somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আই এস আছে ,আই এস নাই বিতর্ক নয়/ সাধারণ মানুষের বাংলাদেশটা চাই

০৯ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

।t

সরকার ও প্রধামন্ত্রী মনে হয় এখনও উপলব্দি করতে পারছেনা কেনো বার বার আই এস আছে বলে চিৎকার করছে আমেরিকা।জানিনা কেনো দৃষ্টি ও কর্ণপাত করছেননা বিষয়টি নিয়ে।কারো কাছেই মনে হয় অকাট্য প্রমাণ নেই যে বাংলাদেশে আই এসের কার্যক্রম পরিচালিত হোচ্ছে কি হোচ্ছেনা।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কতিপয় মন্ত্রী সহ স্বয়ং প্রধান মন্ত্রীও খুব জোড় দিয়ে বলতে চাইছেন বাংলাদেশে আই এস এবং তাদের কোন তৎপরতা নেই।এখানে আমি বিগত দিনের প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিষদ বর্গের চিৎকারের নমুনা দেখতে পাই।২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত খুব জোড়ের সাথেই উচ্চারিত হয়েছিলো বাংলাদেশে কোন জঙ্গীবাদ বা জঙ্গী নেই।কিন্তু বাস্তবতা ছিলো সম্পুর্ণ ভিন্ন।তৎকালীন সরকার নিজেদের পৃষ্ঠ-পোষকতায় গড়ে তুলেছিলো একটি জঙ্গী বলয়।যার মাধ্যমে তারা বিরোধী শক্তিকে নিশ্চিন্হ করে ক্ষমতার চিরস্থায়ী হোতে চেয়েছিলো।তারই ধারাবাহিকতায় হত্যা করেছিলো-আহসান উল্ল্যা মাষ্টার,কিবরিয়া সাহেবের মত উচু পর্যায়ের রাজনিতীবিদদের।আক্রান্ত হয়েছিলেন বৃটিশ হাইকমিশনার।২১শে আগষ্টের ঘটণা নিশ্চই বিসৃত হন নাই আজকের প্রধানমন্ত্রী।আইভি রহমান নয় শেখ হাসিনা আপনাকেই টার্গেট করা হয়েছিলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।স্বয়ং আল্লাহ ও আপনার নিবেদিতপ্রাণ দেহরক্ষী ও নেতা কর্মিদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে জিবনে বেচে গিয়েছেন।আপনার ২য় জন্মই বলতে পারেন হয়েছে।

সেই নিকট অতীত ও আজকের মধ্যে পার্থক্য শুধু এটুকুই তখন আপনি ছিলেন সরকারের বাইর.। আর যারা ৬৫ জেলায় একসাথে বোমার বিস্ফোরন ঘটিয়ে তাদের শক্তিমত্তার প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন তারা ছিলো সরকারে।কাজেই নিশ্চই বুঝতে পারছেন উপরের এই কথাগুলো কেনো স্বরনে নিয়ে আসলাম বর্তমান সময়ে।আপনার কি ধারনা তারা সেই চক্রান্তের পথ পরিত্যাগ করে নতুন ধারার রাজনিতীতে ফিরে এসেছে।আপনার কি ধারনা তাদের গাটছড়া এতটুকু দুর্বল বা ভাঙতে পেরেছেন আপনি।এই দেশের সরকার প্রধানই কোন এক সময় বলেছিলেন জঙ্গী নেই ,তালেবান নেই,আল-কায়েদা নেই।আর আমরা কি প্রত্যক্ষ করেছিলাম...হিজবুত তাহেরী আছে,হরকাতুল জিহাদ আছে,তালেবান আছে-প্রকাশ্যে রাজপথে মিছিল করে জানান দিয়েছিলো।আল-কায়েদার সেকেন্ড ইন কমান্ড অতিথি হয়েছিলো তৎকালীন সরকারের প্যারালাল সরকার প্রধানের(সেই ডেডলি কার্গোর কথা কি ভুলে গেছেন)!বাংলাদেশে যতগুলো জঙ্গী গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছে তার সুতিকাগার হোচ্ছে জামাতে ইসলামি/শিবির।সেই শিবির কি এখনও নেই বাংলাদেশে ? প্রতিটি জঙ্গী ঘটনা ও গোষ্ঠির সাথে সম্পৃক্ততা খুজে পাওয়া গেছে শিবির অথবা জামাতের।আপনারা যদি সিরিয় অথবা লাবানিজ কিংবা পাকিস্তানি /আফগানস্তানি আই এস খুজতে থাকেন তাহোলে বলবো আপনারাই ঠিক বাংলাদেশে কোন আই এস নেই।কিন্তু যদি হুজি ,জেএমবি,তালেবান ও আল-কায়েদা হোতে পারে বাংলাদেশি তাহোলে আইএস কেনো নয়!

