নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুব সাধারণ একজন মানুষ। বিনয়ে বলা সাধারণ নয়, সত্যিকারের সাধারণ। রূঢ় ভাষায় বললে \"গুড ফর নাথিং\"।

বিষাদ সময়

বিষাদ সময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোটা সংস্কার আন্দোলন- কিছু পরিসংখ্যান, কিছু প্রশ্ন

১৮ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৩

কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে যে সব লেখা আসছে তার বেশির ভাগই আবেগ এবং রাজনীতি নির্ভর কথা। কোটা সংক্রান্ত পরিসংখ্যান দিয়ে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করে খুব কম লেখাই এসেছে। বেশির ভাগ লেখা থেকে কোটা সম্পর্কিত তথ্যের সত্য-মিথ্যা নির্ণয় করাটাও খুব কঠিন। তাই এ বিষয়ে নেট ঘেঁটে কিছু তথ্য তুলে আনলাম। যারা কোটা সম্পর্কিত তথ্য জানতে আগ্রহী তারা হয়তো এখান থেকে সহজে কিছু তথ্য জানতে পারবেন।

কোটা ব্যাবস্থার পরিসংখ্যান:

The Daily Star পত্রিকায় ১৯৭২ থেকে আজ পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র:

In Bangladesh, the quota system was introduced through an executive order in 1972 and was amended several times. From 1972 to 1976, 20 percent of the government officials were recruited based on merit, and the rest was quota-based. Merit-based recruitment was increased to 40 percent in 1976 which continued until 1985, when it was increased to 45 percent.
In 2012, one percent quota was introduced for persons with disability, reducing the merit-based recruitment to 44 percent.
In 2018, the government issued a circular abolishing the quota system for Class 1 and Class 2 jobs, in the wake of a massive protest by students, who wanted a reform and not an abolition.
Until then, 56 percent of government jobs had been reserved for candidates from various quotas. Of this, 30 percent were for freedom fighters' families, 10 percent for women, 10 percent for people from underdeveloped districts, 5 percent for members of indigenous communities, and 1 percent for persons with disabilities.
In 1996, as the numbers of those claiming freedom fighters' quota positions started to dwindle, the government extended the quota to children of freedom fighters. In 2009, it was further expanded to include the grandchildren of freedom fighters.
The ongoing quota reform movement began after the High Court on June 5, 2024, ruled that the 2018 government circular abolishing the quota system was illegal, effectively reinstating the quota system. The government appealed the decision, and the Appellate Division has issued a status quo on the HC order.
After the HC order, students took to the streets again, waging large-scale protests across the country, demanding a reform of the quota system.

তথ্যসূত্র: The Daily Star (Link-1)

কোটা সংস্কার আন্দোলন সূত্রপাত মূলত হাইকোর্ট কর্তৃক ২০১৮ সালের এক সরকারী আদেশ কে অবৈধ ঘোষনার পরিপ্রেক্ষিতে। যে আদেশে ১ম এবং ২য় শ্রেণীর সরকারী নিয়োগে কোটf ব্যাবস্থা বিলু্প্ত করা হয়েছিল। অতএব এ আন্দোলনের টার্গেট ঐ আদেশ বাতিল কেন্দ্রিক হ্ওয়ায় এটা স্পষ্ট যে আন্দোলনকারীদের মূল লক্ষ সরকারী প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণীতে নিয়োগে কোটা প্রথার বিরুদ্ধে তবে সূনির্দিষ্ট ভাবে বলতে গেলে বলা যায় এ আন্দোলন মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি/নাতনিদের বিশেষ কোটায় বিসিএস এ নিয়োগের বিপক্ষে। তাই ৩৮ তম বিসিএস এর কিছু তথ্য চিত্র নিচে তুলে ধরলাম-

২) ৩৮তম বিসিএস মোট অংশগ্রহনকারী এবং প্রিলিমিনারি তে উত্তীর্ণদের চিত্র The Daily Star থেকে -
The preliminary exam of the 38th BCS involving over 3.5 lakh candidates was held on December 29, 2017. The preliminary exam results were published on February 18, 2018 with 16,000 passing it.

তথ্যসূত্র: The Daily Star (Link-২)

৩) The Daily Star থেকে নিচে ৩৮ তম বিসিএস এর লিখিত পরীক্ষার ফলাফল তুলে ধরা হল-

A total of 9,862 candidates out of 14,546 have passed the written test of the 38th Bangladesh Civil Service (BCS) examinations...
তথ্যসূত্র: The Daily Star (Link-3)

