীটির মুখে দুকূল ছাপানো লাস্যময়ী হাসি।
মানুষের পূর্বপুরুষেরা নদীটির পুরুষ্টু বুকে
ডুবসাঁতার খেলতে খেলতে লোভের জাল বুনেছিল,
মানুষের পূর্বপুরুষেরা সীমাহীন কামনার বর্জ্য...
নানান দেব-দেবীর ভিড়ে পৌরুষদীপ্ত সুদর্শন কার্ত্তিককে
কখনও বাড়িতে দেখিনি, সেই ছেলেবেলা থেকেই।
কেন?...
আগুন লেগেছে হৃদকুঞ্জে, আকাশে গৈরিক ধোঁয়া
তার উড়ছে উদভ্রান্ত, ভুলেও আসিসনে কাছে
ধোঁয়ায় পথ হারাবি, বিষম খাবি, বাড়াতে মায়া-...
চিরল নারিকেল পাতার শিঙা বাঁশি শিস দিয়ে এখনও ডাকে-দগ্ধ দুপুরে। ধূসর দুপুর ফুঁড়ে, ঢুঁড়ো গাবগাছের উদোর থেকে উঁকি দেয় ধুলো মলিন দূরন্ত বালকবেলা। চুল এলোমেলো, শরীরে সাদা স্যান্ড গেঞ্জি, পরনে...
©somewhere in net ltd.