আমরা বৃটিশ বাংলাদেশি পুরো পরিবার নিয়ে আইএস হোতে ছুটে যেতে দেখেছি সিরিয়া ও ইরাকে।বাংলাদেশ থেকেও কিছু যুবক নাকি এখন যুদ্ধে লিপ্ত আছে আইএসের পক্ষে।আর এদের জন্মের ইতিহাস না হয় নাইবা বললাম।কারা এদের জন্ম দিয়েছে কিসের জন্য দিয়েছে তা দিবালোকের আলোর মতই পরিস্কার।বাংলাদেশের সরকার বদলের প্রচেষ্টায় নাকি এখন মোাসাদও সংযুক্ত হয়েছে।প্রতিটি সংবাদপত্রেই প্রকাশিত হয়েছে সেই সংবাদ।এখন বুঝে দেখুন কতটা বেপরোয়া হলে কোন রাখডাক না করেই তারা সিটিং মিটিং করছে।যাদের রক্তে মিশে আছে চক্রান্ত তাদের পক্ষে কি সেই পথ পরিহার করে ফিরে আসা সম্ভব গতানুগতিক রাজনিতীর পথে? জামাত কোন দিনই বাংলাদেশের স্বাধিনতা স্বিকার করে নাই।বাংলাদেশের আদর্শের রাজনিতীও করে নাই।রইলো বাকি বিএনপি-ঐ জামাত কার হাত ধরে ফিরে এসেছে এই দেশে? বিএনপির রাজনিতি কখনই বাংলাদেশের স্বার্থে নয় বিএনপির রাজনিতীর মূল এজেন্ডা এন্টি আওয়ামিলীগ ও পাকিস্তানী আদর্শ।যাদের মূল কার্ড ভারত বিরোধিতা।এটা হলো তাদের ক্যামোফ্লেজ।কাজেই পৃথকভাবে এখানে আইএস প্রতিষ্ঠা করার কোনই প্রয়োজন নেই।এই সকল অপশক্তি একসাথে মিলিত হয়ে তারা তাদের পথেই হাটছে।তারা বাচার জন্য এমন কোন কাজ নেই যা করবেনা বা করছেনা।তাদের মূল এজেন্ডা বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ বন্ধ করা।যে কোন উপায়ে হোক সরকারকে আনস্ট্যাবল করা।এই জন্য যা যা করা দরকার তাই তারা করবে।ব্লগার হত্যা হোচ্ছে কারন ব্লগাররাই যুদ্ধাপরাধীদের চিন্হিত করে উন্মুক্ত করছে তাদের অতীত ইতিহাস।শিক্ষক হত্যা কারন তারা দেশের বিবেক তৈরি করছে ।লেখক প্রকাশক তাদের মূল টার্গেটে এসেছে কারন এরা সহযোগি শক্তি।বিদেশি হত্যা আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের চেষ্টা।এখানেই থেমে থাকবেনা তারা বাচার জন্য যেখানেই যোগ দিতে হয় সেখানেই যোগ দিবে তারা।কারন এই দেশটা'কে কখনই তারা নিজেদের দেশ মনে করে নাই।যতই বাংলাদেশের ক্ষতি তারা করতে পারবে ততই ব্যাক্তিগত লাভবান হবে তারা।কাজেই আইএস হওয়া তাদের জন্য কোন ব্যাপারই না।