৪) সর্বশেষ Dhaka Trbune থেকে কোটা ব্যাবস্থায় নিয়োগের একটি চিত্র তুলে ধরা হল-

The Public Service Commission (PSC), the regulatory authority for BCS exams, recommended 2,181 applicants for jobs in the 35th BCS exam. Among them, 1,472 received recommendations based on merit, and 709 were recommended based on quota.
According to PSC data, 67.5% of recommendations in this exam were based on merit, while 32.5% were based on quota.
In the 36th BCS, among the 2,323 recommended candidates, 1,520 were recommended based on merit, and 803 were recommended based on quota, which means 65.43% were from merit and 34.57% from quota.
In the 37th BCS, among the 1,313 recommended candidates, 64.28% were based on merit, and 35.72% were recommended based on quota.
In the 38th BCS, among the 2,204 recommended candidates, 64.56% received recommendations based on merit, and 35.44% were based on quota.
In the 39th BCS special exam, which was dedicated to medical students, among the 4,559 recommended candidates, 67.12% were based on merit, and 32.88% were based on quota.
What is the status of the freedom fighter quota?
According to the result sheets of the PSC, in the 35th, 36th, 37th, 38th, and 39th BCS exams, 198, 209, 134, 226, and 531 candidates, in that order, received recommendations under the freedom fighter quota.
Although there was a 30% quota for freedom fighters and their dependents, in most cases, only about 10% of applicants received recommendations under this quota.
Specifically, in the 35th BCS, 9% of candidates received government job recommendations under the freedom fighter quota; in the 36th BCS, it was 8.99%; in the 37th BCS, 10.20%; in the 38th BCS, 10.25%; and in the 39th BCS, 7.81%.
Merit and quota: How does the recruitment process work?
In the case of the BCS examination, the PSC first divides the vacancies into two categories: merit and quota.
Assuming there are 100 vacancies in the admin or police cadre, the PSC first recruits 45 candidates based on their merit. Then it recruits 55 candidates based on various quotas. When there are not enough eligible applicants from the quota, the PSC again recruits from the merit list to fill the vacancies.
While speaking to Dhaka Tribune, some former members of the PSC stated that coming from a quota does not mean a candidate is not meritorious. Every candidate must first pass the preliminary and written tests. It is only at the final viva stage that quota and merit considerations come into play. Until then, all applicants are treated equally.

তথ্যসূত্র: Dhaka Tribune (Link-4)

সারসংক্ষেপঃ

১৯৭২ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত সর্বনিম্ন ৪৪% এবং সর্বোচ্চ ৮০% পর্যন্ত সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা বিরাজমান ছিল। ৩৮তম বিসিএস এ প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ৩,৫০,০০০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করলেও মাত্র ১৬,০০০ জন উত্তীর্ণ হয়, পাশের হার ৪.৫৭%। লিখিত পরীক্ষায় ১৪,৫৪৬ জন অংশগ্রহণ করে এবং ৯,৮৬২ জন উত্তীর্ণ হয়, উত্তীর্ণের হার ৬৭.৭৯%। চূড়ান্ত ফলাফলে নির্বাচিত হয় ২,২০৪ জন, যা মোট পরীক্ষার্থীর ০.৬২% এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নির্বাচিত হয় ২২৬ জন, যা চূড়ান্ত ফলাফলে নির্বাচিত প্রার্থীর ১০.২৫% এবং প্রাথমিকভাবে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর ০.০৬%।

উপরের তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০% কোটা থাকলেও কখনো ১০.২৫% এর অধিক এই কোটায় নিয়োগ পায়নি এবং অবশিষ্ট শূন্যস্থানগুলো মেধা তালিকা থেকে পূরণ করা হয়েছে। অর্থাৎ, মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা যদি সম্পূর্ণ বাতিল করা হয় তবে বিসিএস এ সাধারণ একজন চাকরি প্রার্থীর নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে ০.০৬%।

কয়েকটি প্রশ্নঃ

১. আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মাত্র ০.০৬% সম্ভাবনার জন্য বুকের রক্ত দিতে হচ্ছে? অনেকে হয়তো বলবেন আসলে এটা একটি আদর্শিক প্রতিবাদ। শিক্ষার্থীদের যদি আদর্শ হয় সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পেয়ে দেশ সেবা করা তবে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর তাদের আদর্শ যদি হয় আরেকজন বেনজির বা মতিউর হওয়া বা অন্য কোনো পারপাস সার্ভ করা তবে আর বলার কিছু নেই।

২. বিভিন্ন সময়ের বিসিএস এর চিত্রে দেখা যাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি/নাতনিদের কোটায় ১০.২৫% এর অতিরিক্ত প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। তবে কি এমন মহান উদ্দেশ্যে!! ৩০% কোটা টিকিয়ে রাখার জন্য সরকারের এ রক্তক্ষয়ী এবং হঠকারী সিদ্ধান্ত!!!!

৩. কেউ কেউ মুক্তিযোদ্ধাদের অতি শ্রদ্ধা করে তাদের ক্ষুৎপিপাসার ঊর্ধ্বে উঠিয়ে পুনঃ পুনঃ পুষ্পমাল্যে নৈবদ্য প্রদান করার পরামর্শ দেন। তাদের উদ্দেশ্য এবং অতীত রেকর্ড উভয়ই কালিমাযুক্ত। মুক্তিযোদ্ধারা মানুষ, দেবতা নন; তাদেরও ক্ষুধা আছে, পিপাসা আছে, আছে অর্থ বিত্ত্বের আকাঙ্ক্ষা। কাজেই তাঁরা কোন প্রতিদান চান বা না চান আমাদের দায়িত্ব হলো তাদের যোগ্য প্রতিদান দেয়া।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫

নয়া পাঠক বলেছেন: আন্দোলনটি এখন শুধুমাত্র কোটায় সীমাবদ্ধ নেই। এখন এটা রক্ত ঝরানোর আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। জানিনা সামনে আরও কত কিছু দেখতে হবে।

১৮ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৮

বিষাদ সময় বলেছেন: আন্দোলনের গতি প্রকৃতি দেখলেই সেটার স্বরূপ বুঝা যায়---
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.