আজ সকালে আলু পেপার পড়ছি। তো দূর থেকে আমার বোনের চোখ গেল প্রথম পাতার বাংলাদেশ দলের উতসবের ছবিটিতে। আমায় জিজ্ঞেস করে বসল, ''আজকে আবার কোথায় জিতলো''।

ওরে অবশ্য আমি দোষ দেই না...তার পরীক্ষার কারনে মাথা আউলা। কিন্তু এই ছোট্ট মন্তব্যের কারনে আমি একটা জিনিস উপলব্ধি করলাম, আমরা এতদিন পর্যন্ত টানা বিজয়ে কখনই অভস্ত ছিলাম না, মাঝেসাঝে দুএক্টা পেতাম, তা ই বেশ কএকদিন ধরে জাবর কাটতাম। তাই এখন হঠাত টানা জয়, ব্ল্যাক ওয়াশ, হোয়াইট ওয়াশ টাকে কেউ কেউ ঠিক হজম করতে পারছে না।
এটা কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া এই সফর থেকে, হোক না তা ওয়েস্ট ইন্ডিজ বি/সি দলের সাথে, হোক না আমাদের আশু এর চিরাচরিত উন্নাসিক খেলা, হোক না সেট ব্যাটসম্যানদের উইকেট বিলিএ দিএ আশা কিংবা কস্টার্জিত জয়, জয় জয় ই। এটার স্বাদ পাবার জন্যেই আমরা তীর্থের কাকের মত টিভি সেটের সামনে অধীর আগ্রহে ঘন্টার পর ঘন্টা পার করে দেই। এতোদিন এ সেটা পেলাম।
তাই শুভ কামনা রইল বাংলাদেশ টীম এর প্রতি। আর আশা করছি তারা যেন আত্মতুষ্টি তে না ভুগে, কে কবে তাদের সমালোচনা করেছিল সেগুলোর উত্তর আমাদের উটু দার মাধ্যমে না প্রচার করে বরং উত্তরটা মাঠে দেবার চেষ্টা করে।
অনেক আগে গর্ডন গ্রীনিচ এর একটা সাক্ষাতকার পড়েছিলাম এই আলু পত্রিকাতেই। সে ইংলিশ কাউন্টি তে খেলার সময় তার দিকে অনেক প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় ও সমর্থক বর্ণবাদী মন্তব্য ছুড়ত। তার ভাষ্যমতে সে এগুলার জবাব দিত একের পর এক সেঞ্চুরী হাকিয়ে।
আমাদের সাকিব দের ও সময় এসেছে এই গ্রীনিচিও শিক্ষা কে পাথেয় করে সামনে এগিয়ে চলা।