বঙ্গবন্ধুর পরিবারের যে ত্যাগ এই দেশের জন্য যা আর কোন দেশেই নেই কোন পরিবারের।শেখ হাসিনা বেচে না থাকলে রাজাকারের বিচার কখনই হইতোনা এই দেশে।যেমন হতোনা বাংলাদেশের সৃষ্টি বঙবন্ধু ছাড়া।জয় হোচ্ছে আগামি বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রতিচ্ছবি।এদের নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করতেই হবে।কিন্তু যাদের জন্য এই দেশ তাদেরকে বাচিয়ে রাখার দায়িত্ব সরকার এরিয়ে গেলে সব কিছুই বৃথা মনে হয়।যদি সাধারণ মানুষই না থাকলো তাহোলে কার জন্য এই দেশকে গড়ে তোলা।তাই সবার আগে সাধারণ মানুষের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।সেটা যত কিছুর বিনিময়েই হোক।যদি এটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারেন তাহোলে বাংলার মানুষই নিরাপত্তা দিবে আপনাদের।আর কখনই ১৫ই আগস্ট ও ২১শে আগস্টের সৃষ্টি করতে দিবেনা নরপশুদের।তারা নির্দিদ্বায় নিজের বুকের রক্ত দিয়ে হলেও রক্ষা করবে আপনাদের।বাংলার মানুষ খুব অল্পতেই সন্তস্ট থাকে।কাজেই আর কালক্ষেপন নয় টার্গেট করে কিলিং যারা করছে তাদেরকে টার্গেট করার সময় এখন।সকল অকর্মন্য ও অদক্ষ কর্মকর্তাদের বিদায় দিয়ে নব উদ্দ্যমে কাজ করার দেশপ্রেমিকদের নিয়োগ দিন আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনিতে।যুদ্ধে জয়ী হোতে হলে রনকৌশল বদলাতে হয় কখনও কখনও।আশা করি অপরাধীদের চাইতে এগিয়ে থাকবে আমাদের সকল বাহিনি।

বাংলার আপামর সাধারণ মানুষের জিবন ....
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:৩৭
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাষ্ট্রদূত নিয়োগ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তুঘলকি কান্ড !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৪৪

৫ই নভেম্বর অন্তবর্তীকালীন সরকারের তিন মাস পূর্ণ হয়েছে। চারিদিকে আলোচনা চলছে এই সরকারের সময়ে কোন মন্ত্রণালয় কেমন পারফরম্যান্স করেছে তা নিয়ে। আলোচনা হচ্ছে অতি গুরুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়ে।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকানরা ভীষণ কনজারভেটিভ

লিখেছেন মুনতাসির, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২৬

আমেরিকা নিয়ে মন্তব্য করার যোগ্যতা আমার নেই—এটা প্রথমেই বলে ফেলা ভালো। আমি শুধু আমার অভিজ্ঞতার কথা বলছি। আমেরিকা তথা উত্তর আমেরিকাতে আমার যাওয়া হয়েছে বেশ কিছুবার। সবগুলো ভ্রমণ যোগ করলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ফলাফলে বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তা নেই

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২১

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ফলাফলে বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তা নেই

ট্রাম্প হচ্ছে একজন আপাদমস্তক বিজনেসম্যান। কমলা হ্যা্রিস যেহেতু ইন্ডিয়ান বংশোদ্ভূত তাই ইন্ডিয়ান ভোটার টানার জন্য সে নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে টেনে জাস্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

চট্রগ্রামে যৌথবাহিনীর ওপর ইসকনের এসিড হামলা সাত পুলিশ আহত।

লিখেছেন তানভির জুমার, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৩

এসিড নিক্ষেপে আহত পুলিশ সদস্য



চট্টগ্রামে পুলিশের ওপর ইসকন সমর্থকদের হামলা ও এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসকন

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৭


INTERNATIONAL SOCIETY FOR KRISHNA CONSCIOUSNESS যার সংক্ষিপ্ত রূপ হলো ISKCON এর বাংলা অর্থ হল আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ। যে সংঘের ঘোষিত উদ্দেশ্য হল মানুষকে কৃষ্ণভাবনাময় করে তোলার মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রকৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×